নাম তার ‘বাঘ’। সে একাধারে পরিবেশ বান্ধব, সাশ্রয়ী এবং নিরাপদও বটে। তবে এটি বনের বাঘের গল্প নয় এটি একটি থ্রি হুইলারের গল্প। এতে আছে ওয়াইফাই সুবিধা, টিভি দেখার ব্যবস্থাও। প্রচলিত এসিড ব্যাটারির বিপরীতে এটি তৈরি হয়েছে পরিবেশবান্ধব সোলার ও লিথিয়াম ব্যাটারির সমন্বয়ে। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অদূর ভবিষ্যতে ‘বাঘ’ আয় করতে পারবে বৈদেশিক মুদ্রাও।
জেলা শহর থেকে শুরু করে মহানগর সর্বত্রই এখন ছড়িয়ে গেছে এসিড ব্যাটারি চালিত তিন চাকার অটোরিকশা। ব্যাটারিগুলোর মেয়াদ শেষে এর এসিড পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়। শুধু তাই নয় যাত্রীর গলায় কাপড় পেঁচিয়ে মৃত্যুর ঘটনাও অহরহ। কয়েক বছর থেকে এই যানগুলোই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা দেশ।
এদিকে রাজধানী ঢাকাতেও বহু বছর থেকে নেই সিএনজি অটোরিকশার নতুন নিবন্ধন। তাই পুরনো নম্বরের একেকটি অটোরিকশার দাম আকাশ ছোঁয়া। এ কারণে বাড়তি ভাড়া হাঁকেন চালকরা।
এই যখন দশা তখন কাজী বাপ্পী নামের এই উদ্যোক্তা আমাদের জানাচ্ছেন তারা এমন একটি তিন চাকার যান বানিয়েছেন যেটি চাকার যান বানিয়েছেন যেটি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি দিয়ে তৈরি পরিবেশ বান্ধব। এই যানে রয়েছে সোলার সিস্টেম। যার সাহায্য চলা যাবে ৪০ কিলোমিটার পথ। আর ব্যাটারিতে চলবে ৯০ কিলোমিটার। এর ভেতরে ও বাইরে রয়েছে দুটি সিসি টিভি ক্যামেরা। যে কারণে চাইলেই মালিক ড্রাইভারের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। আছে ওয়াইফাই, টিভি দেখা, ফোন চার্জার এবং জরুরি প্রয়োজনের অ্যালার্ম সিস্টেম।
৭ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারা এই যানটি তৈরি করেছে বাপ্পীর প্রতিষ্ঠান ‘বাঘ ইকো মরটস’। সব ঠিক থাকলে চলতি বছরেই বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাবে ‘বাঘ’।
উদ্যোক্তা কাজী বাপ্পী বলছেন, শুধু উৎপাদন নয় তার পরিকল্পনা হলো এই যান দিয়ে তিনি রাইড শেয়ারিংয়েও নামবেন। সেক্ষেত্রে বাঘই হবে প্রথম নিজস্ব পরিবহনের রাইড শেয়ারিং কোম্পানি।
তবে কেউ চাইলে নিজে কিনেও পথে নামাতে পারেন বাঘকে। সেক্ষেত্রে নিবন্ধন লাগবে বিআরটিএর।
এটির দাম পড়বে সর্বোচ্চ ৪ থেকে ৬ লাখ টাকা। বাংলাদেশে যে যন্ত্রচালিক গাড়ি তৈরি হয় তার বেশিরভাগই বাইরে থেকে পার্টস এনে সংযোজনকৃত। কিন্তু বাঘই হবে দেশের প্রথম নিজস্ব উৎপাদন, এমন দাবি উদ্যোক্তার।