কলাম Archives - Mati News
Friday, December 5

Tag: কলাম

কর্মক্ষেত্রে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট এর উপর ট্রেনিং নিয়ে কিছু কথা

কর্মক্ষেত্রে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট এর উপর ট্রেনিং নিয়ে কিছু কথা

Op-ed
সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের উপর আমাদের অনেকেরই ট্রেনিং নেই। অ্যামেরিকায় যেকোন প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করার প্রথম দিকেই কিছু অবশ্যম্ভাবী ট্রেনিংয়ের একটি হচ্ছে এই সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট ট্রেনিং। একেক কোম্পানি একেকভাবে ট্রেনিং দেয়, কিন্তু সবারই মূল বক্তব্য এক - অফিসে যদি কেউ কখনও কারও উপর যৌন নির্যাতন চালায়, তখন কিভাবে সিচুয়েশন হ্যান্ডল করতে হবে, তা নিয়েই আলোচনা। এই ট্রেনিংয়ের ফলে আমরা জানতে পারি সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট নানান প্রকারের হতে পারে। কোন মেয়ের গায়ে হাত দেয়া, টেবিলের নিচে দিয়ে পা ঠুকা থেকে শুরু করে একই ঘরে একজন নারীর উপস্থিতিতে দুই পুরুষের অশ্লীল কথাবার্তা পর্যন্ত সবকিছুই এর আওতায় পড়ে। কোন নারী/পুরুষকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য তাই ধর্ষণের সামিল। এরা এই ব্যপারে খুবই সিরিয়াস! প্রমোশনের প্রলোভন অথবা চাকরি কেড়ে নেয়ার ভয় দেখিয়ে বসের সাথে ডেটিংয়ে যাওয়ার প্রস্তাবনা আমাদের দেশে খুবই কমন। এই দেশের...
বৈষম্যের বেড়াজালে প্রাথমিক শিক্ষা

বৈষম্যের বেড়াজালে প্রাথমিক শিক্ষা

Op-ed
আসাদুজ্জামান খান মুকুল মানুষ গড়ার কারিগররাই আজ হতাশায়ঃ প্রাথমিক শিক্ষা আমাদের জাতির ভবিষ্যতের মূল চাবিকাঠি। একটি শিশু যখন বিদ্যালয়ে পা রাখে,তখন থেকে  তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানার্জনের কাজটি শুরু হয়। এই সময়টাতেই শেখানো হয়- কীভাবে চিন্তা করতে হয়, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে হয়,কীভাবে সমস্যা সমাধান করতে হয়। এই মহান দায়িত্বটি যিনি পালন করেন, তিনি হলেন আমাদের প্রাথমিক শিক্ষক। কিন্তু আজকের বাস্তবতা হলো, এই মানুষ গড়ার কারিগররাই চরম হতাশা আর বঞ্চনার অন্ধকারে ডুবে আছেন। সরকার প্রাথমিক শিক্ষার মান বাড়াতে আন্তরিক। এতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ, শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়াতে নিয়মিত চলছে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। তৈরি হচ্ছে ঝকঝকে নতুন অট্টালিকা ও আধুনিক শ্রেণিকক্ষ। কিন্তু শুধু অবকাঠামো আর প্রশিক্ষণে হাজার কোটি টাকা ঢাললেই কি শিক্ষার মান বাড়ে? যদি শি...
অস্থির অর্থনীতি ও টানপোড়েনে বাংলাদেশ

অস্থির অর্থনীতি ও টানপোড়েনে বাংলাদেশ

Op-ed
আসাদুজ্জামান খান মুকুল বিশ্ব অর্থনীতি এখন অদ্ভুত এক টানাপোড়েনে আছে। কোথাও যুদ্ধ, কোথাও নিষেধাজ্ঞা, আবার কোথাও মূল্যস্ফীতির দাপট। জ্বালানির দাম বাড়ছে,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সুদের হার লাফিয়ে উঠছে, ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও এসে এই ঢেউ আছড়ে পড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে জ্বালানি বাজারে তীব্র অস্থিরতা। তেলের দাম বাড়ায় বেড়েছে  পরিবহন ব্যয়। পণ্য উৎপাদন ও আমদানির খরচ বাড়ায়, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি ও মধ্যপ্রাচ্যের অনিশ্চয়তা আমাদের রপ্তানিতেও প্রভাব ফেলছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ, বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মসংস্থান কমে যাওয়া, সব মিলিয়ে অর্থনীতি যেন হাঁপাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও কম নয়। হঠাৎ বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা- এসবই কৃষি উৎপাদনে ক্ষতি করছে অপুরণীয়। ক...
ত্যাগ, অপেক্ষা ও ভালোবাসার  এক নীরব সংগ্রাম প্রবাস জীবন 

