Sunday, December 22
Shadow

Tag: গল্প

রূপ কমে যায় শব্দবোমায়

রূপ কমে যায় শব্দবোমায়

Stories
লেখক: আজাদ            নারী কণ্ঠের শব্দ বোমা জানালার কাঁচ অতিক্রম করে কর্ণকুহরে প্রবেশ করছিল। ভর দুপুরে নারী কণ্ঠের আওয়াজে মনঃযোগ দেয়া অর্থহীন, এতে নতুনত্ব কিছুই নাই।শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ে মাত্রই রুমে আসলাম, জুমার নামাজ পড়ে আসার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল খাবার গ্রহণ, এটা বাধ্যতামূলক, জুমার নামাজ পড়ে এসে খাবারের যে স্বাদ তা অন্য সময়ের চেয়ে আলাদা। এখন কে কি নিয়ে কার সাথে ঝগড়া করছে তা পর্যবেক্ষণ করার কাজটি কম গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া কে কার সাথে ঝগড়া করছে তা জেনে আমার কি! এখানেতো আর আমার পরিবার পরিজন বা আত্মীয় স্বজনরা কেহ থাকেনা। ঝগড়া করুক! আরো বেশি করে করুক!! ঝগড়া হাতাহাতি বা মারামারিতে রুপান্তরিত হোক!!!শব্দ বোমা অনবরত বিসর্জিত হচ্ছিল, আগে খেয়ে নেই পরে প্রয়োজনে দেখবো এই ভেবে খাওয়া আরম্ভ করলাম।জানালারতো পর্দা নাই স্বচ্চ গ্লাসের...
শুরু থেকে শেষ, শেষ থেকে শুরু

শুরু থেকে শেষ, শেষ থেকে শুরু

Stories
এক লোক পাথর কাটার কাজ করতো। লোকটা জীবনে তার অবস্থান নিয়ে খুবই অসন্তুষ্ট থাকতো সবসময়। একদিন সে এক ধনী ব্যবসায়ীর বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। বাড়ির জানালা দিয়ে সে দেখছিলো ব্যাবসায়ীর শান-শওকত। খুব ঈর্ষান্বিত হয়ে সে চিন্তা করতে লাগলো, 'আহা আমি যদি বণিকের মতো হতে পারতাম!' কি আশ্চর্যের ব্যাপার, লোকটা হঠাৎ বিরাট বণিক হয়ে উঠলো। তার কল্পনার চেয়ে বেশি বিলাসিতা এবং ক্ষমতা উপভোগ করতে লাগলো। একদিন সে দেখলো রাজ্যের প্রধান বিচারক রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছেন। সে দেখলো, বিচারক একটা চেয়ারে বসে আছেন এবং তাকে একদল সৈন্য বয়ে নিয়ে চলছে। রাস্তার পাশের দোকানিদের সৈন্যরা দেদারসে পেটাচ্ছে। জনতা বিচারকের সামনে মাথা নত করছে। বণিকের মনে মনে ভাবতে লাগলো, আহা বিচারক কত শক্তিশালী! আমি যদি একজন বিচারক হতে পারতাম!" তারপরে সে এক বিচারক হয়ে উঠলো, তার সৈন্যরা তাকে সেডান চেয়ারে সর্বত্র বহন করে...
হরর থ্রিলার গল্প: সিআইপিএ

