টেলিভিশনে গানের অনুষ্ঠান দেখে গায়ক, সুরকার ও সংগীত পরিচালক মিলন মাহমুদকে ভালো লাগে ক্লাস সিক্সের শিক্ষার্থী সুমাইয়া জামানের। তখন সেই ভালো লাগার কথা মাকে নাকি জানিয়েও দিয়েছিলেন। মেয়েকে ধমক দিয়ে মা বলেছিলেন, গানের অনুষ্ঠান না দেখে কার্টুন দেখো। দিনে দিনে কিন্তু সময় অনেক গড়িয়েছে। সাভারের ক্লাস সিক্সের সেই সুমাইয়া জামান এখন লালমাটিয়া মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ফেসবুক এই দুই মানুষকে এক ছাদের নিচে জায়গা করে দিয়েছে। এবার বিয়ে করে তাঁরা নতুন জীবন শুরু করেছেন। ১০ ডিসেম্বর মিলন মাহমুদের বাসায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
আট মাস আগে মিলন-মাহমুদকে ফেসবুকে বন্ধু হতে অনুরোধ পাঠান সুমাইয়া জামান। দুই মাস পর বন্ধুত্ব গ্রহণ। আর গত ১০ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে বিয়ে। নিজের বিয়ের খবরটি প্রথম আলোকে এভাবেই জানালেন মাহমুদ।
এক যুগ আগে গানের জগতে আবির্ভাব হয় মাহমুদের। ‘চলো সবাই’ গান দিয়ে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম ‘ধ্যান’। এখন পর্যন্ত তাঁর একক গানের নয়টি অ্যালবাম বেরিয়েছে। তাঁর সর্বশেষ একক অ্যালবাম ‘অচেনা শহর’ প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। মিলন মাহমুদের গাওয়া ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ এবং ‘চোরাবালি’ ছবির ‘মা’ শিরোনামের গান দুটিও শ্রোতাপ্রিয়তা পায়।
মিলন মাহমুদ বলেন, ‘আট মাস আগে সুমাইয়া জামান নামের একজন ছাত্রী আমাকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান। বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করার দুই মাস পর তাঁর সঙ্গে আমার শুভেচ্ছা বিনিময় হয় ম্যাসেঞ্জারে। তিনি আমাকে তাঁর ভালো লাগার কথা জানান। বললেন, ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় এনটিভির একটি গানের অনুষ্ঠানে আমাকে প্রথম দেখেন। আমার গানের প্রতি তাঁর মুগ্ধতা তৈরি হয়। অনুষ্ঠান চলার সময়েই নাকি মাকে বলেছিলেন আমার প্রতি তাঁর ভালো লাগার কথা। তাঁর আট বছরের যত্নে রাখা অনুভব ও ভালোবাসা আমার হৃদয়কে স্পর্শ করে। তাঁর সঙ্গে আমার বোঝাপড়া আর ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে একসঙ্গে জীবন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিই।’
মাহমুদের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ২০১৫ সালের ১ মে মৌরি রহমানকে বিয়ে করেছিলেন মিলন মাহমুদ। সম্প্রতি তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। নতুন জীবন নিয়ে মিলন বলেন, ‘অতীত ভুলে বর্তমানকে নিয়ে আগামী দিনগুলো সুন্দরভাবে কাটাতে চাই। সবার শুভকামনা ও দোয়া চাইছি।’