পাইলস থেকে মুক্তি দেয় করলা!
গরম মানেই দুপুরে ভাতের সাথে কিছুটা তেতো তরকারীর স্বাদ। সেটা উচ্ছে বা করলা হতে পারে। শরীর-পেট ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি প্রতিটি সবজি আরও অনেক সমস্যার সমাধান করে। উচ্ছে যেমন লো ক্যালোরির তেমনি প্রচুর নিউট্রিয়েন্টস রয়েছে এতে। তাই নিয়মিত উচ্ছের রস বা সিদ্ধ খেলে ভিটামিন ১, ২, ৩, সি, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, জিঙ্ক, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ আর ফাইবার শরীরে জমা হবে। এছাড়াও, এতে আছে আয়রন, বিটা-ক্যারোটিন, পটাশিয়াম। যা শরীর মজবুত করতে সাহায্য করে। আজ জেনে নিন উচ্ছের গুণাগুণ-
১. রক্ত বিশুদ্ধ করেঃ অনেক সময়েই দূষিত পদার্থ রক্তে জমে গায়ে চুলকানি দেখা যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এর জন্য সামান্য পরিমান উচ্ছের রসের সঙ্গে সম পরিমাণ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে রোজ সকালে খালি পেটে টানা ৩-৪ মাস খেতে পারলে এই সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে।
২. ক্যান্সারের প্রতিরোধ করেঃ উচ্ছের রসে এক ধরনের এনজাইম থাকে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করে এবং নতুন করে আর এই কোষ তৈরি হতে বাধা দেয়। যার ফলে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা কমে।
৩. সুগার কমায়ঃ উচ্ছের মধ্যে প্রাকৃতিক ইনসুলিন রয়েছে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে হাইপোগ্লাইসেমিক কম্পাউন্ড। এই বিশেষ উপাদানের সাহায্যে উচ্ছে ইনসুলিনের মাত্রা না বাড়িয়ে ইউরিন ও রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪. দৃষ্টিশক্তি উন্নত করেঃ উচ্ছে বা করলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে থাকা বিটা ক্যারোটিন চোখের দৃষ্টি ভালো রাখে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।
৫. পাইলস থেকে মুক্তিঃ এক গ্লাস দুধে তিন চা-চামচ উচ্ছে পাতার রস মিশিয়ে খালি পেটে টানা এক মাস খেলে অনেকটাই উপকার পাবেন। জ্বালা-ব্যথা কমাতে উচ্ছে গাছের শিকড় বেটে পাইলসে লাগাতে পারেন। আরাম মিলবে অনেকটাই।
৬. ফুসফুসের সমস্যার সমাধান করেঃ রোজ খালি পেটে উচ্ছের রসের সঙ্গে সম পরিমাণ মধু আর জল মিশিয়ে খেলে আস্থেমা,ব্রংকাইটিস বা ফ্যারিনজাইটিসে রোগে যারা ভোগেন তাঁরা ওষুধ ছাড়াই ভালো থাকবেন।
৭. লিভার ভালো রাখেঃ উচ্ছের রস লিভার পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। এই রস বিষাক্ত রক্তকে পরিষ্কার করে,রক্তের চলাচলকে সহজ করে ও গেঁটে বাতের ব্যথা উপশম করে। এক সপ্তাহ প্রতিদিন এক গ্লাস করলার রস পান করলে লিভারের যে কোনো সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।