গল্প Archives - Mati News
Friday, December 5

Tag: গল্প

আত্মার বন্ধন : রোমান্টিক গল্প

আত্মার বন্ধন : রোমান্টিক গল্প

Stories
রাহেলা আক্তার  অবনী থার্ড ইয়ারের ছাত্রী। সামনে ফাইনাল এক্সাম। ভীষণ চিন্তায় ভুগছেন। একমাত্র ভাই এবার এস এস সি এক্সাম দিবে। ছোট বোন ক্লাস এইটে পড়ে। তিন ভাই বোনের মাঝে অবনীই বড়। অবনীর "মা" নীলিমা চৌধুরী আজ দশ বছর ব্রেস্ট ক্যান্সারে ভুগছেন। প্রথম চার বছর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হলেও বছর খানেক পরে আবার দেখা দেয়। এবার ফারমেন্ট চট্টগ্রাম মেরিন সিটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিন মাস পরপর কেমোথেরাপি চলে, থেরাপি দিতে দিতে নীলিমা চৌধুরীর চুল প্রায় উঠে গেছে, পশম খসে পড়তেছে। অবনী রাতদিন হাসপাতালে মায়ের সেবা করে যাচ্ছেন। মাঝেমধ্যে মায়ের শারীরিক অবস্থা একটু ভালো দেখা দিলে মাকে নিয়ে হাসপাতালের পাশেই অবনীর আন্টিদের বাসায় বেড়াতে নেন। অবনীর বাবা আদনান চৌধুরী নিউইয়র্ক থাকেন। স্ত্রী অসুস্থ হবার পর থেকে তিনি তেমন দেশে ফিরেন না। চিকিৎসা বাবদ কিঞ্চিৎ খরচ দেন। অবনীর নানার বাড়ি থেকেই বেশির ভাগ খ...
কাছে আসার গল্পটা এমনও হতে পারে

কাছে আসার গল্পটা এমনও হতে পারে

Stories
সাবরিনা তাহ্সিন  রাতের অন্ধকারে, ঘুমের ভেতর একটি অদ্ভুত ঘটনা যেন জীবন্ত হয়ে উঠল। স্বপ্নের শুরুটা ছিলো হঠাৎ একটি বড়সড় এক্সিডেন্ট দিয়ে। রাগে ভরা মনে বাসা থেকে বেরিয়েছিলাম, দিগ্বিদিকশূন্যভাবে হাঁটছিলাম। কখন যেন রাস্তার মাঝখানে চলে এলাম, আর সেই মুহূর্তে মোটরবাইক ও প্রাইভেট কারের ত্রিমুখী সংঘর্ষ—সবকিছু একসাথে থমকে গেল। মোটরবাইক চালক আহত হলো, আর আমার অবস্থা গুরুতর। সবাই দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছালো। প্রাইভেট কারের লোকেরা ভেবেছিল অনিক এবং আমি সম্পর্কিত, তাই তারা অনিকের পরিবারকে খবর দিল। অনিকের মা, ভাই, ভাবী এবং বড় বোন হন্তদন্ত হয়ে হাসপাতালে এলেন। “হ্যাঁ রে, তুই ঠিক আছিস? কোথায় লেগেছে?”—মায়ের কণ্ঠে উদ্বেগ। “মা, আমি ঠিক আছি। মাথায় একটু আঘাত পেয়েছি। চিন্তা করো না।” অনিক শান্ত স্বরে বলল। হঠাৎ তার স্মৃতিতে ভেসে উঠল, “সে ঠিক আছে তো? তার কিছু হয় নি তো?” অনিকের মা অবাক হয়ে জিজ্ঞ...
হৃদয়ের যত্ন নিও

