class="post-template-default single single-post postid-21426 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

নবনীতা চৌধুরীর কলাম : ‘আমরা নাটক করতেসি, আমাদের আরও পেটানো যাবে’

নবনীতা চৌধুরী কলামবাংলাদেশ রাষ্ট্রটি আমার চোখে যে জায়গাগুলোয় সবচেয়ে বড় ন্যায্যতার চর্চা করে টিকে আছে, তার মধ্যে এই দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় ভর্তি হওয়ার তীব্র-কঠিন ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিকে একটি মনে হয়। এসব পরীক্ষা দিয়েই, টাকা আর রাজনৈতিক জোরের অভাবে ধুঁকতে ধুঁকতে বেঁচে থাকা বাবা-মায়ের সোনার টুকরা একেকজন ছেলেমেয়ে ঢুকে পড়ে রাষ্ট্রের সেরা একটি প্রতিষ্ঠানে। তাই আবরারের ঘটনা আমাদের সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষকেরা এক চিঠি লিখে বলেছেন, এই ঘটনায় পুরো বিশ্ববিদ্যালয়টিকেই হত্যা করা হয়েছে। কারণ, হলের ভেতর নির্যাতন সেল খুলে যে এমন অত্যাচার হয়, তা কখনও কখনও শুনেও তারা চোখ বন্ধ করে ছিলেন। এবারেও যদি মেরে না ফেলে প্রায় মরে যাওয়ার মতো মেরে কোনোমতে আবরারকে ‘শিবির’ নাম দিয়ে পুলিশে দেওয়া যেতো, তাহলেও আর কেউ এই নির্যাতন নিয়ে টুঁ শব্দটি করতেন না। সবকিছু চলতো ঠিক আগের মতোই। সত্যি, তাই তো চলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে গণরুম আছে, গেস্টরুম আছে, তা কি জানতাম না? এক রুমে চার বেডে আটজন করে থাকার কথা যেসব রুমে, সেই একেক রুমে ৪০-৫০ জন করে থাকছেন আমাদের সেরা মেধাবীরা, এমন খবর তো আমরা পড়েছি, ছবিও দেখেছি পত্রিকায়, কখনও টেলিভিশনেও। এখন আর গণরুমেও জায়গা হয় না বলে হলের ছাদে, বারান্দায়, টিভি রুমে যে আমাদের সন্তানরা গাদাগাদি করে থাকেন সেই খবরও তো আমাদের কাছে আছে। আমরা তো জানতাম বুয়েটের হলগুলোতে যেমন, তেমনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর তথাকথিত ‘গেস্টরুম’-এ ছাত্রলীগের বড় ভাইরা ডেকে নিয়ে নিয়মিত শাসন করেন। চড়-থাপ্পড়, মা-বোন তুলে গালিগালাজ থেকে সারারাত বৃষ্টিতে ভেজানো, রাত ৪টা পর্যন্ত বাধ্যতামূলক হলের বাইরে ঘুরতে বাধ্য করা থেকে হেন অপমান নেই, যা সেখানে চলে না।

২০১৬ সালে মৃত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র হাফিজুর মোল্লাকে নিশ্চয়ই আমাদের কারও মনে নাই! ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের অটোরিকশাচালক বাবার ছেলে হাফিজুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে এসএম হলের বারান্দায় জায়গা পেয়েছিল। হাফিজুরের পরিবার জানিয়েছিল, জানুয়ারির শীতে এক মাস খোলা বারান্দায় শুয়ে ভীষণ ঠাণ্ডা লেগে যাওয়া ছেলেটাকে ছাত্রলীগের বড়ভাইয়েরা ‘গেস্টরুম’-এ ডেকে মাঠের মধ্যে প্রায় সারারাত দাঁড় করিয়ে রাখার পরেই নিউমোনিয়া নিয়ে বাড়ি ফিরেছিল ও। আমার মনে পড়ে এসএম হলের প্রাধ্যক্ষ তখন বলেছিলেন, বারান্দায় থাকলেই যে নিউমোনিয়া হবে, এমন কথা নেই। কারণ আরও অনেকে থাকছে, তাদের তো নিউমোনিয়া হয়নি। কথা ঠিক, কারণ পত্রিকায় তো পড়েছি অনেক ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে মাঠেও থাকছে। ভাগ্যিস আবরার মার খেয়ে সেদিন রাতেই মরেছে, মার খেয়ে বাড়ি গিয়ে মরেনি। তাই আমরা কেউ বলতে পারছি না, কই বুয়েটে তো আরও ছেলে মার খাচ্ছে, সবাই তো মার খেয়ে মরেনি!

