ঝাল মরিচ খেয়ে যতই মুখ জ্বলুক না কেন, ভেতরের জন্য এটা বেশ উপকারী। বিশেষ করে শরীরের বিভিন্ন স্থানের ব্যথা কমাতে মরিচের ঝালের জুড়ি নেই। তাই বলে একগাদা মরিচ খেয়ে পেটের বারোটা বাজাবেন না আবার। খেতে হবে পরিমাণমতো ও সহনীয় মাত্রায়। তবে ঝালের জাদুই শেষ কথা নয়, মরিচে আছে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি। যা শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুকে মেরামত তো করবেই পাশাপাশি যেসব টিস্যুর কারণে ব্যথা হয় সেগুলোও সারিয়ে তুলবে। মরিচে থাকা ক্যাপসাইসিন-ই সব কাজের কাজী।
প্যারাসিটামলের বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন আদা। আদায় আছে তিনটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। সব কটাই ব্যথানাশকের কাজ করে। নিয়মিত আধ চামচ করে কাঁচা অথবা রান্না করা আদা খেতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে নিয়মিত খাওয়াটা জরুরি। ব্যথা শুরু হলো আর আদা খেয়ে ফেললাম, এমনটা হলে কিন্তু কাজ হবে না!
ব্যথা কমাতে হলুদও রীতিমতো বিস্ময় মশলা। এখন তো পোস্ট অপারেটিভ-এর ব্যথা কমাতে সরাসরি হলুদ ব্যবহার করা হয়। আগের দিনেও তো ঘা শুকাতে হলুদের পেস্ট ব্যবহার করতো অনেকে। তো ব্যথা কমাতে চাইলে হলুদ খেতে পারেন। কীভাবে? রান্নায় একটু বেশিই দিয়ে দিন। অথবা আধ চামচ হলুদ দিয়ে ডিম ভেজে নিন। গন্ধ সহ্য করতে পারলে গরম দুধ বা চায়েও খেতে পারেন।