হৃদয়ের যত্ন নিও

Stories
জলের অভাবে মরতে বসা ছাদের ফুল গাছটার মতো একটু নিজের হৃদয়ের যত্ন নিও। আব্বার পাঞ্জাবির পকেট গলিয়ে পড়া খুঁচরা পঁয়শা তুলে মাটির ব্যাংকে সঞ্চয় করার মতো বুকের ভিতরে অনুভূতি সঞ্চয় করো। মায়ের যে দুঃখ আছে সে দুঃখ যেমন বিশ্বাস করো তেমন করে বিশ্বাস করো চিরকাল কেউ কাঙাল থাকে না। সবার একখান মানুষ হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর খুনির শুষ্ক ঠোঁটেও কোনএক নারী কাঁপা কাঁপা আবেগ নিয়ে চুমু খায়, রাতের রানী নিশিকন্যাকেও দারুণ প্রেম নিয়ে জড়িয়ে ধরে কোন এক যুবক। মনের দরজায় তুমি যে তালা লাগিয়েছো, তোমার চারপাশে তৈরী করেছে যে অভিমানের দেওয়াল, অনেকদিন খুলোনি বলে মাকড়সা ছোটোখাটো একটা সংসার পেতে বসেছে যে জানালায়। ওই দরজার সামনে কেউ একজন বিশ্বাস নিয়ে কড়া নাড়বে, ওই দেয়াল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে হু-হু করে ঢুকে যাবে তোমার মনের এফোঁড়ওফোঁড় প্রেম নিয়ে, ওই জানালা খুলে তোমাকে দেখাবে নতুন ভোর। একদ...
শুধু কিছু ঘনিষ্ট মুহূর্ত জলজ্যান্ত গোপন ইতিহাস হয়ে থেকে যায় দুটো মানুষের ভেতর

শুধু কিছু ঘনিষ্ট মুহূর্ত জলজ্যান্ত গোপন ইতিহাস হয়ে থেকে যায় দুটো মানুষের ভেতর

Stories
দুদিনের আলাপে কাউকে পুরোপুরি না জেনে তার সাথে শারীরিক ভাবে মিলিত হয়েছেন? একটা মানুষকে না জেনেশুনে তার সাথে খুব ঘনিষ্ট হয়েছেন? সাতপাঁচ না ভেবে কারোর সাথে কয়েক মুহূর্তের জন্য জড়িয়ে পড়েছেন? প্রায় প্রতিটা মানুষের জীবনে কোনো না কোনো সময়ে এমন কেউ না কেউ আসে, যার কথা বলার ধরণ, হাসি, হাঁটাচলার স্টাইল, ব্যবহার, ব্যক্তিত্ব আমাদের মুগ্ধ করে... আমরা খুব কম সময়ের মধ্যেই মানুষটার ভেতর এমনভাবেই ডুবে যাই, যে আমরা আমাদের বাস্তব সম্পর্কগুলোকে, বাস্তব জীবনটাকে, বাস্তব পরিস্থিতিটাকে, সবকিছুকে অস্বীকার করে সেই মানুষটার পায়ের সাথে পা মিলিয়ে হাঁটতে চাই, হাতে হাত ধরে ইশারায় বলতে চাই, "একটা দিন শুধু তোর আর আমার নামে লেখা থাক প্লিজ'" এতটাই সেই মানুষটার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে যাই জাস্ট দুদিনের আলাপে যে নিজের সমস্ত আবেগ, নিজের সমস্ত ফিলিংসের উপর আর কোনো কন্ট্রোল থাকে না.... মনে হয়, এই মানুষট...
তুমি আকাশ ছুঁয়ে আছো

তুমি আকাশ ছুঁয়ে আছো

Stories
অ.কে.এম. নাজমুল আলম  পাহাড়ি ঢালে বসে আকাশের দিকে চেয়ে ছিলো মেয়েটি। নাম তার তৃষা। রাঙামাটির অদূরে, একটি ছোট্ট গ্রামে তার জন্ম। ছোটবেলা থেকেই পাহাড়, মেঘ, পাখির ডাক আর অদ্ভুত এক নিঃসঙ্গতা তার নিত্যসঙ্গী। তবে তৃষার চোখে ছিল স্বপ্ন—যে স্বপ্ন শুধু পাহাড় ছুঁয়ে নয়, তার চেয়ে অনেক ওপরে। তৃষার জীবনটা ছিল সহজ নয়। মা নেই, বাবা একজন কাঠুরে। স্কুলে যেতে যেতে কাঠ বহন করে আনার অভ্যাসও তার ছিল। তবুও সে ক্লাসে প্রথম হতো। শিক্ষকরা বলতেন, “তৃষা একদিন বড় কিছু করবে।” এক বর্ষার দুপুরে শহর থেকে এক যুবক এল পাহাড় দেখতে, নাম সফল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র, গবেষণার কাজে এসেছে। তৃষাকে সে প্রথম দেখে গ্রাম্য স্কুলে ক্লাস নিতে, বাচ্চাদের শেখাতে। কাঁধে খোলা চুল, চোখে পাহাড়ের ভাষা—তৃষাকে দেখে সফল থেমে যায়। শুধু একটিই বাক্য বলে, “তুমি কি সবসময় এভাবে আকাশের দিকে তাকিয়ে থ...
শেষ ট্রেনের অপেক্ষা