বুয়েটের ছাত্রদের অভিযোগ জানানোর একটা পেজ বিটিআরসি অত্যন্ত ‘প্রত্যুৎপন্নমতিত্বে’র সঙ্গে আবরার হত্যাকাণ্ডের দু’দিন পরই বন্ধ করে দিয়েছে। সেই পেজে র‍্যাগিংয়ের নামে যৌন হয়রানির কথাও লিখেছিলেন বুয়েট-শিক্ষার্থীরা। শুধু যে ছেলেদের স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটান বড় ভাইরা তাই নয়, ছেলেদের নাকি পর্নস্টারের মতো অভিনয় করে দেখাতে হয়! অনেক ছেলে লিখেছে, সেসব ঘরে আর কী করতে হয়, তাদের পক্ষে তা মুখে বলা সম্ভব নয়। মার খেয়ে মরেছে বলে আবরারকে নিয়ে আমাদের অনেক কান্না, যারা প্রতিদিন মরছে অপমানে তাদের নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা কই?

মেধার জোরে শহুরে মধ্যবিত্তের আদরের সন্তানের সঙ্গে গ্রামের দীনমজুর বাবার একমাত্র ভরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ক্লাসে বসে পড়লেও; নাকি বলা উচিত এক ক্লাসে (সর্ব অর্থেই) উঠে এলেও; প্রতিদিন হলে ফিরে গিয়ে গ্রামের ছেলেটা ঠিকই টের পায়, তাকে মেধা নিত্যদিনের অপমান থেকে রেহাই দিতে পারে না। গরিব বাবা-মায়ের সাত রাজার ধন এক মাণিক তবু হাল ছাড়ে না। হলের গণরুমে কাত হয়ে শোওয়ার জায়গাও না পেয়ে ঢাকা মেডিক্যালের ওয়েটিং রুমে কিংবা কোনও মসজিদে রাত পার করে। ভাত কম খেয়ে আর বেশি বেশি ‘লাত্থি-গুঁতা’ খেয়েও কারা থাকছে এসব হলে? যেই ছেলেমেয়েগুলোর আসলে বাইরে কোথাও বিছানায় ঘুমিয়ে, ‘দশ টাকার চা-চপ-সিঙ্গারার’ বেশি কিছু খেয়ে, প্রতিদিন ক্লাস করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার ভাড়া গোনার উপায় নাই, তারাই থাকছে।

হিন্দি সিনেমার আন্ডারওয়ার্ল্ড বা ‘স্লামডগ মিলিনিয়ার’দের মতো এই জীবনে কেউ কেউ যে সুযোগ পেয়ে, চরম নির্যাতক, হন্তারক হয়ে উঠবে, এতে আপনি আমি কেন এত বিস্মিত, বলুন তো? আমার কিন্তু ন্যাকামো লাগে বিষয়টা। অমন অবস্থায় পড়লে আপনি কী হতেন বা হতে চাইতেন? গণরুমের বাসিন্দা নাকি গেস্টরুমের নেতা? হলগুলোর গেস্টরুমগুলোতে নেতারা সাধারণ ছাত্রদের ডেকে ‘শাসন’ করে আসছেন, অনেক বছর। ওই রুমগুলোকেই আবরারের মৃত্যুর পর থেকে ‘টর্চার সেল’ বলা হচ্ছে। জানেন তো নিশ্চয়ই, দ্বিতীয়-তৃতীয় বর্ষের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিট বরাদ্দের পুরো দায়িত্বই এতদিন ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন পালন করে আসছিল। সিট তো নয়, হলের মাঠ থেকে ছাদ—সব জায়গা ভাড়া দেওয়ার দায়িত্বই তাদের। এমন পরিস্থিতিতে আপনি সেই গরুর খোয়াড়ে রাখা গরুদের মেরে পিটিয়ে পথে রাখা, ভাড়া দেওয়া, তোলা সব কিছুর দায়িত্ব নিয়ে খোয়ার মালিক ‘খুনি হন্তারক নেতা’ হয়ে উঠতেন নাকি প্রতিদিন মার খেতে খেতে কোনোক্রমে টিকে থাকতেন?

