class="post-template-default single single-post postid-10718 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

যেসব বিষয় খেয়াল রাখলে হবে সুখের ঘর

ঘরআপনি কী নতুন বাসার খোঁজ করছেন? তবে মনে রাখবেন ভালোবাসার ঘর কিন্তু অবশ্যই মনের মতো হওয়া চাই।এমন একটি জায়গায় বাসা নিবেন যেখানে চারিদিকে সবুজ গাছপালা, খোলামেলা রাস্তা, থাকবে আলো-বাতাস৷ কিন্তু কেন এই চাওয়া? এর কি কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে ? হ্যাঁ, এর কারণই মনোবিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন বিভিন্ন সমীক্ষার মাধ্যমে৷ আসুন জেনে নেই কিছু বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা।

আরামদায়ক আসবাবপত্র

অনেক বাসার ফার্নিচারগুলো হয় বেশ ভারি এবং কোণাগুলো শক্ত ধরনের৷ এমন আসবাবপত্র দেখে অতিথির কাছে নাকি বিরক্তিকর মনে হয়। তবে এর উলটো হলে অর্থাৎ সোফা , টেবিল, চেয়ার ইত্যাদির কোণা গোল ধরনের বা হালকা বাঁকানো হলে, অতিথিদের অনুভূতি হয় ইতিবাচক, তাদের বেশ ভালো লাগে৷হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক সমীক্ষা থেকে তথ্যটি জানা গেছে৷

সূর্যের আলো মন ভালো করে

ভোরের আলো যখন বিছানায় এসে আছড়ে পড়ে ঘুম ভাঙিয়ে দেয়, সে অনুভূতি কার না ভালো লাগে? শুধু তাই নয়, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালের স্নায়ুবিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক করা এক গবেষণার ফলাফল থেকে জানা গেছে, যারা ঘরে দিনের আলো বেশি পায়, তাদের ঘুম যেমন ভালো হয়, তেমনি সারাদিন তারা আরো বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন৷

অগোছালো বাসা মেজাজ খিটখিটে করে

বাসার জিনিসপত্র এলোমেলো থাকলে ঘুম থেকে উঠে তা দেখে অনেকেরই খারাপ লাগে৷ তেমনি সারাদিনের কাজের পর বাইরে থেকে এসেও ঘরে ঢুকেই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়৷ ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবার বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের করা এক সমীক্ষার ফলাফল থেকে এ কথা জানা যায়৷

সবুজ রং এত প্রিয় কেন?

সতেজ সবুজ রং মানুষের অনুভূতিকে করে ইতিবাচক আর তার সৃজনশীলতাকে দেয় আরো বাড়িয়ে৷ সবুজ মাঠ, প্রান্তর বা বনে কিংবা জঙ্গলে বেড়াতে গেলে কিছুক্ষণ হাঁটাহাটির পর মন শান্ত হয়, এ কথা হয়তো অনেকেই জানেন৷ এ রকম সবুজের মাঝে গেলে মাত্র ৯০ মিনিটের মধ্যেই মানুষের মানসিক চাপ কমে যায়৷ এমন প্রমাণই পেয়েছেন অ্যামেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এর মনোবিজ্ঞনীরা৷

সবুজ রং ঘরে রাখুন

বাড়িতে ঢোকার সময় প্রথম যে দেয়ালটি চোখে পড়ে, তার রং যদি সবুজ হয়, তাহলে বাসায় ঢোকার সময়ই অতিথিরা ভালো বোধ করেন৷ অতিথিকে স্বাগত জানানোর জন্য করিডোরের রং সবুজ করার পরামর্শটি পাওয়া গেছে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক সমীক্ষা থেকে৷

গবেষণায় আরো জানানো হয়েছে, ভালো অনুভূতি জন্ম দেয়ায় সবুজের পরেই নীল এবং হলুদ রংয়ের স্থান৷

প্রকৃতিকে ঘরে আনুন

বসার ঘরে গাছ রাখুন, কিচেনের জানালায় সবজি বা ধনেপাতা, পেঁয়াজকলি, পুদিনাপাতা এসব লাগাতে পারেন৷ এতে চোখ, মন দুটোই ভালো থাকবে আর কমাবে মানসিক চাপ৷ গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, সবুজ দেখার পর তাঁদের ধৈর্যের উন্নতি হয়৷

নীল বেডরুম

যদিও অনেকে বলে থাকেন নীল নাকি বেদনার রং, তবে নেদারল্যন্ডসে করা সমীক্ষায় জানা গেছে, বেডরুমের জন্য ব্যবহার করতে পারেন নীল রংয়ের চাদর, বালিশের কাভার, নীল৷ কারণ, নীল মনকে শান্ত করে৷

লাল বা কালো রং বাড়ি সাজানোর জন্য নয়!

যদিও লালকে ভলোবাসার রং বলা হয়, তবে এই গবেষণাটিতে যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের কারো এই দুই রংয়ের কোনো জিনিস দিয়ে বাসা সাজানো পছন্দ নয়৷

হলুদ আনন্দের রং

হলুদ রং দেখলেই প্রথমে বেশ আনন্দ হয় তা ঠিক, তবে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, ঘরের ফার্নিচার বা বড় কিছুর জন্য হলুদ রং তাদের পছন্দ নয়৷ তবে দাঁত ব্রাশ, তোয়ালে, কফি কাপ বা ফুলদানির মতো জিনিস হলুদ রং হতে পারে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!