শেষ ট্রেনের অপেক্ষা

Stories
মামুন সরকার কমলাপুর স্টেশন। রাত প্রায় ১১টা। মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। প্ল্যাটফর্মের বাতিগুলো হলদে পাতার মত ঝাপসা। ক্ষণে ক্ষণে বৈরী বাতাসে বৃষ্টির ছাঁট এসে যাত্রীদের গায়ে লাগছে। প্ল্যাটফর্মে অসংখ্য মানুষের আনাগোনা।  এদিক সেদিক দৌড় ছুট করছে। কিছু তরুণ যুবা দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে উঠানামা করছে।আবার কেউ কেউ দাঁড়িয়ে ভ্রাম্যমান টোকাইয়ের কাছ থেকে চা সিগারেট পান করছে। গরম চায়ের ধোঁয়া আর সিগারেটের গন্ধ মিলেমিশে অদ্ভুত একটা পরিবেশ। ভেজা রেললাইন ঝিকমিক করছে ট্রেনের হেডলাইটের আলোয়। একটা ট্রেন ধীর লয়ে  ঢুকে চার নম্বর প্লাটফর্মে, আরেকটা ছেড়ে যায় ছয় নম্বর থেকে।রুদ্র দাঁড়িয়ে আছে প্লাটফর্মের পিলার ঘেষে এক কোণে। তার ট্রেন রাত বারোটায়। রুদ্র যাবে রাজশাহী। হাতের  ব্যাগটা পায়ের কাছে রেখে চারদিকে চোখ ঘোরায়, একহাতে ধরা পুরনো মুঠোফোন। শরীরে পালস ধীরে চললেও বুকের ভ...
এক কিশোরীর প্রেম

এক কিশোরীর প্রেম

Stories
মামুন সরকার  ভোরবেলা। কুয়াশার চাদর  বাড়িঘরকে আবৃত করে রেখেছে। দূরের বাড়িঘর কিংবা রাস্তার বৃক্ষলতাদি দৃষ্টিগোচর হয় না। সবকিছু আবছায়া লাগে। পুরো    আকাশেটা যেন কুয়াশার চাদরে ঢাকা। বাতাসে শিউলি ফুলের ঘ্রাণ।  গাঁয়ের এক কিশোরী  উঠোনে দাঁড়িয়ে, কাঁখে কলস। নগ্ন পা'য়ে ছুটে চলে নদীর দিকে। শিশিরভেজা ঘাস কিশোরীর পা ভিজিয়ে দেয়। ঘাসের ডগায় টলমল করে মুক্তোদানার মত। নদীর ঘাটে কলস ভরে। জলে প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। জলে পড়া ছায়ার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসে। সেই হাসি বাতাসে ঢেউয়ে মিলিয়ে যায়। পেছন থেকে এক কিশোর জানতে চায়, “কুসুম, এত ভোরে একা একা নদীরঘাটে। ভয় করে না। ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকাতেই দেখে এক কিশোর  পাশে দাঁড়িয়ে আছে।, হাতে বাঁশের লাঠি। চোখে কৌতূহল।কিশোরী একগাল হেসে জবাব দেয়, ভয় কি জিনিস আমি জানি না। আমি জানি নদীরজল, আঁকাবাঁকা পথঘাট সবই...
ভাঙ্গনের মাঝে মিলনের পূর্ণতা 