আমাদের বড় সৌভাগ্য, আমাদের সব বাবা-মায়ের ছেলেমেয়েরা তবু ‘নেতা’ হয়ে উঠতে চান না, তারা বরং মার খান, মার খেতে খেতে বেঁচে থেকে বিসিএস পরীক্ষা দেন। এই পরীক্ষা বাংলাদেশের গরিবের সন্তানদের হাতে থাকা আরেক সোনার কাঠি। প্রাইভেট চাকরির মতো ফটফট ইংলিশ বলতে হয় না, দামি কাপড় পরে চাকরির পরীক্ষা দিতে যেতে হয় না, শুধু খাটনি আর মেধার জোরে একবার লেগে গেলে সত্যিকার অর্থেই অর্থ প্রতিপত্তি সব একসঙ্গে ধরা দেয়। জানেন নিশ্চয়ই এই সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকেই আমাদের অধিকাংশ সরকারি কর্মকর্তা প্রতিবছর নিয়োগ পান পুলিশে প্রশাসনে সর্বত্র। আপনি আশা করেন, তারা মানবিক হবেন, ক্ষমতা প্রতিপত্তি না দেখিয়ে জনগণের সেবক হবেন? কেন বলুন তো? কী তীব্র প্রতিযোগিতা করে তিনি এতদূর এসেছেন, কেউ তাকে এতটুকু ছাড় দেয়নি, সম্মান করেনি, অপমানের নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে করতে তো এইটুকু মুক্তির আশাই ছিল তার মনে, যে কোনও একদিন তিনি বড় কর্তা হবেন। এই দেশ, এই রাষ্ট্র কীভাবে তার কাছে বিনয় ও সততা আশা করে? আর কত কঠোর পরিশ্রম তার কাছে আপনি আশা করেন? শৈশব, কৈশোর, তারুণ্যের উচ্ছল পুরোটা সময় তো তিনি শুধু মুখ বুজে কঠোর শ্রমই দিয়ে গেছেন। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটা তো আধাপেটা খেয়ে, একদিনও বিছানায় গা এলিয়ে ঘুমাতে না পেরে, মার খেতে খেতে মাথা নিচু করে কেটে গেছে এই তরুণের। এরপরও ভাগ্যিস আমাদের অধিকাংশ তরুণ-তরুণীর চোখ থেকে দেশ গড়ার স্বপ্নটুকু যায় না! ভাগ্যিস তারা তাও দুঃখিনী মায়ের কোলেই থেকে যায়!

আমার তাই এই দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কেন গবেষণা হয় না, কেন আমরা র‌্যাংকিংয়ে স্থান পেলাম না—এই আলাপগুলোকেও বড্ড অপ্রাসঙ্গিক লাগে। আমার দরকার নেই গবেষণার, আমার দরকার নেই র‌্যাংকিং প্রতিযোগিতার। আমি জানতে চাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও হল তৈরি হয় না কেন? আমি জানতে চাই, আমার দেশের সেরা মেধাবী ছাত্রদের কেন অত্যাচারীদের হাতের পুতুলে পরিণত হওয়ার ট্রেনিং সেন্টারে এনে ঘাড় গুঁজে টিকে থাকা শেখানো হবে? আমি জানতে চাই, কেন শিক্ষকেরা ছাত্রদের আবাসন সমস্যার সমাধানের কথা বলেন না? আমি জানতে চাই, কেন শিক্ষকেরা বোঝেন না, তাদের ক্লাসের ঝকঝকে মেধার তরুণেরা ভেতরে ভেতরে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে? মরে গেলে যারা তাদের সন্তানের মতো হয়, তাদের কেন আগে সন্তানতুল্য লাগে না? আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জানেন, আমি জানি, আমার সন্তান পড়বে না ওই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে, যদি বা পড়ে, থাকবে না ওই নরকসম হলে।