হরর থ্রিলার গল্প: সিআইপিএ

Stories
ধ্রুব নীলের গল্প রেনু খুন হওয়ার দেড় মাসের মাথায় খুনিকে ধরেছে রশিদ। খুনি এখন তার সামনে ভারী কাঠের চেয়ারে হাত-পা বাঁধা বন্দি। ‘তুমি আমার একচল্লিশ নম্বর সাবজেক্টের... স্বামী। চিনতে পেরেছি আগেই।’ খুনি বলল। রশিদের স্ত্রী রেনুকে ভয়াবহ যন্ত্রণা দিয়ে সে-ই মেরেছে। ফ্ল্যাট বাসার ভেতরের একটা রুম। ভেতরে ঝলমলে আলো। দুই লেয়ারের ভারী পর্দায় ঢাকা চারপাশ। রুমটা সাউন্ডপ্রুফ করতেই লাখ তিনেক খরচ করেছে রশিদ। অ্যাকুস্টিক প্লাস্টারবোর্ডের সঙ্গে ফোমও বসিয়েছে। তবে খুনি লোকটা একবারও চেঁচামেচি করেনি। খুনির নাম জানা নেই। নাম নিয়ে রশিদের আগ্রহ নেই। পত্রিকার দেওয়া নামটা হলো ‘সলটেড কিলার’। ভিকটিমকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করতো। তারপর লবণ বা এ জাতীয় কিছু মেখে দিত। মরার আগ পর্যন্ত চলতো অমানুষিক নির্যাতন। দুয়েকটা ডেডবডিতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও ভিনেগারের ট্রেস পাওয়া গিয়েছিল। যন্ত্রণা দেওয়...
হরর গল্প : নিস্তার

হরর গল্প : নিস্তার

Stories
লেখক: ধ্রুব নীল ।। ধরন : হরর গল্প । বাংলা আধিভৌতিক হরর গল্পটি চাইলে অডিও বই আকারে শুনতে পারবেন নিচের ভিডিওতে ক্লিক করে। https://youtu.be/M2Z9TIitXb0 অডিও গল্প: হরর : নিস্তার ঝড়ের ঝাপটায় তোশক চুপসে গেছে। রাজ্জাক জানালা বন্ধ করছে না। তার মনেও ঝড়। বাইরের ঝড়ের সঙ্গে মনের ঝড়ের কাটাকুটি খেলা হচ্ছে।দুই বছর নীলিমার প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছে রাজ্জাক। এখনো চিঠিটা দেওয়া হয়নি। দিলেই তুলকালাম বেঁধে যাবে। কলেজের বণিক স্যারের মেয়ের সঙ্গে প্রেম বাড়িতে মেনে নেবে না। রাজ্জাকের বাবা রাধানগর মসজিদ কমিটিতে আছেন। ঘটনা ঘটলে ইজ্জতের বেড়াছেড়া লেগে যাবে। [হরর গল্প : নিস্তার] নীলিমা বললে রাজ্জাক এক শার্টে ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়বে। সমস্যা হলো নীলিমা সেটা বলবে না। সে রাজ্জাককে বিশেষ পাত্তা দেয় না। রাজ্জাক প্রতিদিনই হ্যাংলার মতো গার্লস কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। তবে কাল থেকে দাঁড়াদাড়...
৫টি গল্প ও শিক্ষণীয় বিষয়

৫টি গল্প ও শিক্ষণীয় বিষয়

Default
গল্প-১ বাবা গোসলে, মা রান্না ঘরে আর ছেলে টিভি দেখছিল। এমন সময় দরজায় ঘণ্টা বাজল। ছেলে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দেখল, পাশের বাসার করিম সাহেব দাঁড়িয়ে। ছেলে কিছু বলার আগেই করিম সাহেব বললেন, ‘আমি তোমাকে ৫০০ টাকা দেব, যদি তুমি ১০ বার কান ধরে উঠবস কর।’ বুদ্ধিমান ছেলে অল্প কিছুক্ষণ চিন্তা করেই কান ধরে উঠবস শুরু করল, প্রতিবার উঠবসে ৫০ টাকা বলে কথা। শেষ হতেই করিম সাহেব ৫০০ টাকার নোট ছেলের হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। বাবা বাথরুম থেকে বের হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কে ছিল দরজায়?’ ‘পাশের বাসার করিম সাহেব’, উত্তর দিল ছেলে। ‘ও’, বললেন বাবা, ‘আমার ৫০০ টাকা কি দিয়ে গেছেন?’ শিক্ষণীয়বিষয় আপনার ধারদেনার তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের থেকে গোপন করবেন না। এতে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রক্ষা পাবেন। গল্প-২ সেলসম্যান, অফিস ক্লার্ক ও ম্যানেজার দুপুরে খেতে যাচ্ছিলেন। পথে তাঁরা একটি পুরোনো প...
হরর গল্প: ডার্ক ম্যাটার

