class="post-template-default single single-post postid-17792 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

ক্যান্সার চিকিৎসায় গবেষকদের নতুন সাফল্য

ক্যান্সার ক্যান্সারের cancer ক্যান্সার রোগীর

 

ক্যান্সার চিকিৎসায় গবেষকদের নতুন সাফল্য

ক্যান্সার চিকিৎসা নিয়ে নতুন সাফল্যের খবর দিলেন যুক্তরাজ্যের গবেষকরা। একই সঙ্গে তাঁরা চিকিৎসার জন্য নতুন কিছু ধারণাও নিয়ে এসেছেন। গবেষকদের ভাষ্য, নতুন পদ্ধতিতে পুরো শরীরের জন্য ওষুধ না দিয়ে শুধু আক্রান্ত কোষগুলোর চিকিৎসা সম্ভব। সম্প্রতি এসংক্রান্ত গবেষণাপত্র আন্তর্জাতিক সাময়িকী ‘নেচার’-এ প্রকাশিত হয়েছে।

ওয়েলকাম স্যাংগার ইনস্টিটিউটের একটি দল ৩০ ধরনের ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৬০০ নতুন ধরনের ঝুঁকি নিরসন করা সম্ভব হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। বর্তমানে ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। আর এর প্রতিক্রিয়ায় পুরো শরীরেই কমবেশি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।

গবেষকদের একজন ডা. ফিওনা বেহান। তাঁর মা ক্যান্সারে দুইবার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। প্রথম দফায় ডা. বেহানের মাকে যে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়, তাতে তাঁর হৃদ্যন্ত্রের ক্ষতি হয়। ফলে দ্বিতীয়বার যখন তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হলেন, তখন চিকিৎসা নেওয়ার মতো অবস্থা তাঁর ছিল না।

ডা. বেহান বলেন, ‘বর্তমানে যে চিকিৎসা পদ্ধতি প্রচলিত আছে তা ক্যান্সারের রোগীর পুরো শরীরের চিকিৎসা। সুনির্দিষ্টভাবে ক্যান্সারের কোষগুলোকে চিহ্নিত করা হয় না। এ গবেষণায় আমরা ক্যান্সারের কোষগুলোর দুর্বলতম স্পটগুলোকে শনাক্ত করেছি এবং এটি আমাদের ওষুধ তৈরিতে সহায়তা করেছে। এগুলো শুধু ক্যান্সার কোষগুলোরই চিকিৎসা দেবে। অক্ষত রাখবে ভালো কোষগুলোকে।’

ক্যান্সার মানুষের শরীরের ভেতরের কোষগুলোকে পরিবর্তন করে দেয়। ফলে ডিএনএ নির্দেশনাও পরিবর্তন হয়ে যায়। পরে ধীরে ধীরে আক্রান্ত কোষগুলো ছড়াতে থাকে। একপর্যায়ে মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। এখন গবেষকরা বলছেন, তাঁরা ক্যান্সারের জিনগুলো অকার্যকরের পথে অগ্রগতি অর্জন করেছেন। প্রায় ৩০ ধরনের ক্যান্সার থেকে ল্যাবরেটরিতে বেড়ে ওঠা ৩০০টির বেশি টিউমারের জিন বাধাগ্রস্ত করেছেন তাঁরা। এ জন্য তাঁরা বিশেষ ধরনের জেনেটিক টেকনোলজি ব্যবহার করেছেন, যেটি গত বছর চীনে ব্যবহৃত হয়েছিল।

ডা. বেহান বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি ক্যান্সার সেলগুলোতে কী হচ্ছে, যাতে সুনির্দিষ্টভাবেই ওই কোষগুলোর দিকে বন্দুক তাক করা যায়।’

গবেষকদের প্রধান লক্ষ্য, সব ধরনের ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য ‘ক্যান্সার ডিপেনডেন্সি ম্যাপ’ প্রণয়ন করা। এর ফলে চিকিৎসকরা টিউমারগুলো টেস্ট করে আক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংসের জন্য ওষুধ দিতে পারবেন। সূত্র : বিবিসি।

https://www.youtube.com/watch?v=AoO_iZhlnGs&fbclid=IwAR1fD4b0LralvLbo1wgWICRX_AsImAZQRl6QvyZoW8sSCHiMGgi0tL_3Iyo

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!