ত্যাগ, অপেক্ষা ও ভালোবাসার  এক নীরব সংগ্রাম প্রবাস জীবন 

Op-ed
রাহেলা আক্তার  বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। এর অর্থনীতির মূল উৎস কৃষি, তৈরি পোশাক, বিদেশি রেমিট্যান্স। গ্রামের মানুষ কৃষি কাজ করে, আর শহরের মানুষ বিভিন্ন কল-কারখানায়, ও অফিস আদালতে চাকরি করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় একটা অংশ হচ্ছে রেমিট্যান্স। বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় কর্মসংস্থান কম। বর্তমান বিশ্বে বিদেশে কর্মসংস্থানের প্রবণতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে লাখো মানুষ জীবিকার তাগিদে প্রবাসে পাড়ি জমান। একজন স্বজন যখন প্রবাসে যান, তখন তাঁর অনুপস্থিতিতে পরিবারের উপর কিছু ইতিবাচক, এবং নেতিবাচক প্রভাব দুটোই পড়ে।  প্রবাসে থেকে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে স্বজনরা পরিবারের জন্য যে অর্থ পাঠান, তা পরিবারকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করে তোলে। সেই অর্থে মা-বাবা, স্ত্রী, সন্তানদের উন্নত  চিকিৎসা ও শিক্ষা  সুন্দর জীবনযাপন সম্ভব হয়। অনেক পরিবার গ্রাম থেকে শহরে...
ড. ইউনুসকে নিয়ে যা জানতাম, উনি যেমন

ড. ইউনুসকে নিয়ে যা জানতাম, উনি যেমন

Op-ed
বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী শেখ আশিকের স্ট্যাটাস থেকে সংগৃহীত: প্রথমেই বলি ড. ইউনুসকে নিয়ে যা জানতাম ১। উনি সুদ খায়। ২। উনি আ্যমেরিকার দালাল। Dr. Muhammad Yunus বিএনপি ড. ইউনুসকে নিয়ে যা জানাচ্ছে: ১। উনি মুক্তিযুদ্ধ করে নাই। ২। উনি জিয়ার নাম না নিয়ে ভুল করসে। ৩। উনি নির্বাচন দিতে চায় না। আমি ফেসবুকে গত দুইদিন যা জানলাম: ১। মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের মিডল টেনেসি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনারত। সেখানে জন্মভূমির স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠনে নেমে পড়েন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের খবর পৌঁছে দিতে সেখানকার স্থানীয় পত্রিকা ও টেলিভিশনের সম্পাদক এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কাজটি নিয়মিত করেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযু'দ্ধের জন্য সমর্থন জোগাতে বাংলাদেশ ইনফরমেশন সেন্টার পরিচালনা করেন। যুক্তরা...
মনকে জিজ্ঞেস করুন, কী করা দরকার

মনকে জিজ্ঞেস করুন, কী করা দরকার

Op-ed
ধ্রুব নীল: মহাকাশের সময় সীমার সাপেক্ষে মানুষের জীবন মারাত্মক রকমের ক্ষণস্থায়ী। মহাবিশ্বের বয়সের তুলনায় আমাদের সভ্যতা চোখের পলকের চেয়েও ছোট।তবে একটা কথা আছে। একটা কচ্ছপ সাড়ে ৩০০ বছর বাঁচলেও সেটা মানুষের একদিনের সমান হবে? আবার ধরুন অনেক শক্তিশালী মহাকাশের ব্ল্যাক হোল কিংবা প্রাণহীন কোন দুর্দান্ত গতির নিউট্রন স্টার, তারা কি একটি মানুষের একটি দিনের সমান গুরুত্বপূর্ণ? জীবনের ব্যাপার স্যাপারই আলাদা। একটি জীবনের কাছে একটি নিস্প্রাণ গ্যালাক্সি কিছুই না। প্রাণ ছাড়া গোটা মহাবিশ্বটাই অর্থহীন। আর আমরা সেই প্রাণের মহা বুদ্ধিমান ধারক হয়েও অযথা, অকর্মণ্য এবং অর্থহীন সব কাজে সময় নষ্ট করেই যাচ্ছি। আবার আমাদের হাতেই কিনা আছে এমন ক্ষমতা যাতে একদিনেই গোটা বিশ্বের সব সংঘাত, সব টেনশন দূর করে ফেলার।এই যেমন ধরুন কাল যদি আমরা এক কোটি মানুষ ঠিক করি একটি করে গাছ লাগাবো গোটা বাংলাদেশ আবার টসটসা সবুজ হয়ে ...
শিক্ষিত মায়ে’রাই পারে সুন্দর সমাজ গঠনের হাতিয়ার হতে  

