চায়ের দেশে
চা না খেলে তো চলে না। সেই চায়ের বাগান ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেলে মন্দ হয় না। এই শীতে বেড়াতে যেতে পারেন দেশের চা বাগানগুলোতে।
উঁচু-নিচু টিলার
গায়ে
সিলেট
ওসমানী বিমানবন্দরের রাস্তার এক পাশজুড়ে উঁচু-নিচু টিলার গায়ে দেশের প্রথম চা বাগান মালনীছড়া চা বাগান। আড়াই হাজার একরের বাগানটি ১৮৫৪ সালে তৈরি। ১২০০ একরে বাগান, ৭০০ একরে রাবার, বাকিটুকুতে শ্রমিকদের বাসস্থান, গাছপালা ও জঙ্গল। বাগান এলাকায় আছে হজরত শাহজালাল (রা.)-এর স্মৃতিবিজড়িত হারুং হুড়–ং গুহা, শিবমন্দির, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ। মালনীছড়া থেকে পায়ে হাঁটা দূরত্বে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বিমানবন্দর রোডের বাঁ পাশ ঘেঁষে আছে লাক্কাতুরা, আলী বাহার, কেয়াছড়া চা বাগান। আছে ইকো পার্ক, অ্যাডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ডও।
যেতে চাইলে
ঢাকার সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল, রাজারবাগ ও মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রিনলাইন, শ্যামলী, সৌদিয়া, এস আলম, এনা, হানিফ বা বিআরটিসি বাসে সিলেট (এসি বাস ৮০০, নন-এসি ৪৮০ টাকা ভাড়া)। শহর থেকে মালনীছড়া চা বাগান যেতে পারেন। ভাড়া রিকশায় ৩০ টাকা, সিএনজি-অটোরিকশা ৬০-৮০ টাকা। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকালে আন্তনগর পারাবত, দুপুরে জয়ন্তিকা ও কালনী এবং রাতে উপবন সিলেটের পথে ছোটে। নন এসি-এসি ভাড়া ১৫০ টাকা থেকে ১০১৮ টাকা।
থাকা-খাওয়া
সিলেটে অনেক ভালোমানের হোটেল রয়েছে। মির্জা জাঙ্গাল রোডে ‘নির্ভানা ইন’ (মোবাইল নম্বর : ০১৭৩০ ০৮৩৭৯০), শাহজালাল উপশহরে ‘রোজ ভিউ’ (মোবাইল : ০১৯৭২ ৭৮৭৮৭৮, ০১৯৭৭ ২০০৭০১), পূর্ব দরগা গেইটে ‘স্টার প্যাসিফিক’ (০১৯৩৭ ৭৭৬৬৪৪),
বিমানবন্দর সড়কে ‘পর্যটন মোটেল’ (ফোন : ০৮২১ ৭১২৪২৬), তালতলায় ‘গুলশান’ (ফোন : ০৮২১ ৭১০০১৮, ৭১৬৪৩৭), বঙ্গবীর রোডে ‘ফরচুন গার্ডেন’ (০১৫৫২ ৪২৭৮৪২, ০১৭১০ ৪৬৪০৭৯), জেল রোডে ‘ডালাস’সহ (০১৭৯৬ ৩৩৬৮৩৬, ০১৯৮৬ ২৮১৩৩৪) আছে আরো বেশকিছু হোটেল । এসি, নন-এসি রুম ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা। চাইলে খাওয়াদাওয়া এসব হোটেলেও সারতে পারেন।
চাএয়র রাজধানী
শণ্ঠীমব্দল
আলিয়াছড়া খাসিয়াপুল্কির সড়একর পাএশর চা কনঞ্ঝার সাদা রএঙর বিশাল ভা’ক্সযট্ট ’ঙ্কাগত জানিএয় বলএব, আপনি এৈসএছন ‘চাএয়র রাজধানী’এত। শণ্ঠীমব্দএল পণ্ঠএবশমুএখ চৈাএখ পড়এব ইৈ চমৎকার ভা’ক্সযট্টটি।
ই’ক্সাহানি জৈরিন : ইৈ চা বাগাএনর শণ্ঠমিক কএলানির পরিপাটি সাজাএনা পণ্ঠতিটি বাড়ি দৈএখ অবাক হএবন। ৈ বাগাএন যাওয়ার পএ^ ডানদিএক দৈএশর কৈমাষ্ণ চা গএবষণা কৈক্টদণ্ড বিটিআরআই (বাংলাএদশ চা গএবষণা ইন’ি¡টিউট)। খৈাএন চা পণ্ঠষ্ণিদ্ধয়াজাতকরণ কৈক্টদণ্ঠসহ পুএরা লৈাকা অনুমতি নিএয় বৈড়াএত পাএরন।
ফিনএল বাগান : শহর ^ৈএক ১২ কিএলামিটার দƒএর ৗভরববাজাএরর জাগছড়ায় ফিনএলর বাগাএনর সবুজ চাএয়র উৎপাদন দৈখএত পাএরন। রিজাভট্ট অএটারিকশায় ভাড়া পড়এব ২০০-২২৫ টাকা।
যেতে চাইলে
