যা খাবেন, তা টাটকা খাওয়াই ভালো। বাসি খাবারে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন প্রত্যেককে দৌড়াতে হয়। তাই অনেকের পক্ষেই সময়মতো উপযুক্ত খাবার খাওয়া হয়ে ওঠে না। অনেকেই টাটকা রান্না করা খাবার খেতে পারেন না। অনেককেই তাই রেখে দেওয়া খাবার বারবার গরম করে খেতে হয়। কিন্তু কিছু খাবার আছে, যা বারবার গরম করে খেলে স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ে। পরিচিত কয়েকটি খাবার কয়েকবার গরম করে খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এ রকম কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জেনে নিন:
ডিম: ডিমকে প্রোটিনের পাওয়ার হাউস বলা হয়। অনেকেই নাশতায় ডিম রাখেন। ডিম বারবার গরম করে খেলে এর প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায় বলে অনেকেই টাটকা রান্না করা ডিম পছন্দ করেন। তাই যাঁরা ডিম পছন্দ করেন, তাঁরা কয়েকবার জ্বাল দেওয়া ডিম এড়িয়ে যাবেন। অবশ্য ফ্রিজে রাখা ডিম তিন–চার দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
তেল: একই তেলে বারবার রান্না করা কোনো খাবার খাওয়া থেকে সাবধান থাকতে হবে। অনেকেই রাস্তার পাশে বা ফুটপাতের খাবার এ কারণেই এড়িয়ে যান। একই তেলে রান্না নানা রকম খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যখন কোনো কিছু ভাজার জন্য তেল বেশি গরম করা হয়, তখন তেলের গঠন পরিবর্তন হয় এবং এতে বিষাক্ত উপাদান তৈরি হয়। এ তেল হৃদ্যন্ত্রের জন্য খারাপ। রক্তে বাজে কোলস্টেরল তৈরির জন্যও তেল দায়ী। তাই বারবার একই তেল ব্যবহার করে রান্না করা খাবার এড়িয়ে যান।
আলু: অনেক খাবারেই আলু ব্যবহার করা হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, রান্না করা আলু বাইরে রেখে বারবার গরম করে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই আলু দিয়ে তৈরি কোনো খাবার খাওয়া হয়ে গেলে তা দ্রুত ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে। বাইরে ফেলে রাখা আলুতে দ্রুত বটুলিজম সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। তাই আলুযুক্ত খাবার বারবার গরম করে খাওয়ার আগে সচেতন থাকুন।
মুরগি: ই.কোলি থেকে সালমোনেলার মতো নানা ব্যাকটেরিয়া দ্রুত মুরগির ওপরে বাড়তে শুরু করে। মুরগি যদি ঠিকমতো রান্না বা সংরক্ষণ করা না হয়, তবে মুরগি খাওয়া বিপজ্জনক। সব সময় মুরগি খাওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন, তা ঠিকমতো রান্না বা ঠিকমতো সংরক্ষণ করা হয়েছে কি না। মুরগি খাওয়ার আগে কমপক্ষে দুই মিনিট গরম করে নিয়ে তারপর খাবেন। এতে ব্যাকটেরিয়া থাকলে তা মারা যাবে। একবার গরম করা মুরগি খাওয়া যায়। কিন্তু মুরগি বারবার গরম করে না খাওয়াই ভালো।
পালং: পালং শাকও বারবার গরম করে খাওয়া ঠিক নয়। পালং শাককে পুষ্টিকর খাবার বলা হলেও বারবার জ্বাল দিলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। মনে রাখতে হবে, পালং শাকে আছে নাইট্রেট, যা জ্বাল দিলে নাইট্রাইটসে পরিণত হয়। অনেক সময় এ থেকে ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তাই বারবার জ্বালানো পালং এড়ানোই উচিত।