স্পেনের অবসর প্রাপ্ত নাবিক হোজ র্যামন মোরাগ্রেগা। বাড়ির আঙিনায় শকুনদের খাওয়াচ্ছেন। চারপাশ ঘিরে আছে হাজার হাজার শকুন। বিলুপ্ত প্রায় শকুন রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। শকুনদের খেতে দিচ্ছেন মৃত খরগোশ। এই অবসরপ্রাপ্ত নাবিক গত দু’দশক থেকে প্রতিদিন সকালে এই দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
পূর্ব স্পেনের ভেরডেরোব্রেস শহরের আরাগোন পাহাড়ের উপর নিজের বাড়িতে পকেটের পয়সা খরচ করেই এই কাজটি করে আসছেন শকুনপ্রেমী মানব।
নিজেকে ‘শকুনমানব’ বলে পরিচয় দিতেই পছন্দ করেন। জানান প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০টির মতো খরগোশ লাগে। শকুনদের মাত্র ত্রিশ মিনিট সময় লাগে খরগোশের মাংস সাবাড় করতে।
প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ শকুন একসঙ্গে প্রতিদিন আসে তাদের এই ফ্রি ভোজন পর্বে অংশ নিতে। ‘প্রথম প্রথম এটি ছিল খেলার মতো। সারা রাত ধরে শকুনের খাবার সংগ্রহ করতাম। সকালে শকুনদের খেতে দিতাম। প্রথম যে শকুনটা আসত তাকে খেতে দেখে খুব আনন্দ পেতাম এখনো পাই।’ এভাবেই নিজের অভিজ্ঞতার কথা বললেন এএফপিকে।
আরাগোনের বনবিভাগের তথ্যানুযায়ী, ইউরোপের প্রায় ৮০ শতাংশ শকুনের বসবাস স্পেনে। স্পেনে এই পাখিটিকে ‘পরিবেশ পরিছন্নকারী’ পাখি নামে ডাকা হয়। -রাসনা মিথি