মাটিনিউজের আজকের ফিটনেস টিপস এ এমন কিছু অভ্যাসের কথা বলবো, যেগুলো অনুসরণ করলে আপনি কদাচিৎ অসুস্থ হবেন। ঘন ঘন দৌড়াতে হবে না ডাক্তার কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
ফিটনেস টিপস ১ : ইতিবাচুক ভাবুন
শরীরের ওপর মনোজগতের প্রভাব অনেকখানি। আপনি যদি প্রচণ্ডরকম বিশ্বাস করে থাকেন যে আপনার পাশে থাকা কেউ হাঁচি দিলেই আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন, তাহলে আপনি হতেই পারেন। কারণ আপনার ওই বিশ্বাস প্রভাব ফেলবে আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায়। তাই সুস্থ থাকতে সবার আগে নিজেকে শক্তিশালী ও সুস্থ ভাবাটা জরুরি।
পানি পানি পানি
দিনে আট গ্লাস পানি কোনো আইন নয়, এর পরিমাণ মানুষে মানুষে বদলে যেতে পারে। হিসাবটা সহজ। প্রতি ২০ কেজি ওজনের শরীরের জন্য ১ লিটার করে পানি দরকার। সুতরাং আপনার ওজন যদি ৫০ কেজি হয়ে থাকে তবে ফিট থাকার জন্য দিনে আড়াই লিটার পানিই যথেষ্ট।
কুসুম গরম পানি
শুধু পানিই শেষ কথা নয়, হালকা গরম পানি পানের অভ্যাস করতে পারলে অনেক অনেক রোগ ও হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। যারা নিয়মিত কুসুম গরম পানি পান করে থাকেন, তাদের ছোটখাট ঠাণ্ডা-সর্দির জীবাণু কাবু করতে পারে না।
ভিটামিন সি
ভিটামিনের তালিকায় সি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দিনে ৬০ থেকে ৯০ মিলিগ্রাম দরকার। আর সেটার জন্য বেশিকিছু করতে হবে না। কোনো না কোনো ভাবে আধা কাপ মরিচ খেলেই হবে। বা একটি আমলকি বা লেবুও যথেষ্ট।
ঘুম
ফিটনেস টিপস গুলোর মধ্যে সম্ভবত এটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি। নিয়মিত আট ঘণ্টার ঘুম মানেই আপনি ছোটখাট শরীর ব্যথা মাথা ব্যথা থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন। ঘুমের অভাবে দুর্বল হয়ে যায় রোগ প্রতিরোধ শক্তি। আবার বাঁধিয়ে বসতে পারেন ডায়াবেটিসও।
মোবাইল ও হেডফোন পরিষ্কার
অভ্যাসের তালিকায় এ দুটো হালের প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এখনকার এ দুটো ডিভাইসে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে দ্রুতগতিতে। তাই অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে মাঝে মাঝেই এ দুটো যন্ত্র পরিষ্কার করুন।
হাসি
নিয়মিত কমেডি সিনেমা বা জোকস পড়ুন। কারণে অকারণে হাসিটাকেও নিয়ে আসুন ফিটনেস টিপস এর তালিকায়। হার্টের সমস্যা থেকে বাঁচার এক অব্যর্থ ওষুধ এই হাসি।
শুচিবাই চলবে না
কাদামাটি, পোকামাকড় থেকে একশ হাত দূরে থাকলেই সুস্থ থাকবেন, এটা ডাহা ভুল। উল্টো এ দুটোর কাছাকাছি থাকলেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাটি চাঙ্গা থাকবে। কারণ ছোটখাট জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করাটা হলো আপনার ইমিউন সিস্টেমের ব্যায়াম।