শিক্ষিত মায়ে’রাই পারে সুন্দর সমাজ গঠনের হাতিয়ার হতে  

Op-ed
তৌফিক সুলতান মায়েরা হলো পৃথিবীর মতো (ধরিত্রী) পৃথিবীর মধ্যে কোথাও কেউ রাগ করলে কেবল ঐ স্থানের'ই ক্ষয়-ক্ষতি সাধন হয়। যা হয়তো একটা সময় পর আবার সংস্কার ও করে ফেলা যায় কিন্তু ধরিত্রী রাগ করলে ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবীর মধ্যে অবস্থানরত সব কিছু যার প্রভাব হয়তো ছড়িয়ে পরবে তার আশপাশের গ্রহ গুলোতেও— তাই মায়েদের রাগ করতে নেই মায়েরা রাগ করলে পরিবার, সমাজ, সংসার সবকিছুতে ধসনামে। নারীর সফলতা ভালো মা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে তবে, কিছু কিছু নারী আছে যারা হয়তো টাকা উপার্জন করে, তাদের অহমিকা এমন পর্যায়ের ফলশ্রুতিতে তারা পুরুষের ঊর্ধ্বে মনে করে। তারই ফলস্বরূপ একসাথে চারজন স্বামী রাখার ইচ্ছে করে প্রকাশ। সন্তান হলে কি হবে তার পিতৃ পরিচয়? উপস্থাপিকার এমন প্রশ্নে নারী তখন হতাশ। নিজের অযাচিত বিষয় কে প্রতিষ্ঠিত করতে অযুক্তি ভাবে বলতে থাকে কথা। উপস্থাপিকা যদিও নারী তবে উশৃংখল নয়,...
মানবিকতার সওদাগরদের ‘বাণিজ্য’ মেলা

মানবিকতার সওদাগরদের ‘বাণিজ্য’ মেলা

Op-ed
আমরা এমন একটা সময়ে এসে পৌঁছেছি যখন মানুষের জন্মগত অবিচ্ছেদ্য বৈশিষ্ট্য এবং যার জন্য আসলে একটি প্রাণী বিশেষ থেকে আমরা মানুষ হয়ে উঠেছি সেই মানবিক বোধ ও গুণকে ফেরি করে বেচাকেনার হাটে পন্য মনে করে বিক্রি করে চলেছেন কিছু মানবিকতার ফিরিঙ্গি বণিক শ্রেণী। লিখেছেন গবেষক ও লেখক কাজী বনফুল লেখক ও গবেষক কাজী বনফুল ফেরি বা হাঁকডাক করে তো সেটা বিক্রি করতে হয় যেটা অচল পণ্য , ভালো ও গ্রহণযোগ্য পন্য তো ফেরি করে বিক্রি করতে হয়না। আমাদের এই ব- অঞ্চলে সকল প্রাক্তন তৈজসপত্রের ফেরিওয়ালারা তাদের সেই পুরনো পেশা ছেড়ে দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে মানবিকতার বানিজ্যের সওদাগর হিসেবে। আর সেই ফেরিওয়ালাদের ফেরির মাধ্যম হয়ে উঠেছে ডিজিটাল ফেসবুক লাইভ অপশন। মানুষকে আবেগের কহুুকে ভুলিয়ে তারা বিক্রি করে চলেছে মানবিকতার নামে নিজেদের স্বার্থকে। মানুষের আবেগ ও ধর্মকে পুঁজি করে এরা তাদের স্বার্থের বানিজ্য করে চলছে খুব সুকৌশলে। ...
রাষ্ট্র হবে ধর্ম নিরপেক্ষ : সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কলাম

রাষ্ট্র হবে ধর্ম নিরপেক্ষ : সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কলাম