ভাঙ্গনের মাঝে মিলনের পূর্ণতা 

Stories
সাবরিনা তাহ্সিন  সদ্য এইচ.এস.সি পরীক্ষায় জি.পি.এ প্রাপ্তি মেধাবী দীপ্তির স্বপ্ন জাগে ,সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবে।কিন্তু সেইবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পায় না।সে স্বপ্নে অটল থাকে।দীপ্তি তার অন্য তিন ভাই-বোনদের মতো মাদ্রাসায় উচ্চ শিক্ষা নিবে না বলে ঠিক করেছে।কারণ, দীপ্তির এক বছরের ছোট ভাই ফয়সাল মা-বাবার ইচ্ছায় মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে।সেজো বোন মারিয়া ক্লাস ফাইভে পড়াশোনা করলেও মা-বাবা মারিয়াকেও ইবেতায়েরী মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিবে বলে ঠিক করেছে।আর সর্বকনিষ্ঠ ছোট ভাই ইব্রাহিম এখনও স্কুলে ভর্তি হয় নি।তবে ইব্রাহিমকে ছোট থেকেই মাদ্রাসায় ভর্তি করাতে চায় দীপ্তির মা-বাবা। দীপ্তির মা জুলেখা বেগম গৃহিণী ,বাসায় গৃহস্থলি কাজ আর সন্তানদের দেখাশোনার কাজে ব্যস্ত থাকেন।বাবা ইমতিয়াজ আহমেদ একজন আর্মি অফিসার। দীপ্তি তার মা-বাবাকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় যে...
অমর প্রেম

অমর প্রেম

Stories
সুমন বিপ্লব “আমাকে একটি কবিতা দিও।” একটি মেয়েলি কন্ঠ ভেসে এলো কাজলের কানে। সে লজ্জায় পিছনে তাকাতে পারিনি। মনে মনে সে ভাবে কে এই মেয়েটা ? কি করে জানলো সে যে কবিতা লেখে ? মাত্র ৪ দিন সিলেটের আকিলপুর গ্রামে কাজের লোক হয়ে এসেছে। এ গ্রামের সাবেক মেম্বর মুক্তার আলী তাকে শাহজামাল (র.) মাজার থেকে নিয়ে এসেছেন। আকিলপুর আসার ৪র্থ দিন সন্ধ্যায় আনফর চাচা তাকে নিয়ে পাড়ায় এলো একটি বাড়িতে। তাদের বসতে দেওয়া হলো। একজন বয়স্ক লোককে চিনতে পানতে পারল। তিনি পূর্বের দিন কাজল যখন রানাদের বাড়িতে ছড়া পড়ে ছিল তিনি তখন বসে বসে ছড়াগুলো তিনি মনোযোগ সহকারে শুনেছিলেন। তিনি দুটি মেয়েকে দেখিয়ে বললেন, : এই আমার বড় মেয়ে নাম করুনা। শিক্ষকতা করে। ছোট মেয়ে হেনা। ৮ম শ্রেণিতে পড়ে। কাজল মনে মনে ভাবল তার মত একজন সামান্য কাজের লোককে কেন তার মেয়েদের সাথে পরিচয় করে দিচ্ছে। চাচা একসময় বললেন, : তোমার ...
মা আমার জান্নাত

মা আমার জান্নাত

Kidz, Stories, Stories for Kids
ফারুক আহম্মেদ জীবন : প্রতিবছর মে- মাসের দ্বিতীয় রবিবার বাংলাদেশে মা- দিবস পালন করা হয়।  অবশ্য এ দিবসটি বিশ্বের একেক দেশে একেক ভাবে পালন করা হয়। এ বছর ১২ই মে জান্নাতিদের স্কুলে মা দিবস পালিত হচ্ছে। জান্নাতিদের স্কুলের সকল ছাত্র ছাত্রীদের মতো। ক্লাস থ্রিতে পড়ুয়া আট বছরের ছোট্ট মেয়ে জান্নাতিও সে তার মাকে নিয়ে গেছে স্কুলে।  স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ জান্নাতির মাকে দেখে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে হাসি মুখে সালাম দিয়ে। কুশলাদি জিজ্ঞাসা করে সম্মানের সাথে বসতে দিলো চেয়ারে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সম্মানিত সভাপতি সহ সভাপতিও সদস্য বৃন্দরাও একে একে সকলে এসে উপস্থিত হলো স্কুল প্রাঙ্গণে। অন্য অন্য সকল ছাত্র ছাত্রীর মায়েদেরকেও সম্মানের সাথে সারি সারি চেয়ার পেতে বসতে দিয়েছে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ। শিক্ষকরা একপর্যায়ে গার্জেনদেরকে চা- নাস্তা, জলের পর সকল শিক্ষার্থীদের হাতে ফুলের তোড়া ত...
সায়েন্স ফিকশন গল্প : বিরিন্তা