হরর গল্প: ডার্ক ম্যাটার

Stories
মাচায় শুয়ে আকাশ দেখতে গিয়ে নুরুল আফসারের মনে হয় তার মাথার ওপর যে বিস্তৃর্ণ আকাশ, তেমনি ওই আকাশের সাপেক্ষে সে-ও আছে অনেক উপরে। সে চাইলেই দূরের নক্ষত্রে যেতে পারছে না, নক্ষত্ররাও তার কাছে আসতে পারছে না। আকাশে মেঘ। মেঘ যখন ছিল না তখন লালচে কূপির মতো বহুকাল আগের কোনো এক তারায় আটকে ছিল নুরুলের দৃষ্টি। মেঘ জমতেই একটা অদৃশ্য চাদর প্রবল বেগে মোচড় খেয়ে ঘিরে ধরে নুরুলকে। অর্থাৎ নুরুল তার কল্পনার আলো-আঁধারি জগতে ঢুকে পড়তে চলেছে। কল্পনার বিষয়টা তার কাছে গ্রহ নক্ষত্রের মধ্যকার টানাটানির মতো। গভীরে কী ঘটে জানে না। তবে অস্বীকার করার জো নেই। নুরুল আফসার আপাত-অদৃশ্য সেই চাদরে ডুব দিয়ে নিজের বলয়ে ঢুকে পড়ে। নিজের এই জগতে নুরুল অন্য মানব। ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ে না। বৃষ্টি হয় তাল-লয় মেনে। ঘড়ির কাঁটা ঘোরে কল্পনাকারীর মর্জিমাফিক। বাইরে ঝড়ের বাতিক। শীতে কেঁপে ওঠে নুরুল। আজ মগজের কুঠ...
ধ্রুব নীলের ‘ভয়াল’ আসছে

ধ্রুব নীলের ‘ভয়াল’ আসছে

Stories
রক্তবন্দির দারুণ জনপ্রিয়তার পর হালের জনপ্রিয় ভিন্নধারার লেখক ধ্রুব নীলের ‘ভয়াল’ আসছে। জানা গেছে, এই হরর গল্প সংকলনটি হতে চলেছে আগের চেয়ে বেশি গা ছমছমে, আগের চেয়েও বেশি ভয়ের, আরও বেশি অন্ধকারে ঢাকা। বরাবরের মতো এ বইটিও প্রকাশ করতে চলেছে প্রসিদ্ধ পাবলিশার্স। ভয়াল সম্পর্কে লেখকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন পাঠককে বহুকাল আগের অশরীরি ভয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যই তিনি গল্পগুলো লিখেছেন। এর কোনোটিতে আছে গা ছমছম করা পুরনো দিনের ভূতের ভয়, কোনোটিতে আছে অন্য জগতের অন্য এক নাম না জানা ভয়ের আখ্যান। মানুষের কল্পনা, বাস্তবতা; জীবন ও মৃত্যু এবং এ দুই জগতের মাঝামাঝি আরেক জগতে আটকেপড়ার কাহিনি আছে এতে, কিছু গল্প পড়ার পর সেই ভয় স্থায়ীভাবে দাগ কাটতে পারে পাঠকের মনে।...
একটি চাকরির গল্প : এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিঁপড়া