ফকিরাপুল ও সায়েদাবাদ থেকে হানিফ (০১৭১১ ৯২২৪১৭), শ্যামলী (০১৭১১ ৯৯৬৯৬৫), সিলেট এক্সপ্রেস (০১৭১৩ ৮০৭০৬৯) সরাসরি যায় শ্রীমঙ্গলে। নন-এসি ৩৫০ টাকা ও এসি ভাড়া ৪০০ টাকা। কমলাপুর থেকে মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে পারাবত, প্রতিদিন দুপুরে জয়ন্তিকা ও বুধবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ১০টায় উপবন এক্সপ্রেস শ্রীমঙ্গলের পথে ছোটে। এসি বার্থ ৫২৬, এসি সিট ৩৪৫, প্রথম শ্রেণি বার্থ ৩০০, প্রথম শ্রেণি সিট ২০০, শোভন চেয়ার ১৩৫ টাকা ভাড়া।
থাকা-খাওয়া
সন্ধ্যা (০১৭১১ ৯৭৭০৭৬), এলাহি প্লাজা (০১৭১১৩ ৯০০৩৯), বিরতি (০১৭১২ ৭২২৭৭৮), মুক্তা (০১৭২২ ২৫৩৫৯৬), নীলিমা (০১৭২৪ ৭৫৯৮৫৭), ইউনাইটেড, (০১৭১১ ০৭৪৭১৯), তাজমহল (০১৭১৬ ০৭৪৯২৬), শ্রীমঙ্গল হিলভিউ রেস্ট হাউস (০১৭৩৬ ২৮৪১৫৬), শ্রীমঙ্গল গেস্ট হাউস, (০১৭২৭ ২৩৭৯৮০) গার্ডেন ভিউ রেস্ট হাউসে (০১৬৭০ ২৮৮৯৩০) থাকার পাশাপাশি খাওয়ার সুবিধা পাবেন।
সমতলের চা বাগান
পঞ্চগড়
কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট : সমতলেও যে চা বাগান হতে পারে তার প্রমাণ পঞ্চগড়ের বাগানগুলো। তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের রওশনপুর গ্রামে দেশের প্রথম ও সবচেয়ে বড় ৬০০ একরের অর্গানিক বাগান ‘কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট’। যত দূরে তাকাবেন, সবুজের চাদর বিছানো, পাশে কুলকুল করে বয়ে চলেছে ডাহুক নদী। পাখির নামে নাম এই নদীটির শান্ত জলে ভিজবে মন।
ময়নাগুড়ি টি এস্টেট : শালবাহান ইউনিয়নের লোহাকাচি গ্রামে আছে ৭০ একরের ময়নাগুড়ি টি এস্টেট। এই বাগান বেড়ানো শেষে চাইলে যেতে পারেন উত্তরের শেষ সীমানা বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টেও। রওশনপুর গ্রাম থেকে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টের দূরত্ব ২২ কিলোমিটার আর লোহাকাচি গ্রাম থেকে ২৫ কিলোমিটার।
যেতে চাইলে
ঢাকার গাবতলী বা শ্যামলী থেকে হানিফ, শ্যামলী, নাবিল, বাবলুসহ বিভিন্ন বাস চলাচল করে পঞ্চগড়ে। নন-এসি বাসের ভাড়া ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা; এসি বাসের ভাড়া ১০০০ টাকা থেকে ১১০০ টাকা। কমলাপুর থেকে আন্তনগরে নীলফামারীর সৈয়দপুর পর্যন্ত ট্রেনে গিয়ে বাকি পথ লোকাল বাস। ভাড়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। ট্রেনে সাধারণ সিট ভাড়া পড়বে ৪৫০ টাকা আর এসিতে ১৫০০ টাকা। চা বাগানসহ বিভিন্ন জায়গায় যদি চান তাহলে একটি মাইক্রোবাস নিলেই ভালো হবে। দিনপ্রতি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায় মাইক্রোবাস ভাড়া পাবেন এখানে। আর দলে লোক কম হলে যেতে পারেন পাবলিক ট্রান্সপোর্টেও। শুধু চা বাগানে যাওয়ার খরচ বাসে ২০০, অটো বা ভ্যানে খরচ বড় জোর ৫০০ টাকা। মোটামুটি একই খরচে দুটি চা বাগানই ঘুরে আসতে পারবেন।
থাকা-খাওয়া
শহরের সেন্ট্রাল গেস্ট হাউস, মৌচাক আবাসিক, হোটেল এইচ কে প্লাজাসহ কয়েকটি ভালো আবাসিক হোটেলে এসি রুম ১০০০ বা ১২০০, সাধারণ রুম ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায় ভাড়া পাবেন। শীতল, নিউ মৌচাক, নীরব, করতোয়াসহ বেশ কয়টি খাবার হোটেলও আছে এখানে।