class="post-template-default single single-post postid-18320 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

ডা. হুমায়ুন কবীর হিমুর পরামর্শ : আর্থ্রাইটিস হলে যা করবেন

আর্থ্রাইটিস

ডা. হুমায়ুন কবীর হিমুর পরামর্শ : আর্থ্রাইটিস হলে যা করবেন

জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধির ব্যথার মূল কারণ এর প্রদাহ। বিশ্বব্যাপী আর্থ্রাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক। আর্থ্রাইটিস বা বাত ব্যথার অন্যতম এবং পরিচিত রোগ- রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস।

রোগের উপসর্গ: এ রোগে সাধারণত হাত ও পায়ের ছোট জোড়াগুলো বেশি আক্রান্ত হয়। প্রায়ই সমানভাবে দুই পাশের অর্থাৎ ডান ও বাম দিকের জোড়াগুলোতে ব্যথা হয়। বড় বড় জোড়া যেমন- কনুই, কাঁধ, হাঁটু ও গোড়ালিও আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় ঘাড়েও ব্যথা হতে পারে। এ রোগের ব্যথা কাজ করলে কমে কিন্তু বিশ্রাম নিলে বেড়ে যায় এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় ব্যথা বেশি অনুভূত হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আস্তে আস্তে কমে আসে। আক্রান্ত জোড়াগুলো ফুলে যায়।

সকালে ঘুম থেকে জাগলে আক্রান্ত জোড়াগুলো শক্ত শক্ত মনে হয়। এই শক্ত ভাব এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে থাকে। নড়াচড়া করার পর এটা কিছুটা কমে যায়।

 

ব্যথার সঙ্গে রোগীর জ্বর হতে পারে। শরীরের ওজন কমে যেতে পারে। অনেক সময়-আক্রান্ত জোড়ার কাছাকাছি মাংস শুকিয়ে যেতে পারে।

রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। প্লিহা বড় হতে পারে। চোখ লাল হতে পারে। হূৎপিণ্ডের পর্দা ও ভাল্‌ভে অসুবিধা দেখা দিতে পারে।

 

শ্বাসযন্ত্রেরও অসুবিধা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন এ রোগে ভুগলে শরীরের জোড়াগুলো তার নিজস্ব আকৃতি হারিয়ে ফেলতে পারে। ফলে রোগীর বিভিন্ন রকম অক্ষমতা দেখা দিতে পারে। এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তি পুরোপুরি পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।

 

চিকিৎসা: চিকিৎসার শুরুতে রোগীকে রোগ সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। রোগের প্রকৃতি বোঝাতে হবে। অর্থাৎ জানাতে হবে যে রোগটি সম্পূর্ণভাবে হয়তো ভালো হবে না। তবে উপযুক্ত চিকিৎসা নিয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং রোগের মারাত্মক ঝুঁকি যেমন- পঙ্গুত্ব থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

 

রোগ ব্যবস্থাপনা: ব্যথা কমানোর জন্য বেদনা নাশক ওষুধ হিসেবে ইনডোমেথাসিন, নেপ্রক্সেন, ডাইক্লোফেন বা সিলিককসিড জাতীয় ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।

 

প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে রোগীকে ডিএমআরডি জাতীয় ওষুধ দিতে হবে, যাতে রোগ বেশি মারাত্মক আকার ধারণ করতে না পারে। প্রয়োজন হলে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। অন্যান্য চিকিৎসার পাশাপাশি নিয়মিত ও পরিমিত ব্যায়াম এ রোগের জন্য খুবই জরুরি। ওষুধের পাশাপাশি কিছু ফিজিক্যাল থেরাপি যেমন ওয়াক্সবাথ বা মোমথেরাপি, সাউন্ড থেরাপি, হাইড্রোথেরাপি বেশ উপকারী।

 

রোগ নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য রোগীকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে, যাতে সে পঙ্গুত্ব হতে রেহাই পেতে পারে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!