বেতন পাওয়ার পর প্রথম ক’টা দিন ঠিকঠাক কাটে। তার পরেই নানা ইএমআই, পারিবারিক খরচ, ব্যক্তিগত খরচ, কেনাকাটা— এ সব সামলে পকেটে টান পড়ে অনেকেরই।
যদিও খরচ সামলে সঞ্চয়ের দিকে পাল্লা ভারী করতে আমরা প্রত্যেকেই চাই। তবে আধুনিক জীবনযাত্রা ও বাজারদরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টাকা জমানো আর হয়েই ওঠে না। মাসের মাঝে এসেই কাটছাঁট করতে হয় খরচ।
তবে বেশ কিছু কৌশল ও হিসাব মাথায় রাখলেই কিন্তু এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। জেনে নিন সে সব উপায় আর বাজেট তৈরি করুন সে ভাবেই।
- আজকাল বেশ কিছু অ্যাপ পাওয়া যায়, যেখানে সারা মাসের আয়-ব্যয়ের হিসাব কষে নেওয়া খুবই সহজ। এমনকি, আগে থেকে দিয়ে রাখা হিসাব থেকে কোনও কারণে বেশি খরচ হলে সেই খবর অ্যাপই জানান দেবে আপনাকে। তেমন একটা অ্যাপ নামিয়ে নিন প্লে স্টোর থেকে।
- মাসের শুরুতেই একটা হিসাবের খাতা করুন। সেখানে লিখে রাখুন মাসের শুরুতেই কোথায় কত খরচ, তার হিসাব। সেই হিসাব বদলালেও তা-ও লিখুন খাতায়। রোজই আপডেট করুন সেই তালিকা। তাতে আপনার আয়-ব্যয়ের সঙ্গতি রক্ষা সহজ হবে।
- অনলাইন শপিংয়ের নেশা আছে? সে অভ্যাস বদলান দ্রুত। মনোবিদদের মতে, অনলাইন শপিং এক ধরনের নেশা। যার প্রকোপে পড়ে ঘন ঘন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়ছে ভারতীয়দের মধ্যে। ক্রেডিট কার্ডের ধারের বোঝা কিন্তু খরচের বোঝা বাড়ায়।
- কেউ বা প্রচুর বই পড়েন, কেউ বা অন্য কোনও শখে খরচ করে ফেলেন মাত্রাতিরিক্ত। এমন হলে এই ধরনের খরচে রাশ টানুন। বরং এক বছরে কী কী কিনবেন তার তালিকা মাস ধরে ভাগ করে নিন। লক্ষ্য রাখুন যেন কেনার মাত্রা প্রয়োজনের বাইরে না চলে যায়।
- প্রচুর বাইরে খান? ‘ইটিং আউট’-এর ক্ষেত্রে কিন্তু খরচ বেড়ে যায় অনেক। আজকাল এমনিতেই কর সমেত খাওয়ার খরচ কয়েক বছরে বেশ বেড়েছে। তাই হিসাবহীন খরচে লাগাম পরান। বন্ধ করুন ঘন ঘন ইটিং আউট।