‘দেবী’ চলচ্চিত্রে অসামান্য অভিনয়ের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)-এর বিচারে ২০১৮ সালের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন জয়া আহসান। তবে নিজের প্রাপ্তির চেয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত তার সহ-অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার প্রাপ্তিতে!
বাচসাস-এর সুবর্ণজয়ন্তী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিভাগে শুক্রবার পুরস্কার ঘোষণা করে সংগঠনটি। ‘বাচসাস পুরস্কার ২০১৮’তে একক ভাবে সবচেয়ে বেশি পুরস্কার জয় করে নিয়েছে অনম বিশ্বাসের ‘দেবী’ ছবিটি।
তবে জয়াকে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে ‘দেবী’র পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয় করে প্রথমবারের মতো পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার জন্য।
সোশাল মিডিয়াতে ফারিয়াকে অভিনন্দন জানিয়ে জয়া আহসান লিখেন, ফারিয়ার এই পুরস্কারপ্রাপ্তিতে আমি ভীষণভাবে গর্বিত হয়েছি। সম্মানিত হয়েছি। কারণ আমি মনে করি, ফারিয়ার এই বিজয় সম্পূর্ণভাবে তার যোগ্যতার ফসল। একটি চরিত্রের প্রতি সৎ থেকে শেষ পর্যন্ত (এমনকি সিনেমা মুক্তির পরও) নিজের চরিত্রের মধ্যে থাকা, নিজ অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে থাকার যে গুণ সেটি ফারিয়ার মধ্যে আমি দেখতে পেয়েছি। আর তাই যে কোনো প্রযোজকের জন্য শবনম ফারিয়া শুধুমাত্র শিল্পীই নয়, আশীর্বাদ। আমি বিশ্বাস করি, ফারিয়া তার মেধা, পরিশ্রম, আন্তরিকতা এক করে সামনের দিনগুলোতে আরো অনেক নতুন ইতিহাস রচনা করতে পারবে।
এদিকে প্রথমবার এমন বড় প্লাটফর্মে পুরস্কার পেয়ে নিজেও বেশি উচ্ছ্বসিত শবনম ফারিয়া। সোশাল মিডিয়াতে তিনি লিখেছেন, জয়া আহসান এবং অনম বিশ্বাসের পক্ষ হয়ে চারটি পুরস্কার গ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছি বাচসাসের মঞ্চে। অভিনয়ের জন্য এই প্রথম স্বীকৃতি পেলাম। ধন্যবাদ বাচসাস। আমি সম্মানিত! ধন্যবাদ জয়া আপু, আমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য! ধন্যবাদ অনম দা, আমাকে আপনার নীলু হিসেবে তৈরি করে নেয়ার জন্য! চিরকাল ‘দেবী টিম’ এর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।
প্রথম পাওয়া পুরস্কারটি স্বামীকে উৎসর্গ করেছেন জানিয়ে ফারিয়া বলেন, প্রথম পাওয়া এই আওয়ার্ড আমার স্বামীকে উৎসর্গ করছি। যে ‘বিবাহিত’ জীবনটাকে আমার জন্য এত সহজ করেছে। ভালোবাসি!’
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ভবনের প্রধান মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
মুক্তিযুদ্ধের আগে জন্ম হলেও ১৯৭৪ সাল থেকে পুরস্কার প্রদান শুরু করে বাচসাস। যদিও নানা কারণে গত ৫ বছর সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে। তাই সংগঠনটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত পাঁচ বছরের পুরস্কার প্রদান করতে সংগঠনটি সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের পাশাপাশি পুরস্কারও প্রদান করে।
https://www.youtube.com/watch?v=r0t64gzuqtg