Op-ed
মানুষ তো সমাজেই বাস করে এবং সমাজের দ্বারা যতটা নয়, তার চেয়ে বেশি রাষ্ট্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ওদিকে ধর্ম বলতে যদি সদাচার, সততা, ন্যায়পরায়ণতা, কল্যাণকামিতা, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বোঝায়, তাহলে সব মানুষেরই ধর্ম থাকতে পারে। কিন্তু ধর্মের আবার আনুষ্ঠানিক দিকও রয়েছে; অনুষ্ঠান করতে গিয়ে ধর্ম ব্যক্তিগত বিশ্বাস এবং আচার-আচরণের ব্যাপার থাকে না, সমাজের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। ধর্মের ভিত্তিতে সমাজে বিভাজনও দেখা দেয়, ধর্ম প্রবেশ করে রাজনীতিতে। রাজনীতির মূল বিষয়টি হচ্ছে ক্ষমতা, ক্ষমতার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করা হয় আর তখন উদ্ভব ঘটে সাম্প্রদায়িকতার। সাম্প্রদায়িকতা ধর্মের নয়, রাজনীতির ব্যাপার। সাম্প্রদায়িকতায় ধর্ম চলে যায় রাজনীতির অধীনে, তখন হানাহানি অনিবার্য হয়ে পড়ে। আমাদের এ উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িকতার অনাচার আমরা অতীতে দেখেছি, এখনো দেখছি। শুধু উপমহাদেশে কেন, বিশ্বের প্রায় সর...
শত্রুকে চেনা চাই : সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কলাম

শত্রুকে চেনা চাই : সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কলাম

Stories
কোনো আন্দোলনেরই সাফল্যের একেবারে প্রথম শর্তটি হচ্ছে শত্রুকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করা। নারীমুক্তির প্রশ্নে পুঁজিবাদী সমাজ ও রাষ্ট্রকে মূল শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করতে আমরা যেন ভুল না করি। .. পড়ুন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কলাম.. নাটকে-উপন্যাসে, প্রবচনে— কথোপকথনে, আমরা অনেক সময় উল্লেখ পাই যে, নারীর শত্রু নারী নিজে। এ ধারণার সামাজিক ভিত্তি আছে। সেটা হলো এই—মেয়েদের নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি দেখা যায়। শাশুড়ি ঘরের বউয়ের প্রতি বিরূপ আচরণ করে। ঘরের বউও শাশুড়িকে পছন্দ করে না। এখন অবশ্য পরিবারগুলো আর আগের মতো নেই; ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হয়ে গেছে, মেয়েরা কর্মক্ষেত্রে চলে এসেছে। কর্মক্ষেত্রে মেয়েরা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে কথা বলে। বোনে-বোনে ঝগড়া হয়। কিন্তু এই যে ধারণা, মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু, সেটা অবশ্যই ভ্রান্ত। শুধু ভ্রান্ত নয়, ক্ষতিকরও। আরও যেটা আপত্তিকর সেটা হলো, আসল শত্রুকে আড়ালে রাখা। নির্মম সত্য ...
মাতৃভাষার বিশুদ্ধ চর্চা ও প্রয়োগে সচেষ্ট হই

মাতৃভাষার বিশুদ্ধ চর্চা ও প্রয়োগে সচেষ্ট হই

Op-ed
একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বের মাতৃভাষার জন্য নির্ভয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দেয়ার প্রথম ইতিহাস সৃষ্টির দিন। বাঙালির ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় শোকের দিন। লিখেছেন ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ আজ সবার সব পথ এসে মিলে যাবে এক অভিন্ন গন্তব্য—শহীদ মিনারে। হাতে হাতে বসন্তে ফোটা ফুলের স্তবক, কণ্ঠে নিয়ে চির অম্লান সেই গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী/ আমি কি ভুলিতে পারি...’ ধীর পায়ে এগিয়ে যাবে আবালবৃদ্ধবনিতা। ভাষাশহীদদের প্রতি নিবেদিত শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ঢেকে যাবে শহীদ মিনারের বেদি।বাঙালি জাতির জীবনে আজ এক গৌরবোজ্জ্বল দিন,আজ থেকে ৭১ বছর আগে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করার অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন বাংলা মায়ের অকুতোভয় সন্তানেরা। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত দুটি ভূখণ্ডের দুটি ভিন্ন ভাষার জাতিসত্তাকে মিলিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম থেকেই মাতৃভাষাকে কে...
স্বপ্ন ও সফলতার মন্ত্র | কিছু উক্তি কিছু গঠনমূলক উপদেশ

