ডায়াবেটিস এখন প্রায় ঘরে ঘরেই হানা দিয়েছে। উপমহাদেশে যে পরিমাণ টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগী আছে তা সম্ভবত ইউরোপ আমেরিকার আর কোনো অংশে নেই। প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা। কাড়ি কাড়ি ওষুধ গিলে হয়রান রোগীরাও। অথচ একটু আশপাশে নজর দিলেই বেরিয়ে আসবে প্রাকৃতিক সমাধান। শুধু যে চিনি খাওয়া বন্ধ করতে হবে তা নয়, খাদ্যাভ্যাসে যৎসামান্য কিছু পরিবর্তন আনলে ডায়াবেটিসকে স্টোররুমে তালা মেরে রেখে দেওয়া যাবে দিনের পর দিন।
মেথি দানা: রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে চমৎকার কাজ করে মেথি। রাতে আধ চা চামচ মেথি দানা ভিজিয়ে রাখুন। সকালে মুখ ধুয়ে খালি পেটে তা গিলে ফেলুন। দেখুন সুগার কমে কোথায় দাঁড়ায়! বিশেষ দ্রষ্টব্য: টাইপ-১ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস ছাড়াও মেথি রক্তে কোলেস্টেরল ও চর্বিও কমায়। এমনকি কৃমির বিরুদ্ধেও এটি যুদ্ধ ঘোষণা করে।
জাম: জামের মৌসুমে বেশি করে জাম তো খাবেন, পারলে এর বিচিটা সংরক্ষণ করে রাখুন। জামের বিচির পাউডার ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে ওষুধের মতোই কাজ করে।
পেয়ারার চামড়া নয়: ফলটি সারাবছরই পাওয়া যায়। প্রচুর ভিটামিন সি আর ফাইবার আছে এতে। তবে এর চামড়া কিন্তু সুগার লেভেল বাড়িয়ে দেবে। তাই পেয়ারা খাওয়ার আগে অবশ্যই চামড়া ফেলে দেবেন।
আমলকী: আমলকীর জুস রক্তে চিনির মাত্রা কমায়।
সবুজ চা: অনেক রোগের মতো ডায়াবেটিসেরও অন্যতম শত্রু সবুজ চা ওরফে গ্রিন টি। রক্তে চিনির পরিমাণ কমানোর পাশাপাশি ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ায়।
ভিটামিন ডি: টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের অনেকেই নানা ধরনের ব্যথার সমস্যায় ভোগেন। তাদের জন্য সমাধান হলো ভিটামিন ডি। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর লয়োলা ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের নিউরোপ্যাথিক ও স্নায়ুসংক্রান্ত ব্যথার উপশমে ভিটামিন ডি ক্যাপসুল বেশ কাজে আসে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত একদল মানুষকে টানা ছয় মাস ৫০ হাজার আইইউ মাত্রার ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাইয়ে গবেষকরা এর প্রমাণ পেয়েছেন।