class="post-template-default single single-post postid-807 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলার উপকারগুলো জেনে নিন

পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলার উপকারগুলো জেনে নিন

কলা খাওয়া মানেই পটাশিয়ামের এন্ট্রি ঘটা শরীরে। আর দেহে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়তে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। আর এমনটা হলে আয়ু বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। তাই প্রতিদিন এই ফলটি খেলে শরীরের যে কোনও ক্ষতিই হয় না, সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব অ্যালাবেমার গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় উঠে এসেছে এক আজব তথ্য। তারা জানাচ্ছেন প্রতিদিন কলার মতো আরও সব পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফল খেলে আর্টারির কর্মক্ষমতা নাকি মারাত্মক বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। আর হার্ট যদি একবার ঠিক মতো কাজ করা শুরু করে দেয়, তাহলে শরীর নিয়ে কোনও চিন্তাই থাকে না।  শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে হার্টে রক্ত সরবরাহকারি শিরা-ধমনিগুলি স্টিফ হতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তার সরাসরি প্রভাব পরে হার্টের উপর। সেই কারণেই তো হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমাতে চিকিৎসকেরা নিয়মিত কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

১. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:

কলা খাওয়ার পর যদি কলার খোসা মুখে লাগাতে পারেন, তাহলে  ত্বকের রোগের প্রকোপ কমে,  স্কিনের হারিয়ে যাওয়া ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসে। আসলে কলার খোসার ভেতর থাকা একাধিক উপাকারি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।  কলার খোসায় থাকা উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিডও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২. পুষ্টির ঘাটতি দূর করে:

শরীরের সচলতা বজায় রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় ভিটামিন এবং মিনারেলের প্রয়োজন পরে শরীরের। আর এসব উপাদানের যোগান শরীর পায় খাবারের মাধ্যমে। সমস্যাটা হল আজকের প্রজন্ম এতটাই ব্যস্ত যে তাদের হাতে ঠিক মতো খাওয়া-দাওয়া করার সময় নেই। ফলে যা হওয়ার তাই হয়, পুষ্টির ঘাটতি হওয়ার কারণে নানাবিধ রোগ এসে বাসা বাঁধে শরীরে। এমন পরিস্থিতি কলা কিন্তু দারুন কাজে আসতে পারে। কিভাবে? এই ফলটির শরীরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এবং মিনারেল। সেই সঙ্গে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফলেটের মতো উপাদান, যা শরীরকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. ওজন কমায়:

কলার শরীরে পটাশিয়াম ছাড়াও রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে খাওয়ার পরিমাণ কমতে শুরু করে। আর কম খেলে যে ওজনও কমে, এটি আমরা সবাই জানি। ফাইবার কনস্টিপেশনের মতো রোগ সারাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪. রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:

কলায় উপস্থিত পটাশিয়াম শরীরে নুনের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে নিয়মিত কলা খেলে দেহে নুনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সুযোগ পায় না। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।

৫. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে কলার ভেতর এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটে। তাই কখনো হজম শক্তির সমস্যায় ভোগলে কলা খেয়ে দেখতে পারেন।

৬. রক্তাল্পতা দূর করে:

কলায় রয়েছে বিপুল পরিমাণে আয়রন, যা শরীরে লহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বৃদ্ধি করার মধ্যে দিয়ে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা এমন রোগে ভুগছেন, তারা আয়রন ট্য়াবলেটের পাশাপাশি যদি নিয়ম করে কলা খেতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুন উপকার মিলতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!