শীতের মিঠে রোদ্দুরের আদর খাওয়ার দিন শেষ। কালঘাম ছোটাতে তৈরি হচ্ছে রোদ। সঙ্গে দোসর বাতাসে ভেসে বেড়ানো ধূলিকণা এবং দূষণ। সময় থাকতেই বেছে নিতে হবে গরমের পোশাক ও পছন্দসই ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন। আর চোখজোড়া বাঁচাতে চাই রোদচশমা। কেমন কিনলে বাঁচবে ত্বক ও চোখ?
সানগ্লাস শুধু চোখের সুরক্ষাই দেয় না। চোখের আরামও দেয়,সঙ্গে ফ্যাশনও।
চোখের সংক্রমণ এড়াতেও রোদচশমার কোনও বিকল্প নেই। যাঁরা বাইকে ঘোরেন, তাঁদের জন্য সানগ্লাস অতি জরুরি। তীব্র গতিতে বাতাসে ভেসে বেড়ানো ধুলো এসে চোখে আঘাত করে।
কিন্তু কোন সানগ্লাস কিনব, কোনটা কোন মুখে মানাবে তাই নিয়ে সংশয়ের শেষ নেই। এখানে রইল বাছাইয়ের যাবতীয় কৌশল।
• গরমের হাত থেকে চোখকে বাঁচাতে অ্যাভিয়েটর, ব্রোলিন, রেট্রো, রাউন্ড, ওয়েফেয়ারার সানগ্লাস বেশি উপযোগী।
চোখের সংক্রমণ এড়াতেও রোদচশমার কোনও বিকল্প নেই।
• যাঁরা বাইক বা কোনও হুড খোলা গাড়িতে যাতায়াত করেন, তাঁদের জন্য স্পোর্টসসানগ্লাস খুব উপযোগী। এতে চোখের ভিতরে ধুলো ঢুকতে পারে না।
• মহিলাদের জন্য ক্যাট আই, বাটারফ্লাই, গগলস বেশি চলে। তবে গগলস চোখের অনেকটা জায়গা কভার করে রাখে বলে বেশি আরাম পাওয়া যায়।
• সানগ্লাসের কাচ পোলারাইজ্ড হলে চোখের আরাম হয় বেশি।
• ব্র্যান্ডের রকমফেরে সানগ্লাসের দামেরও পার্থক্য হয়। বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো পাওয়া যাবে ১৫০০ থেকে ৫০০০ এর মধ্যে।
• নন ব্র্যান্ডের সানগ্লাস সর্বোচ্চ ৩০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যেই মিলবে। তবে চিকিৎসদের পরামর্শ, এই ধরণের চশমা না কেনাই শ্রেয়। কেননা, এই ধরনের কাচের পাওয়ার আপনার চোখের ক্ষতি করতে পারে।
• যাঁরা পাওয়ারের চশমা পরেন, তাঁরাও চাইলে পরতে পারেন হাল ফ্যাশনের যে কোনও সানগ্লাস।
• শুধু চোখের পাওয়ারের সঙ্গে মিল রেখে পরিবর্তন করে নিন সানগ্লাসের কাচটি।
• অতি বেগুনি রশ্মির প্রকোপ থেকে চোখ বাঁচাতে বেছে নিন ১০০ শতাংশ ইউভি প্রোটেকটশন দেওয়ার শর্ত মানে, এমনসানগ্লাস।
আপনার পোশাকের মতোই সানগ্লাস আসলে আপনার ব্যক্তিত্বেরই অংশ। তাই পছন্দ করার সময় সঠিক ফ্রেমটি বাছলেই বাজিমাত!