একটি চাকরির গল্প : এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিঁপড়া

Jokes, Stories
এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিঁপড়া। সে প্রতিদিন ৯টায় অফিসে ঢুকতো। তারপর কারো সঙ্গে সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে কাজে বসে যেত। সে যে পরিমাণ কাজ করত, তাতে কোম্পানির উৎপাদন হতো প্রচুর এবং এর ফলে সে আনন্দের সঙ্গেই জীবন নির্বাহ করত। ওই অফিসের সিইও সিংহ অবাক হয়ে দেখত, এই পিঁপড়াটি কোনো ধরনের সুপারভিশন ছাড়াই প্রচুর কাজ করছে। সিংহ ভাবল, পিঁপড়াকে যদি কারও সুপারভিশনে দেওয়া হয়, তাহলে সে আরও বেশি কাজ করতে পারবে। কয়েক দিনের মধ্যেই সিংহ একটি তেলাপোকাকে পিঁপড়ার সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দিল। সুপারভাইজার হিসেবে এই তেলাপোকাটির ছিল দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, আর সে দুর্দান্ত রিপোর্ট লিখতে পারত।তেলাপোকাটি প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিল, এই অফিসে একটি অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম থাকা উচিত। কয়েক দিনের মধ্যেই তেলাপোকার মনে হলো, তার একজন সেক্রেটারি দরকার, যে তাকে রিপোর্ট লিখতে সাহায্য করবে। … সে একটা মাকড়সাকে নিয়োগ দিল এই কাজে যে স...
মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প : বুড়ো আঙুল

মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প : বুড়ো আঙুল

Kidz, Stories, Stories for Kids
(মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্পটি লিখেছেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা গল্পকার ধ্রুব নীল। এ গল্পে এক দারুণ মেধাবী কিশোরের গাণিতিক দক্ষতার কারণে কী করে একটি গ্রামের বাসিন্দারা পাকিস্তানি সেনাদের অত্যাচারের হাত থেকে বেঁচে গেল, সেটাই দেখানো হয়েছে। শিশু কিশোরদেরকে অঙ্কের একটা মজার খেলাও শেখা হবে এই গল্পে। এই গল্পে দূরত্ব মাপার কৌশলটি পুরোপুরি সঠিক ও প্রমাণিত।) ‘গেলরে! বলটা একেবারে মরণ কুয়োয়। তুলবো কী করে! খেলা ডিসমিস। ওই সবুজ, তুই ফেলেছিস, তুই তুলবি।’ শরিফুলের কথায় উসখুস করছে সবুজ। তার কিকেই ফুটবলটা সোজা গিয়ে পড়েছে গভীর এক পরিত্যক্ত কুয়ায়। নিচে পানি থাকলেও কেউ জানে কত গভীর ওই কুয়া। মায়াপুর হাইস্কুলে পড়া ওরা সবাই। কেউ এইটে তো কেউ টেনে। রতনও আছে দলে। সে হলো ‘দুধভাত পেলেয়ার’। টিংটিঙে সরু। জোরে বাতাস এলেও নাকি তার হাঁটতে কষ্ট হয়। পাওয়ারওয়ালা চশমা পরে। অবশ্য কেউ তার মাথায় গাট্টা মারে...
সায়েন্স ফিকশন গল্প : সময়পুর

সায়েন্স ফিকশন গল্প : সময়পুর

Kidz, Stories, Stories for Kids
লেখক : ধ্রুব নীল সময়পুর। এ নামে বাংলাদেশে কোনো গ্রাম নেই। মানে এখন আমাদের যে মানচিত্র তাতে এর অস্তিত্ব নেই। গ্রামের নামটা আমারই দেওয়া। কারণ, আমার মতে নামটা সময়পুরই হওয়া উচিত। যদিও ওই গ্রামের লোকজন নাম-ধাম নিয়ে ভাবে না। তাদের কাছে গ্রাম মানে গ্রাম। সময়পুর গ্রামে সময় যেতে চায় না। সবার হাতেই অফুরন্ত সময়। কাজ করতে করতে কোনো কৃষকের মনে হলো আজ নিড়ানি বাদ দিয়ে বসে থেকে শরতের ঘ্রাণওয়ালা বাতাস খাবে। তো সে সেটাই করে যাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এক সময় রাত হবে। শেয়াল ডাকবে। শেয়ালের ডাক শুনে শুনে কোনো শিশুকে তার মা গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়াবে। সেটাও অনেক সময় নিয়ে। তারপর নিশাচর পাখির গাছের গর্তে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে নেমে আসবে গভীর রাত। যে রাতটাও কাটতে চাইবে না অনেকক্ষণ। এখানে আসার পরই আমি গ্রাম কাকে বলে শিখেছি। গ্রাম হওয়ার মতো সবই আছে সময়পুরে। চিকন লতার মতো সজনে, খালের পাড়ে বেড়ে ওঠা কল...
Bangla Horror Story হরর গল্প : অন্ধ চাঁদের কালো আলো

