কালোজিরা মানেই কালো হীরা! জেনে রাখুন এর উপকারিতা
কালো জিরাকে বলা হয় ‘মৃত্যু ছাড়া সর্ব রোগের মহৌষধ’। আবার অনেকে একে বলে, কালো হীরা। প্রাচীনকাল থেকেই নানা অসুখ-বিসুখে কালো জিরাকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন চিকিৎসক-কবিরাজরা। মাথার চুল থেকে পায়ের নখ- সব অঙ্গের রোগ নিরাময়ে জুড়ি নেই কালো জিরার। সর্দি-কাশি, আমাশয়, ফুসফুসের প্রদাহ, মাথার যন্ত্রণা থেকে শুরু করে জন্ডিস সব রোগেরই উপযুক্ত দাওয়াই এই কালো জিরা।নিচে কালো জিরার কিছু গুণ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
● কালো জিরা ভর্তা আমরা অনেকেই শখ করে খাই। রান্নার মশলার মধ্যে কালো জিরার গুণাগুণের তুলনা নেই। কালো জিরা শুধু ক্ষুধা বাড়ায় তা নয়, পেটের বায়ুনাশক ও ফুসফুসের রোগেও মহাউপকারী।
● আমাশয়ের সমস্যায় কালো জিরা মহৌষধ। এ সময় কালো জিরা সামান্য ভেজে গুঁড়ো করে ৫০০ মিলিগ্রাম হারে ৭-৮ চা চামচ দুধে মিশিয়ে সকালে ও বিকেলে সাত দিন খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
● সর্দি-কাশিরর জন্য গ্লান্ড ফুলেছে? সে ক্ষেত্রে কালো জিরা ও চাল পোড়া সমান পরিমাণে নিয়ে বেটে প্রলেপ দিলে এক দিনের মধ্যে ফোলা ও ব্যথা উভয়ই উপশম হয়।
● কালো জিরা বেটে কামড়ের জায়গায় লাগিয়ে দিলে অল্প সময় পরই বিছার হুলের জ্বালা কমে যায়।
● কালো জিরা বেটে মাথায় নিয়মিত মালিশ করলে চুল পড়া কমে ও নতুন চুল গজায়।
● গরম জলে কালোজিরা নিয়ে তা দিয়ে কুলি করলে দাঁতের ব্যথার উপশম হয়।
● ঘিয়ের সঙ্গে কালোজিরা মিশিয়ে খেলে মুখ উজ্জ্বল হয় ও রং ফর্সা হয়।
● কাঁচা সর্দি থেকে মাথায় যন্ত্রণা হচ্ছে? এ ক্ষেত্রে কালোজিরা কাপড়ে পুঁটলি করে বেঁধে শুকোতে হবে। হাতে রগড়ে নিয়ে সেই গন্ধটা শুকলে উপকার পাওয়া যায়।
● যে সব মহিলা অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যায় ভোগেন, তাদের পিরিয়ড শুরুর পাঁচ-সাত দিন আগে থেকে অল্প গরম জলে ৫০০ মিলিগ্রাম কালোজিরা মিশিয়ে সকালে ও বিকেলে খেলে পিরিয়ড নিয়মিত হবে।
● কালো জিরা ভাজা তেল গায়ে মাখলে চুলকানিতে উপকার হয়। এতে ১০০ গ্রাম সরষের তেলে ২৫-৩০ গ্রাম কালোজিরা ভেজে সে তেল ছেঁকে নিয়ে ব্যবহার করতে হয়।
● ভিনেগারে ভিজিয়ে কালোজিরা খেলে কৃমি নষ্ট হয়।
● স্মৃতিভ্রংশ ও স্মরণশক্তির দুর্বলতায় কালোজিরা খুব কার্যকর। ৩ গ্রাম কালো জিরা ২০ মিলিলিটার মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এ রোগ সারে। এতে সর্দি-কাশিও থাকবে একশ গজ দূরে।
● কালো জিরা বেটে খেলে জন্ডিস, প্লীহাবৃদ্ধি ভালো হয়।
● নিয়মিত কালো জিরা খেলে প্রস্রাব পরিষ্কার হয়ে যায়।