স্বপ্ন ও সফলতার মন্ত্র | কিছু উক্তি কিছু গঠনমূলক উপদেশ

Career, Health and Lifestyle, Lifestyle Tips, Op-ed
লক্ষ্য আমাদের সকলের জীবনের একটি প্রত্যয় অধ্যায়। যার পূর্ণতা ও সফল করার জন্যে মানুষ প্রতিটা সময় লড়াই করে যাচ্ছে। কেউ ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে চায়‌, কেউ শিক্ষক হয়ে দেশের নিরক্ষরতা দূর করতে চায়। আমাদের মানুষের চাওয়া এবং পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা অনেক। কেউ অনেক সফল অথবা ব্যর্থ হয়। আমাদের সমাজটাই হচ্ছে এরকম যে, কেউ ব্যর্থতার গল্প জানতে চাইবে না‌। জীবনে যদি ব্যর্থ হয়ে থাকেন তাহলে ভেঙে পড়বেন না। ব্যর্থতাকে নিজের হাতিয়ার করে সাফল্য অর্জন করতে হবে। সফলতা ও ব্যর্থতার সিঁড়ি বেয়ে জীবনে এগিয়ে যেতে হবে। অজুহাত পরিহার করুন আমরা জীবনের চলার পথে নানান অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হই। আপনার সাফল্য ও ব্যর্থতার মাঝে অজুহাত বাঁধা থাকে। যদি সেই অজুহাতকে প্রাধান্য দিয়ে ঘাপটি মেরে বসে থাকেন তখন লক্ষ্য আপনার দরজা খুলে পালাবে। জীবনে তখন আপনি লক্ষ্যে সফল হবেন যখন অজুহাত নামক পোকাকে মস্তিষ্ক থেকে মুছ...
ইতিবাচক যে ভাবনাগুলো বদলে দিতে পারে আপনার জীবন

ইতিবাচক যে ভাবনাগুলো বদলে দিতে পারে আপনার জীবন

Career, Health and Lifestyle, Op-ed
আমাদের জীবনে প্রতিদিন কিছু না কিছু ঘটে। আর সেই ঘটিত ব্যাপারে আমাদের মনের চিন্তা-ভাবনার নানারকম প্রতিক্রিয়া ঘটে। ইতিবাচক চিন্তা হচ্ছে এমন একটি মানসিক ধারণা যার জন্য আমরা প্রতিটি কাজে ভালো এবং সন্তোষজনক ফলাফল আশা করি।‌‌ অন্যভাবে বলতে গেলে, নিজের কঠিন বা প্রতিকূল অবস্থার জন্য আশাহরিত না হয়ে ঠান্ডা মাথায় সেই সমস্যার সমাধান করে নিজের অনুকূলে নিয়ে আসার চেষ্টা করা। লিখেছেন ইসরাত জাহান স্বর্ণা নেতিবাচক মনোভাব আপনার চিন্তা-ভাবনায় জট পাকালে কোনওদিন ও আপনার জীবনের সমস্যাগুলোর সমাধান হবে না। যেমন- কোনো জিনিসের ক্ষতির জন্য অন্যকে দোষারোপ করা,অন্যের বদনাম করা, মিথ্যে কথা বলে কোনো কথা দমিয়ে রাখা ইত্যাদি ‌। এসব বদ-অভ্যাস আপনার চিন্তা-ভাবনাকে নেতিবাচক করে তোলে। এতে আপনার আশেপাশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।পরে তা সমাধান করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। মনে রাখবেন, জীবনকে সুস্থ,সুন্দর গড়ে ...
রুমিন ফারহানার কলাম : স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি একাই ব্যর্থ?

রুমিন ফারহানার কলাম : স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি একাই ব্যর্থ?

আজকের সেরা
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মন খারাপ। করোনার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সব অব্যবস্থাপনা, ব্যর্থতা, অদক্ষতা, মৃত্যু, আক্রান্তসহ সবকিছুর জন্য এককভাবে দায়ী করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এবং মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে মূল দায় গিয়ে ঠেকেছে মন্ত্রীর ওপরে। যদিও করোনা ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সরাসরি জনপ্রশাসন, পরিকল্পনা, অর্থ, বাণিজ্য, স্বরাষ্ট্র এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জড়িত। সংসদ চলাকালীন সংসদে এবং এরপর সংসদের বাইরে বিভিন্ন সময়ে রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যম, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সর্বত্র তিনি এত বেশি সমালোচিত হয়েছেন যে একপর্যায়ে জনগণের করের টাকা খরচ করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে মন্ত্রণালয়ের অবস্থান জানান দিতে হয়েছে তাকে। সেই বিজ্ঞাপনও এতটাই মিথ্যা আর ভুল তথ্যে ভরা যে সেটিও তাকে আরেক দফা সমালোচনার মুখে ফেলেছে। ঈদের আগে এক দফা লকডাউন শেষে ঈদোত্তর পর পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সরকার প্রাথমিকভাবে ঘোষণ...