Bangla Horror Story হরর গল্প : অন্ধ চাঁদের কালো আলো

Stories
ধ্রুব নীলের লেখা ভয়ানক এ আধিভৌতিক এ Bangla Horror Story হরর গল্প দুর্বলচিত্তের পাঠকদের জন্য নয়। গল্পটি লেখকের প্রকাশিতব্য ভয়াল সিরিজের পাণ্ডুলিপি থেকে নেওয়া। ভোরের আগে ব্রিটিশ আমলের গোডাউন। ঝাড়পোঁচ করার পরও স্যাঁতস্যাঁতে ভাবটা কাটেনি। শূন্য ঘরের মাঝে চার ফুট উঁচু বেঞ্চি। তাতে নিথর দেহটি রাখা। ঘরের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরানো হয়েছে। হারিকেন আর মোমবাতির ব্যবস্থা করা ছিল আগেই। ওগুলো জ¦লছে স্থির শিখায়। পুরো প্রক্রিয়াটার তারাও সাক্ষী হতে এসেছে যেন। বেঞ্চির একপাশে মনোয়ারা। অন্যপাশে বৃদ্ধ জিঁয়ৎ কুন্ডু। অশীতিপর বৃদ্ধ তার ধাতব বাক্সটা গোছালেন ধীরেসুস্থে। মেঝেতে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন কোনো একটা তরল। যে কারণে জমাট রক্ত ও অন্যান্য জৈবিক অংশগুলো থেকে বোঁটকা গন্ধ নাকে বাড়ি খেল না। মনোয়ারা তার হাতব্যাগ থেকে টাকাটা এগিয়ে দিল। বৃদ্ধ ইশারায় অপেক্ষা করতে বলল তাকে। ধাতব বাক্সটায় ছুরি, কা...
ভুতের গল্প Bhuter Golpo : বাঁশঝাড়ের নিঃশ্বাস

ভুতের গল্প Bhuter Golpo : বাঁশঝাড়ের নিঃশ্বাস

Stories
ধ্রুব নীলের ভুতের গল্প Bhuter Golpo । দুর্বল চিত্তের পাঠক আশা করি এ গল্প পড়বেন না। নব্বই কি একানব্বই সালের কথা। কালীডাঙ্গা গ্রাম সন্ধ্যা পেরোতেই সুনসান। ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক, নিশিবকের ওড়াওড়ি, তেঁতুল গাছে ভূতের ভয়; সবই আছে এ গ্রামে। জয়নাল রাত করে বাড়ি ফেরে। সবসময় যে দোকানের কাজে রাত হয় তা নয়। ইচ্ছে করেও রাত করে। নিশুতি রাতে গ্রামের শ্মশান, গোরস্থান আর ঘন ঝাঁকড়া বাঁশঝাড় ঘেঁষা মাটির চিকন রাস্তায় সাইকেল চালানোর মধ্যে এক ধরনের শিহরণ টের পায়। রাতে এ পথে আরও অনেকে আসা-যাওয়া করে। সবাই তো আর শিহরণ বোঝে না। আশ্বিনের এক ঝিরঝির বৃষ্টির রাত। সাইকেলের সামনে কায়দা করে তিন ব্যাটারির টর্চলাইট লাগিয়েছিল জয়নাল। হেডলাইটের মতো দেখায়। শ্মশান পেরোতেই ওটা নিভে গেল। ঘুটঘুটে অন্ধকারে কড়া ব্রেক কষল জয়নাল। ভুতের গল্প ( Bhuter Golpo ) ‘পানি ঢুকল নাকি!’ টর্চটায় থাপ্পড় মারল। মেরেই বুঝল ভুল হয়েছে। একটা ব্যাট...
মুক্তিযুদ্ধের গল্প : আরেক যুদ্ধের শুরু : মুহম্মদ মোফাজ্জল

