সংক্রমণঃ
হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) হিউম্যান পেপিলোমা বা এইচপি ভাইরাস জরায়ুমুখের ক্যানসারের একটি অন্যতম কারণ।
যৌন সংযোগে এর সংক্রমণ ঘটে।
জরায়ুতে এইচপি ভাইরাস হলে।
লক্ষণঃ
অতিরিক্ত সাদাস্রাব
দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব
অতিরিক্ত অথবা অনিয়মিত রক্তস্রাব
সহবাসের পর রক্তপাত
মাসিক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবার পর পুনরায় রক্তপাত
কোমড়-তলপেট বা উড়ুতে ব্যথা ইত্যাদি
সনাক্তকরণঃ
এই রোগ থেকে মুক্ত থাকতে যে সকল মহিলার বয়স ৩০ এর বেশী (বাল্য বিবাহ হলে ২৫ এর বেশী) তাদের প্রতি তিন বছর পর পর স্ত্রী রোগ চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কর্মী দ্বারা জরায়ু মুখ পরীক্ষা করানো উচিত।
প্রতিরোধকঃ
প্রথমে দেখা যাক প্রতিরোধ করা যায় কিভাবে। বর্তমানে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে অতি কার্যকর টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে। টিকা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত জরায়ু পরীক্ষা ও সচেতনতা জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের আক্রান্তের হার কমিয়ে দেয় বা খুব প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার প্রাথমিক লক্ষণ ধরা যায়।
১০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের সব মেয়ে বা নারী জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকা নিতে পারেন। এ টিকার তিনটি ডোজ নিতে হয়।
১ম ডোজ- যে কোন দিন, ২য় ডোজ- ১ম ডোজের ১ মাস পর, ৩য় ডোজ- ১ম ডোজের ৬ মাস পর
এ টিকা দীর্ঘমেয়াদি জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম।
জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রারম্ভিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ পদ্ধতি বিভিন্ন হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে আছে।
প্রজননক্ষম মেয়েদের (১৫-৪৫ বছর) বা যাদের কোনরকম সন্দেহ হচ্ছে- যে ক্যান্সার টেস্ট করা দরকার বছরে ১ বার বা নেগেটিভ ক্ষেত্রে ৩ বছর পর পর এ টেস্ট করতে হবে।
আমাদের দেশে প্রতিটি মেয়ে বা নারীকে সচেতন হতে হবে এবং পরিবারের সদস্যরা এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন যাতে এ ঘাতকের হাত থেকে তার প্রিয়জনকে রক্ষা করতে পারেন।