সায়েন্স ফিকশন গল্প : বিরিন্তা

Stories
ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফিকশন গল্প -- বাংলা সন ১৪০১। পাঁচই ফাল্গুন। তৈয়ব আখন্দ বিব্রতকর অবস্থায় উঠোনে বসে আছে। হুরাসাগর নদীতে কী করে মরতে মরতে দশ কেজি সাইজের বোয়াল মাছ ধরেছে সেই গল্প শুনছিল হারু মাঝির কাছ থেকে। মাঝি চলে গেল। রেখে গেল নিরবতা। তৈয়ব গেল মেয়ের পড়ার টেবিলের দিকে। পুরো বাড়িতে বাপ-মেয়ে ছাড়া আর কেউ নেই। মেয়েটাও শব্দ করে পড়ে না। সন্ধ্যা হতেই ঝপ করে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নীরবতা নেমে আসে শোলাকুড়ি গ্রামের পুরনো বনেদি ধাঁচের টিনশেডের বাড়িটায়। বাড়িটা তৈয়বের নয়। বাড়ির মালিক তার স্ত্রী আফরিন নাহার। ঝগড়া যতবার হতো, সে-ই চলে যেত রাগ করে। পাশের নরিল্লা গ্রামে বড় ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠত। ‘বিচিত্র ব্যাপার। তোর মা আমাকে বের করে দিলেই পারে। দুনিয়ার সব অঙ্ক ডাইলভাত, সংসারের অঙ্ক মিলাইতে গেলে চক্কর লাগে। এখন তারে আবার তার বাড়িতে ডাইকা আনা লাগবে।’ ‘বাবা, মিষ্টি কু...
আপনজনের মৃত্যু বলে দেয় জীবন কতটা বৈচিত্র্যময়

আপনজনের মৃত্যু বলে দেয় জীবন কতটা বৈচিত্র্যময়

Stories
জীবনে কখনো কি কোন মৃতকে গোসল করিয়েছেন? সুযোগ পেলে মৃতদের গোসল করাবেন, খুব কাছ থেকে দেখবেন মৃত্যুর পরে মানুষের দেহটা কত অসহায় হয়, মৃত্যুর পরে মানুষের মৃতদেহ কতটা ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সুযোগ পেলে রাতে লাশ পাহারা দিবেন। তখন বুঝতে পরবেন মৃত্যুর পরে প্রিয় মানুষটার লাশ রাতের বেলা আপনার কাছে কত অদ্ভুত লাগে, কত ভয়ের কারণ হয়ে উঠে, কত আতঙ্কের কারণ হয়ে যায়। সুযোগ পেলে মৃত ব্যাক্তির শরীরে একটু হাত লাগিয়ে কিছুক্ষণ স্পর্শ নিবেন। আপনি তখন উপলব্ধির সুযোগ পাবেন এই পৃথিবীতে বিশাল প্রভাব-প্রতিপত্তি রেখে যাওয়া মানুষগুলো মৃত্যুর পরে কত নির্জীব রূপ ধারন করে। সুযোগ পেলে আপনজনদের লাশ কবরে নামাবেন- খুব আগ্রহ নিয়ে শেষবারের মতো মৃতদেহের মুখটি দেখার চেষ্টা করবেন এবং বারবার উপলব্ধির চেষ্টা করবেন এই মৃতদেহের সাথে অনন্তকালের যাত্রার পথে এটাই আপনার জীবনের শেষ দেখা। জীবনে সুযোগ পেলে মাঝেমধ্য...
গল্প : বিধবার ছেলের ঈদ

গল্প : বিধবার ছেলের ঈদ

Stories
ফারুক আহম্মেদ জীবন : ফাহিম, শাহিন, তুহিন, মৌ, আর জুঁই একসাথে খেলছিলো ওরা সব। হঠাৎ, তুহিন বললো...এই শাহিন তোর আব্বা-মা ঈদের নতুন জামাকাপড় কিনে দেছে তোর? শাহিন বললো...হুম কিনে দেছে। তোরও কি কিনে দেছে? তুহিন বললো..হুম দেছে। তারপর বললো...মৌ, জুঁই তুরা কিনেছিস? মৌ, জুঁই বললো...হুম আমার আব্বু আম্মু তো তোদের কেনার আগেই কিনে দেছে।  তুহিন হেসে বললো...ও তাই খুব ভালো। তারপর ফাহিমের দিকে তাকিয়ে বললো...ফাহিম তোর কিনে দেছে জামাকাপড়..? ফাহিম কি বলবে! মন মরা ভাবে মুখটা নেড়ে বললো...না...। তারপর মুখে হাসি টেনে বললো...আম্মু বলেছে ঈদের আগে কিনে দিবে। তারপর... ছয় বছরের ছেলে ছোট্ট ফাহিম দৌড়াতে দৌড়াতে ছুটে ওর মায়ের কাছে এলো। ওর মা রহিমা তখন পরের বাসায় ঝিয়ের কাজ করতে যাওয়ার জন্য। ঢাকার মালিবাগ রেললাইনের বস্তির ছোট্ট একটা ঘর থেকে বেরুচ্ছে। পায়রার খোপের মতো ছোট-ছোট সারিবদ্ধ বস্তির ঘর গুলো।...
পাখিরা যেদিন উড়তে শিখল

