১৬ অক্টোবর ইউটিউবে উঠেছে মাবরুর রশীদ পরিচালিত ওয়েব ড্রামা ‘ছেলেটি বেয়াদব’। প্রকাশ হওয়ার পরপরই এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। সামনেই আরও একটি ওয়েব ড্রামায় দেখা যাবে তিশাকে। ওয়েব প্ল্যাটফর্মের প্রতি তিশার এই আগ্রহ দেখেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তানজিন তিশা জানান তাঁর আরও কিছু কাজের খবর ও একটি দুর্ঘটনার কথা।
শুনলাম, আপনি আহত হয়েছেন? কীভাবে?
হ্যাঁ। আজ (গতকাল রোববার) দুপুরে বাসায় একটি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সামান্য হাত কেটে গেছে। কয়েকটা সেলাই দিতে হয়েছে। চিকিৎসক বলে দিয়েছেন, বেশ কয়েক দিন বিশ্রামে থাকতে হবে।
‘ছেলেটি বেয়াদব’ থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
খুব ভালো। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ইউটিউবে এটি ৩২ লাখবার দেখা হয়েছে। গল্পটি একেবারেই জীবনঘনিষ্ঠ। এ কারণেই প্রচুর দর্শক এটি দেখছেন।
‘বেড সিন’, ‘ছেলেটি বেয়াদব’—এ ধরনের অন্য রকমের ওয়েব সিরিজ, ফিকশন, নাটক, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে আপনাকে দেখা যায়। আপনি কি নামগুলো জেনেই তাতে অভিনয় করেন? নাকি এটা কাকতাল?
প্রথম দিকে মনে হতো এ ধরনের নাম দর্শক কীভাবে নেবেন। দর্শক খারাপ বলেন কি না, এ নিয়ে চিন্তা হতো। পরে দেখলাম, না, নামের কারণেই দর্শক বেশি দেখছেন কাজগুলো।
আপনাকে ইদানীং এ ধরনের ফিকশন, ওয়েব সিরিজ কিংবা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে বেশি দেখা যাচ্ছে। কেন?
ঠিক তা নয়। আমার আগ্রহ গল্পে। গল্প ভালো হলে আমার সবটুকু দিয়ে কাজ করি। সেটা নাটক, ওয়েব সিরিজ, শর্টফিল্ম—যা–ই হোক না কেন।
আপনি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করতে চান না কেন?
প্রায় এক বছর পর জাকারিয়া সৌখিনের আমার গল্পে তুমি নামে একটি ধারাবাহিকে কাজ করছি। এখনো প্রচার শুরু হয়নি। তবে ধারাবাহিকটি থেকে সরে আসব। কারণ মাসের একটি নির্দিষ্ট সময় ধারাবাহিকের জন্য বরাদ্দ রাখতে হয়। এ কারণে অনেক সময় ভালো গল্পের শর্টফিল্ম, ওয়েব সিরিজ বা এক ঘণ্টার কাজ ছেড়ে দিতে হয়।
এখন কী কী কাজ করছেন?
এর মধ্যে শেষ করলাম মাবরুর রশীদের ‘আই এম সরি’, ভিকি জায়েদের ‘এনাদার স্টোরি’, শিহাব শাহীন ও হাসান রেজাউলের নাম ঠিক না হওয়া একটি করে কাজ।
শেষ তিন প্রশ্ন
মেহ্জাবীন, সাফা কবির, সাবিলা—কাকে অভিনয়ে দশ-এ দশ দেবেন?
মেহ্জাবীন।
আলাদিনের জাদুর প্রদীপ হাতে পেলে প্রথমে কী চাইবেন?
ধোঁকা, বিশ্বাস ভাঙা ও মিথ্যা কথা বলা মানুষগুলোকে দূরে রাখতে বলব।
দেশের বাইরে ঘুরতে গেলে কাকে সঙ্গে নিতে চান?
বলব না। সিক্রেট!