ঈদের আগেই ৫ শর্তে মুক্তি পাচ্ছেন খালেদা জিয়া !
বিএনপি মুখে যতই বলুক সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নয়, কিন্তু নাটকীয়ভাবে ৫ জন সংসদ সদস্যর শপথ গ্রহণ এবং সরকারের পক্ষ থেকে তাদের স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির পথ উম্মোচিত হলো কিনা সেই আলোচনা এখন রাজনীতিতে এসে গেছে। অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক বলছেন, এটার ফলে খালেদা জিয়ার মুক্তির পথ উম্মুক্ত হলো। বাংলাদেশ জার্নাল
প্রশ্ন হলো, খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন কীভাবে? বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে যে, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান ২ জনই ভিন্ন ভিন্নভাবে সরকারের সঙ্গে দরকষাকষি করছেন। খালেদা জিয়ার ছোটভাই শামীম ইস্কান্দার সরকারের একাধিক প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই যোগাযোগ সফল হলেই খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন।
এদিকে সরকারের একাধিক সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির আগে বিএনপিকে ঢেলে সাজাতে হবে। সেই লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৫টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবগুলো হলো-
১. জাতির পিতাকে বিএনপির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। বিএনপির গঠনতন্ত্রে জাতির পিতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
২. বিএনপিকে ১৫ আগস্ট শোক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। ১৫ আগস্টে শোক দিবসের রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে।
৩. জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে সরকারের পক্ষ থেকে যে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, সেই অনুষ্ঠানে বিএনপিকেও শামিল হতে হবে।
৪. খালেদা জিয়া জামিন বা প্যারোল যেটাই পান না কেনো সেটি নিয়ে তিনি বিদেশে যাবেন না, বিদেশে গেলেও তিনি স্বল্পকালীন সময়ের জন্য যাবেন।
৫. বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাস সহিংসতার যে মামলাগুলো রয়েছে সেগুলো অব্যাহতভাবে চলবে।