স্বপ্না দে : আমার কোনো অসুখ হলে বুঝতে পারি না। নাক বন্ধ, দম নিতে পারছি না। কোনো কিছুর স্বাদ পাচ্ছি না। কেবল লবণ আর মিষ্টি ছাড়া কিছুই অনুভব হচ্ছে না। চা খাচ্ছি নেশাখোরের মতো। দুধ চা, রং চা, চিনি দিয়ে চা, চিনি ছাড়া চা, কোনো আপত্তি নেই চলছে চা খাওয়া! খেতে বসলে ঠা-া-গরম কোনো কিছুই বাদ নেই একটা হলেই চলে। কখনোবা ক্ষুধা লাগলেও টের পাই না। হঠাৎ খেয়াল হলো অনেক বেলা হয়ে গেছে ঔষধ খেতে হবে কিছু একটা খেয়ে নিয়ে ঔষধ খাওয়া লাগবে তাই হাতের কাছে যা খাবার থাকে তাই খেয়ে নিই। অসুস্থতা তখনই বুজতে পারি যখন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারি না, পায়ে ভর দিয়ে হাঁটতে পারি না। আমি বুঝতে পারছি না আমি ঠিক বেঁচে আছি কিনা বা আমার অনুভূতি ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা! দিনভর ফেসবুকে একটা ভিডিও আমি দেখছি, একটা লোককে ঘিরে তিনটা ছেলে সফাং সফাং কোপ দিয়ে যাচ্ছে। একটা মেয়ে তাকে বাঁচাতে চেষ্টা করছে, লোকটাও বাঁচার জন্য ছুটছে, কিন্তু বাঁচতে পারেনি!
আশপাশে অনেকগুলো লোক দাঁড়িয়ে আছে ওরা দৌড়ুচ্ছে না, সাহায্য করতেও আসছে না। ওরাও কি অসুস্থ। অনেকেই বলছেন, মেয়েটার দোষ সে অনেক সুন্দরী। প্রথমে ওই খুনি ছেলেটাকে পছন্দ করেনি, সে তার সৌন্দর্য ঢেকেও রাখেনি। সে কিনা তার নিজের অন্য এক পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করে ফেলেছে। তাই ছেলেটির গোস্বা হয়েছে। আরে গাধা মেয়ে তুই কেন ছেলেকে বিয়ে করতে গেলি, অন্তত একটা বানর কিংবা শিম্পাঞ্জী বিয়ে করতি। তাহলে অন্তত ওদের সমগোত্রীয়রা এসে হয়তো তোর পতিটাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতো। আমরা জন্ম দিচ্ছি এক নপুংসক জাতি যেগুলো নিজেদের রক্ষা করতে পারে না অন্যের সাহায্যেও এগিয়ে আসে না। খুব ইচ্ছে হচ্ছে কেন হিড়িম্বা হলাম না। শাস্ত্রমতে যদি পরজন্ম থেকেই থাকে তো পরের জন্মে ঘটোৎকচের মা হতে চাই। এই বঙ্গসন্তানদের চিনে রাখুন, এরা রিফাতের হত্যাকারী, রিফাত হত্যার বিচার চাই। ফেসবুক থেকে