(মাসউদ বিন নাজিমের স্ট্যাটাস থেকে)
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে এমন হবে😍
দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে রয়েছেন,,
ভদ্রলোক। সাধারণ পোষাক, খালি পা,
হাতে কমদামি ঘড়ি,,তিন টাকা দামের
পেন নিয়ে,কি যেন লিখে চলেছেন!!
আসুন,
পরিচয় পর্বটা সেরে ফেলা যাক।
ইনি কর্নাটকে রাজ্যের মন্ডয়া-র
একজন কৃতী সন্তান।
নাম — শংকর গৌড়া।
ডিগ্রী – এম,বি,বি,এস,,, এম,ডি।
কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে
ডিগ্রী প্রাপ্ত ।
নিজস্ব কোনো চেম্বার নেই। একটা
অত্যাধুনিক চেম্বার বানাতে, কয়েক
লাখ টাকা খরচ। পাবেন কোথায় ??
তাছাড়া, নিজের পৈত্রিক ২ কামরার
ঘর, সেটাও শহর থেকে বহু দুরে।
পেশেন্ট আসবেন কিভাবে ??
যাতায়াতের খরচ পাবেন কোথা থেকে?
প্রতিদিন সকাল ৮ টায় পৌঁছে যান,
একটা ফাষ্ট-ফুডের দোকানের রকে।
সেখানে বসেই রোগী দেখা,, যতক্ষণ
না রোগীর লাইন শেষ হয়।
ওষুধ ও লেখেন সস্তা দামের, এবং
সহজলভ্য।
ওষুধে কাজ হয় কিনা,, সেটা লাইন
দেখেই প্রমাণ পেয়ে যাবেন।।
ডাক্তার বাবুর ভিজিট কত জানেন ??
হাঁসবেন না, প্লীজ।
৫ টাকা মাত্র। হ্যাঁ,, ঠিকই শুনেছেন,,
৫ টাকা
আজকের যুগে, যেখানে চিকিৎসার নামে,
গরীবের পকেট লুন্ঠন করা হচ্ছে,,
যেখানে অসহায় রোগীর পরিবারকে পথের ভিখারি
করে দেওয়া হচ্ছে,,
সেই যুগে ডাক্তার শংকর গৌড়াকে মানুষ মনে হয় না, সাক্ষাৎ অবতার।
আমাদের দেশের ডাক্তারদের এ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।