Friday, March 14

রমজানে যে খাবার খাবেন এবং যে খাবার এড়িয়ে যাবেন

 মুসলমানদের পবিত্রতম মাস হল রমজান। পুরো মাস কাটে ইবাদত বন্দেগীর মধ্যদিয়ে। এই মাসে ২৯ দিন সিয়াম পালনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের সকল মুসলিম ইবাদত করে থাকে। রমজানে সাহারি ও ইফতার একটি সুন্নাহ। এই রমজানে যাতে সস্থ শরীরে সিয়াম পালন করা যায় তার জন্য আমাদের কে দেখে শুনে খেতে হবে তাই আজ কে দেখব রমজানে কি কি খাবার আমাদের জন্য উপকারে আসবে এবং কি কি খাবার আমরা পরিত্যাগ করব।
যে খানা আমাদের রমজানে খাওয়া উচিৎ:
(১) প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন ডিম। ডিমে উচ্চমাত্রার প্রোটিন এবং এটি অনেক পুষ্টিকর।
(২) ফাইবার যুক্ত খাবার যেমন ওটস। এটি ফাইবারে ভরপুর এবং এটা আমাদের শরীরের জন্য যথাযথ একটি খাবার।
(৩) ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন জাতীয় খাবার। দুদ্ধ জাত খাবার অনেক পুষ্টিকর। দুধ, দই, মাখন, ঘি ও দুধে মধু বা ভ্যানিলা মিশিয়ে মিল্ক সেক জাতীয় খাবার।
(৪) পটাসিয়াম যুক্ত খাবার। খেজুর একটি পটাসিয়াম যুক্ত খাবার। বিশেষ করে খেজুর ছাড়াতো ইফতারি কল্পনা করা যায় না।
(৫) পানি এবং ফল জাতীয় খাবার। রমজানে বেশি করে পানি এবং ফলের রস খেলে শরীরের পানিশূন্যতা থাকবেনা।
(৬) বাদাম খেতে পারেন, পেস্তা ও কাজু। দীর্ঘ সময় ধরে সিয়াম পালনে শরীরের যে শক্তির খয় হয় তা পূরণ করবে।
(৭) ইফতারিতে সালাত খাবেন। এই তালিকায় অবশ্যই খিরা বা শসা এবং লেটুস পাতা বা সালাত পাতা খাবেন। এবং সাহারিতে শাকসবজি খাবার চেষ্টা করবেন।
যে সকল খাবার রমজানে একদম ছুবেন না:
(১) হালকা এবং কারবোহাইড্রেড খাবার যেমন চিনি, কেক, ডোনাটস এর মতো খাবার যা ৩-৪ ঘণ্টা শরীরে টিকে থাকে এবং এগুলাতে অনেক কম পুস্তি গুন থাকে।
(২) নুন্তা জাতীয় খাবার যেমন আচার, চিপস, নুন্তা বাদাম ও যে সকল খাবারে সয়াসস ব্যবহার করা হয়। এটা আপনার শরীরের সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয় ফলে আপনি তৃষ্ণার্ত অনুভব করবেন।
(৩) ক্যাফেইন জাতীয় খাবার যেমন কফি।
(৪) কার্বনেট জাতীয় পানিও সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে চলতে হবে। এর যায়গায় যতটা সম্ভব পানি পান করতে হবে।
(৫) যে সকল খাবারে অতিরিক্ত চিনি আছে যেমন মিষ্টি, চকোলেট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
(৬) সকল ভাজি পড়া খাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *