পরিবর্তিত জীবনযাত্রার প্রভাব বা বংশগত কারণে যে অসুখগুলো আমাদের সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করে, তাদের অন্যতম থাইরয়েড। রক্ত পরীক্ষা ছাড়া এই অসুখের হানা হাতেনাতে প্রমাণ হওয়ার আর কোনও অবকাশ নেই। সাধারণ চোখে এই অসুখের বিরাট কিছু লক্ষণও ধরা পড়ে না, কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, সচেতন থাকলে বা উপসর্গ জানা থাকলে সহজেই বুঝতে পারবেন এই অসুখের আক্রমণ। যত দ্রুত ওষুধ শুরু করবেন, ততই দূরে থাকবেন বিপদসীমার।
তবে তার আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন থাইরয়েড কী আর তা অবহেলা করলে কীই বা ঘটতে পারে? এন্ডোক্রিনোলজিস্ট সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘আমাদের স্বরযন্ত্রের দু’পাশে থাকা বিশেষ যে গ্রন্থি থাকে, তাকেই বলে থাইরয়েড। থাইরয়েড হরমোন ক্ষরণ করাই এর মূল কাজ। শরীরে এই হরমোনের কার্যকারিতা বিরাট। থাইরয়েড হরমোন কম ক্ষরণ হলে তাকে বলা হয় হাইপোথাইরয়েডিসম এবং বেশি হলে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিসম।’’
চিকিৎসকদের কথায়, এই গ্রন্থি এন্ডোক্রিন সিস্টেমের একটি অংশ। বিভিন্ন গ্রন্থির সমন্বয়ে তৈরি এই এন্ডোক্রিন সিস্টেম। হৃদস্পন্দন, ত্বকের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ , রক্ষণাবেক্ষণ, বৃদ্ধি, উর্বরতা ও হজমের মতো শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কাজে প্রভাব ফেলে থাইরয়েড হরমোন। কাজেই এর অবহেলায় শারীরিক নানা সমস্যা হানা দিতে পারে। এমনিতে ওষুধবিষুধ নিলে এ অসুখ নিরীহ। কিন্তু দিনের পর দিন থাইরয়েডের সমস্যাকে অবহেলা করলে মৃত্যুও হতে পারে। তাই নিশ্চিত হতে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করান। তবে কী কী উপসর্গ দেখলে থাইরয়েড পরীক্ষা করাতেই হবে তা দেখে নিন।