এই অন্যায্য গরিব ধনীর চরম বৈষম্যের সমাজে এভাবেই আরেকটা শ্রেণির লড়াই—ক্লাস স্ট্রাগল চলতে থাকে। ওরা মরুক মারামারি করে, কিন্তু ওরা তো আমরা নই। আমরা বলবো, সব সমস্যার মূল রাজনীতি, কাজেই ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করো। কিন্তু স্বীকার করবো না, যে আমরা জানি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় প্রতিপত্তির চর্চা ছাড়া আসলে আর কোনও রাজনীতি নাই, তাহলে গরুর খোয়াড় বা ভাগাড় ব্যবস্থা না পাল্টালে রাজনীতি বন্ধ করলেও কী এই প্রতিপত্তির চর্চা পাল্টে যাবে? মাথা গোঁজার ঠাঁই দেওয়ার ক্ষমতা যে ভাইয়ের হাতে থাকবে, তিনি কী চাইলেই আর দুটো লাথি দিতে পারবেন না? বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে শিক্ষক হেনস্থা থেকে ছাত্রদের শোকজ করে বহিষ্কার করার ভয় দেখানোর সংস্কৃতি চলতে থাকলে কী ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলেই ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতা আসবে? ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে, ভিসিকে সাধারণ ছাত্ররা কোন অভিযোগে ঘেরাও করলে, ঘেরাও করা ছাত্রদের পিটিয়ে ওনাকে উদ্ধার করার জন্য আরেকদল ছাত্র ডাকা কি তাহলে উপাচার্য বন্ধ করে দেবেন? মানে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতে থাকা অন্য সমান্তরাল সব রাজনীতি কিংবা শিক্ষক রাজনীতিও বন্ধ হবে?

দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচারের মাৎস্যন্যায়কেই আমরা যতদিন আমাদের সমাজের রীতি বলে মেনে নেব, ততদিন একেকটি ঘটনায় আমাদের বিবেক কেঁদে উঠবে ঠিক, কিন্তু এ ঘটনাই শেষ ঘটনা হবে তা ভেবে-নিশ্চিন্ত হওয়ার সুযোগ মিলবে না। বুয়েটের সাধারণ ছাত্ররাও কিন্তু একতলা দোতলার মাঝে পড়ে থাকা আবরারকে ডিঙিয়ে ভাত খেতে গেছে। ওরা বুঝেছিল ভাইরা আবরারকে মেরেছে। কিন্তু মরে যায়নি ভেবে কেউ ধরতে গিয়ে বা ওকে হাসপাতালে নিতে চেয়ে ভাত খাওয়ার আগে বাড়তি ঝামেলায় জড়াতে চায়নি। কারণ সবলদের দল, ছাত্রলীগের নেতারা দুর্বল আবরারদের মারবে সে প্রথা পরিবর্তনের শক্তি কই সে সাধারণের? ঠিক আমরা যেমন কেউ এগিয়ে যাইনি বরগুনা শহরে যখন আমাদের মতো বহু মানুষের সামনে রিফাত শরিফকে কুপিয়ে মারা হয়েছিল। কিংবা আমরা যখন নির্বিকার ঘিরে দাঁড়িয়ে ভিডিও করছিলাম? অথবা নিজেরাও দুয়েকটা লাথি মারছিলাম, বাড্ডায় কয়েক যুবক আধা ঘণ্টা ধরে যখন লাঠি লাথি দিয়ে পিটিয়ে মারছিল এক মা’কে? তার মানে, লাঠি উঁচিয়ে বুয়েটের ছাত্রলীগ নেতারাই আসুক কিংবা বাড্ডার ক’জন চালচুলোহীন উচ্ছৃঙ্খল তরুণ, আমরা সঙ্গে সঙ্গেই দুর্বল দর্শক, নাহলে বিনোদিত ভিডিও গ্রাহক অথবা নিজেরাও সবলের দলে যুক্ত হয়ে পড়ে অর্ধমৃতকে দুটো লাঠির বাড়ি দেওয়া মানুষ?

ভাত খেতে বেরিয়ে বারান্দায় পড়া আবরারকে দেখে থমকে গিয়ে হলের ছেলেরা দাঁড়িয়ে পড়লে, হন্তারকদের একজন নাকি বলেছিল, ‘ও নাটক করতেসে, ওরে আরও দুই ঘণ্টা পেটানো যাবে’। আমারও কেন যেন সমাজে এরকম একেকটি হিংস্র মৃত্যু ঘটে যাওয়ার পরের আলাপে, আড্ডায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের মাতম দেখলে মনে হয়, ‘আমরা নাটক করতেসি, আমাদের আরও পেটানো যাবে’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!