ওয়েস্টিনের বলরুমে ‘শাহেনশাহ’ ছবির মহরতে নায়ক শাকিব খান ধন্যবাদ দিলেন বুবলীকে। ছবিতে নেই বুবলী, তাই তাঁকে ধন্যবাদ দেওয়ার কারণ বুঝতে পারলেন না কেউই। পরিষ্কার করলেন শাকিবই, বুবলীর দেখানো পথেই আরেক নায়িকা রোদেলাকে পেল ঢালিউড। মিলটা হলো, দুজনই সংবাদ পাঠিকা। আরেকটা মিলও আছে, যেটা অবশ্য শাকিব বলেননি, দুজনই সংবাদ পাঠ করেছেন বাংলাভিশনে।
এই কথা মনে করিয়ে দিতেই হাসলেন রোদেলা জান্নাত , ‘আসলে সংবাদ পাঠিকা থেকে অভিনয়ে এলে কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। ক্যামেরার সামনে জড়তা থাকে না। এটা বড় একটা ধরনের গ্রুমিং। আমি অবশ্য খুব বেশিদিন সংবাদ পাঠ করিনি।’
রোদেলার বেড়ে ওঠা ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে। পড়েছেন বিএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন করেছেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে। এখন পিএইচডি করছেন বিজনেস ইনফরমেশন টেকনোলজির ওপর, মালয়েশিয়ার লিমককউইং ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে। পড়াশোনায় খুব মনোযোগী। এরপর তাঁর সবচেয়ে বেশি আগ্রহের বিষয় অভিনয়। মনেপ্রাণে চাইছিলেন শাকিব খানের বিপরীতেই হোক শুরুটা, “বললে হয়তো বিশ্বাস করবেন না, শাকিব স্যারের নায়িকা হয়েই পথচলা শুরু করতে চাইতাম। কিন্তু কোন পথে এগোব জানা ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ার সহায়তায় শাকিব স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ হলো। যোগাযোগটা সোশ্যাল মিডিয়াতেই সীমাবদ্ধ ছিল। ‘শিকারী’র প্রচারণায় তিনি যখন মালয়েশিয়ায় এলেন, তখন দেখা করলাম। প্রথম দেখায়ই তিনি আমাকে ইতিবাচক সংকেত দিলেন। বললেন বাংলাদেশে এসে দেখা করতে।”
গবেষণার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন রোদেলা। চেষ্টা করেও বাংলাদেশে ফিরতে পারছিলেন না। এর মধ্যেই শাকিবের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ নিতেন। ফাইনালি মাস চারেক আগে বাংলাদেশে এসে শাকিবের সঙ্গে দেখা করেন। কী বললেন শাকিব? ‘গ্রুমিং করতে বললেন।’ পরামর্শ মেনেছেন? ‘অবশ্যই। শাকিব স্যার যেসব পরামর্শ দিয়েছেন, সেসব করতে আমার বেগ পেতে হয়নি। আমি আগে থেকেই অ্যারোবিকস করি। এটাই সব কিছু সহজ করে দিল। অভিনয় কেমন পারব তা ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেই বোঝা যাবে।’