শীতকালে নানান ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো খুশখুশে কাশি। অধিকাংশ মানুষই এই সময়টাতে খুশখুশেকাশির যন্ত্রণায় ভোগেন। কারণে অকারণে শুকনো কফের থেকে কিছুক্ষণ পরপর কাশি ওঠে। ক্রমাগত কাশি অস্বস্তিকর অনুভূতি সৃষ্টি করে। খুশখুশেকাশির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় হলো-
১. প্রচুর পানি পান করুন। প্রতিবার হালকা গরম পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন। দিনে অন্তত ১২ গ্লাস হালকা গরম পানি পান করলে খুশখুশে কাশি কিছুটা কমে যায়।
২. খুশখুশএ কাশি নিরাময়ে সামান্য পরিমাণ আদা কুচি কুচি করে কেটে নিন। এক কাপ পানিতে এই আদা গরম করে নিন। খাওয়ার আগে ঠাণ্ডা হতে দিন। ক্রমাগত কাশিতে আদা খুবই উপাকারী।
৩. রসুনের বহুগুণের কথা সবাই জানেন। রসুনের অ্যালিসিন নামের উপাদান জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এই উপাদানটি রসুনের বাজে গন্ধের কারণ হলেও তা শুকনো কাশি দূর করতে ওস্তাদ।
৪. খুশখুশ-এ কাশির উৎপাত দেখা দিলে ধূমপান ছেড়ে দিন। ধূমপান করলে কাশি বাড়ে। তাই কাশি কমাতে ধূমপান ছাড়ুন এবং ধূমপায়ীদেরকে এড়িয়ে চলুন।
৫. ঘরে মশার ওষুধ কিংবা এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে করবেন না। খুশখুশে কাশি বেড়ে যেতে পারে এগুলোর কারণে।
৬. প্রতিদিন ৪টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিন। চায়ের সঙ্গে তুলসী পাতা মিশিয়েও খেতে পারেন। তুলসী পাতা খুব দ্রুত খুশখুশে কাশি নিরাময় করে।
৭. দিনে অন্তত ৩ বার গরম রঙ চা খান। চায়ে আদা মিশিয়ে খেলে খুশখুশে কাশি কমে যাবে।
৮. প্রতিদিন সকালে নাস্তা খাওয়ার আগে এক চা চামচ মধু খান। মধুতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা কাশি কমাতে সহায়ক। গলার খুশখুশে ভাব চলে যাবে। তবে ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধু খাওয়ানো উচিত নয়।
৯. প্রতিদিন হালকা গরম পানিতে গোসল করুন। এতে শুকনা কফ ও খুশখুশ-এ কাশির উপদ্রব কমে যাবে।
১০. খুশখুশ-একাশির ক্ষেত্রে হলুদ ওষুধের মতো কাজ করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়ার সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে এক কাপ পানিতে গরম করুন। একে একটানা ২-৩ মিনিট গরম করে নিন। এটি খেলে দারুণ উপকার পাবেন।