তরমুজ

রোদের তেজ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ঘেমেনেয়ে ক্রমশই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া শরীরকে চাঙ্গা রাখতে ফলের কোনও জুড়ি নেই। বিশেষত তরমুজ-এর মতো ফল ডায়েটে রাখলে বাজিমাত হতে বাধ্য। গুণের বিচারে তরমুজ পিছনে ফেলে দেবে আর পাঁচটা মরশুমি ফলকে।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। রয়েছে লাইকোপিন নামে এক ধরনের লাল উপাদান। ত্বকের ঔজ্জল্য ধরে রাখত যেমন ভিটামিন এ-র ভূমিকা অনন্য, তেমনই লাইকোপিন আপনার হাড়ের বয়স রুখবে।

 

এক বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত পুষ্টিবিদ মালবিকা দত্ত বলছেন, “ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সর্দি-জ্বরে কাবু হন অনেকেই। ডায়েটে তরমুজে তাঁদের বাড়তি শক্তি জোগাবে। কারণ তরমুজের মূল উপাদান ভিটামিন সি। ১০০ গ্রাম তরমুজে ৮.১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি রয়েছে। তা ছাড়া তরমুজে প্রায় ৯৪ শতাংশ জল থাকে শরীরের জলের ঘাটতিও দূর করবে।’’

 

তবে এ সব সাধারণ গু‌ণাগুনের ফিরিস্তিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রুট অ্যান্ড ভেজিটেবল ইমপ্রুভমেন্ট সেন্টারের অধিকর্তা ভিনু পটেল ও তাঁর সহযোগীরা মিলে দীর্ঘ দিন গবেষণা চালিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে।

 

তরমুজ সিট্রুলিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিডের স্বাভাবিক উৎস।

সেই গবেষণা থেকেই উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। তরমুজ সিট্রুলিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিডের স্বাভাবিক উৎস। এই সিট্রুলিনের মধ্যেই রয়েছে বিশেষ ক্ষমতা, যা রক্ত সঞ্চালনের ক্ষমতা বাড়ায়। রক্তনালীর কর্মক্ষমতাও বাড়ায়। কাজেই ডায়েটে রোজ তরমুজ রাখা মানে যৌনক্ষমতার গ্রাফ থাকবে ঊর্ধ্বমুখী।

 

সুতরাং ব্রেকফাস্ট হোক বা বিকেলের খাবার, তরমুজের কোনও বিকল্প নেই। বহু দূর থেকে এসে চলতে পারে মন ভাল করা স্মুদিও।