class="post-template-default single single-post postid-871 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

ব্লাড প্রেশার দূরে রাখে যে খাবারগুলো

ব্লাড পেসার দূরে রাখে যে খাবারগুলো

পশ্চিমি দেশগুলির পাশাপাশি এশিয়া মহাদেশেও গত কয়েক বছরে রক্তচাপ সংক্রান্ত রোগের প্রসার চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পয়েছে। একদলের মতে এশিয়ানদের শারীরিক গঠনের কারণে নাকি তাদের জন্ম থেকেই নানাবিধ লাইফস্টাইল ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাকি উপমহাদেশের বাসিন্দাদের থেকে বেশি থাকে। তথ্যটি নির্ভুল। কিন্তু একথা মানতে একটু কষ্ট হয় যে, শুধুমাত্র শারীরিক গঠনের কারণেই এমন একটা ভয়ঙ্কর রোগের বাড়বাড়ন্ত হতে পারে না। এক্ষেত্রে নিশ্চয় আরও কিছু কারণ দায়ি। একেবারে ঠিক! শারীরিক গঠন তো আছেই সেই সঙ্গে মদ্যপান, ধূমপান সহ অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণে বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সেই কারণেই তো এই রোগের চিকিৎসায় প্রথমে জীবনযাত্রা পরিবর্তনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। সেই সঙ্গে প্রয়োজনে ওষুধ খেতেও বলেন। এই নিয়মগুলি মানলে কাজ হয় ঠিকই। কিন্তু একবার প্রেসারের ওষুধ খাওয়া শুরু করলে সারা জীবন সেই ওষুধ খেয়ে যেতে হয়। তাই এমন কিছু খাবারের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হল, যা নিয়মিত খেলে রক্তচাপ একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

১. ওটস:

উচ্চ এবং নিম্ন, দুই ধরনের রক্তচাপকে স্বাভাবিক করতে এই খাবারটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এখানেই শেষ নয়, হজম ক্ষমতার উন্নতিতেও ওটস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২. আদা:

এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ, যা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নানাভাবে সাহায্য করে। তাই তো যাদের এমন সমস্যা রয়েছে, তারা দিনে ১-২ বার আদা চা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠবে।

৩. বিটের রস:

ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়ার কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে নিয়মিত বিটের রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ এই সবজি খাওয়া মাত্র রক্তে নাইট্রিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে ব্লাড প্রেসার কমতে সময়ই লাগে না। সেই সঙ্গে এন্ডোথেলিয়াল ইনফ্লেমেশনও কমে।

৪. কলা:

পরিবারে কি উচ্চ রক্তচাপের ইতিহাস রয়েছে? তাহলে প্রতিদিনের ডায়েটে কলার অন্তর্ভুক্তি ঘটাতে ভুলবেন না যেন! কারণ কলা খাওয়া মাত্র দৈনিক পটাশিয়ামের চাহিদার প্রায় ১২ শতাংশ পূরণ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ১ শতাংশ ক্যালসিয়াম এবং ৮ শতাংশ ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদাও পূরণ হয়। ফলে দেহের ভেতরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে কমে রক্ত চাপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও।

৫. দই:

শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়তে থাকলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে ব্লাড পেসার স্বাভাবিক মাত্রায় চলে আসতে একেবারেই সময় লাগে না। ঠিক এই কারণেই তো ব্লাড প্রেসারে ভুগতে থাকা রোগীদের নিয়মিত দই খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কারণ দই খাওয়া মাত্র দিনের চাহিদার প্রায় ৪৯ শতাংশ ক্যালসিয়ামের চাহিদা মিটে যায়। ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক হতে সময়ই লাগে না।

৬. টমাটো:

এই সবজিটিতে রয়েছে লাইকোপেন নামে একটি উপাদান, যা শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশপাশি ব্লাড পেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. তুলসি:

তুলসি পাতায় রয়েছে ইউজেনল নামে একটি উপাদান, যা অল্প দিনেই ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

৮. মূলা:

শুধু মূলা নয়, পাতা সমেত এই সবজিটি খেলে তবেই ব্লাড প্রেসার একেবারে হাতের মুঠোয় চলে আসে। আসলে মূলায় রয়েছে পটাশিয়াম, যা শরীরে নুনের পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মধ্যে দিয়ে রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!