পাখিরা যেদিন উড়তে শিখল

Kidz, Stories for Kids
ধ্রুব নীল : ‘সবচেয়ে বড় ডিম কে পাড়ে!’ সবাই চুপ। টুঁ শব্দ করছে না শালিক, ময়না আর টিয়া। টুনটুনিটাও লুকিয়েছে বুলবুলির পেছনে। উটপাখির গর্জন শুনে কাঁপছে বুড়ো ইগলও। ‘বলো কে!’ আবার হুংকার ছাড়ল রানি উটপাখি। পাখিদের রাজ্যে সে-ই সবচেয়ে জোরে ছোটে। গায়ে অনেক শক্তি। তাই পাখিরাজ্যের রানি সে। ‘রানি মা, আপনিই সবচেয়ে বড় ডিম পাড়েন। আপনার ডিমের তুলনা হয় না। প্রতিটি ডিম পাক্কা দেড় কেজি।’ বলতে বলতে দম ফুরিয়ে যাওয়ার দশা শকুনের। উটপাখির ভক্ত সে। রানির কথা অক্ষরে অক্ষরে মানে।‘হুম! এ কারণে আমিই রানি। আর পুঁচকে চড়ুইটা কি না চুরি করে আমার দানা খেয়েছে! একেবারে পা কেটে দেব আজ।’ গুঞ্জন শুরু হয়ে গেল পাখিদের মধ্যে। কাকাতুয়া আর পেঁচারা ঘাড় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বলতে লাগল, ‘আহারে, পা কেটে দিলে বেচারা হাঁটবে কী করে। আহারে!’এদিকে ভয় পেল না চড়ুই। একরোখা স্বভাব তার। একছুটে উঠে গেল একটা ঢিবির ওপর। চেঁচিয়ে বলত...
পাউলো কোয়েলহোর গল্প :  সৃষ্টিকর্তা মায়েদের সৃষ্টি করছিলেন

পাউলো কোয়েলহোর গল্প :  সৃষ্টিকর্তা মায়েদের সৃষ্টি করছিলেন

Stories
মহান সৃষ্টিকর্তা যখন মায়েদের সৃষ্টি করছিলেন, তখন তিনি টানা ষষ্ঠ দিনের মতো নির্ধারিত সময়ের অধিক পরিশ্রম করে চলেছেন। এমন সময়ে একজন পরী (দেবদূত) এসে ঈশ্বরকে বললেন : “এই সৃষ্টির পেছনে আপনি বৃথা অনেক সময় নষ্ট করছেন।” সৃষ্টিকর্তা বললেন, “তুমি কি এর বৈশিষ্ট্যগুলোর তালিকা পড়ে দেখেছ?” * তাকে হতে হবে এমন কিছু যাকে পুরোপুরি ধুয়ে-মুছে পরিস্কার করা যায়, কিন্তু সে প্লাস্টিকের তৈরি হবে না; * তার শরীরে থাকবে ১৮০টি সচল অঙ্গ যার সবগুলোই আবার হবে প্রতিস্থাপন যোগ্য; * কালো কফি আর উচ্ছিষ্ট খাবারে যে দিব্যি বেঁচে থাকে; * একটা কোল থাকবে তার, তবে সে উঠে দাঁড়ালেই কোলটা অদৃশ্য হয়ে যাবে; * তার এক চুম্বনে ভাঙা পা থেকে শুরু করে হতাশায় নিমজ্জিত প্রেমিক- সব, সবাই সুস্থ হয়ে উঠবে; * তার ছয়জোড়া হাত থাকবে। পরী আস্তে আস্তে তার মাথা দুলিয়ে বলল, “ছয় জোড়া হাত! অসম্ভব!” “না, না, ওর হ...