মুক্তিযুদ্ধের গল্প : আরেক যুদ্ধের শুরু : মুহম্মদ মোফাজ্জল

Stories
‘বাবা, যুদ্ধ এখন শেষ।’ দরজায় দাঁড়ানো কাজলের এ কথায় উমেদ আলী অবাক হয়ে তাকালেন। নাতি সকালের চোখেও বিরক্তি। বৌমা কাজলের এমন বেরসিক কথায় উমেদ আলী ভেতরে ভেতরে আহত হলেও মুখে হাসিটা ঝুলিয়ে রাখেন। ‘বাবা, ওকে এখন ছাড়ুন। ও ঘুমুতে যাবে। কাল ওর স্কুল আছে। সকাল সকাল উঠতে হবে।’ কাজল একনাগাড়ে বলে গেল। তার কথায় মাধুর্য নেই। চেহারায় কাঠিন্য আছে। উমেদ আলী এবার নাতির দিকে তাকিয়ে হাসলেন। ‘ও তাই তো! আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম। যুদ্ধের গল্পের বাকিটা আরেক দিন শোনাব। এখন তুমি ঘুমুতে যাও।’ উমেদ আলী সকালের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন। ‘দাদু ভাই, প্রতিদিন এত সকাল সকাল আমার ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না।’ গাল ফুলিয়ে বলল সকাল। ‘সে কী কথা! ওই যে কবিতায় পড়েছ না—আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে?’ ‘কিন্তু দাদু ভাই, যেদিন আমার স্কুল বন্ধ থাকে না সেদিন তো আমি সকালে উঠি না। তাই বলে কি আমি ওঠার আগ...
প্রেমের গল্প : মধুরিমা একটি নদীর নাম

প্রেমের গল্প : মধুরিমা একটি নদীর নাম

Stories
মধুরিমা জলের মতো। আমি এমন কাউকেই চাচ্ছিলাম, যার ভেতর নিজেকে দ্রবীভূত করা যায়। গলে যাওয়া যাকে বলে। আমার ডিভোর্সটা সুপারনোভা ছিল না। সব নক্ষত্র তো বিস্ফোরিত হয় না। কিছু তারা ফুলেফেঁপে বড় হয়ে ফোঁড়ার মতো লাল হয়ে যায়। বড় হতে হতে ওটার কোনো মানে থাকে না। নীলিমার সঙ্গে আমার সংসারটা অমনই হয়ে গেল। তারপর একদিন ‘কী যেন মনে হলো’ ভান করে দুজন ঠিক করলাম, এভাবে চলতে পারে ঠিকই, তবে কী দরকার চালানোর। তারচেয়ে দুজন আরও বেশি সুখের সন্ধান করি। মধুরিমাই কি আমার সেই আরও বেশি সুখ? আমরা আজ বিয়ে করেছি। পরিচয় কয়েক মাস আগে। মধুরিমা আমার মতো কোনো সুখের সন্ধানে ছিল না সম্ভবত। আমি তার জীবনে অনেক উড়ে আসা ড্যান্ডালিয়ন ফুল। আর সে বুকভরা নদী। যে কিনা জল হয়ে অনায়াসে ধূসর বালিয়াড়িকেও গলিয়ে দিতে পারে এক লহমায়। ‘হুকটা খুলে দাও তো।’ ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে মধুরিমা কানের দুল খুলছিল। আয়না...
ব্যর্থ প্রেমের গল্প : অপূর্ণ প্রেম

ব্যর্থ প্রেমের গল্প : অপূর্ণ প্রেম

Stories
দীর্ঘ ছুটি শেষে আজ লাবণ্য ও অমিতের দেখা হতে যাচ্ছে, অমিত প্রতিবার দেরি করে বের হলেও আজ একটু তাড়াহুড়ো করে বেরিয়েছি; নীলাভ একটা পাঞ্জাবি গায়ে একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে কদমতলায় অপেক্ষা করছে। প্রতিবার লাবণ্য আগে থেকে অপেক্ষা'র প্রহর গুনলেও আজ ওর আসতে অনেক দেরি হচ্ছে! অবশেষে লাবণ্য অনেকটা অগোছালো অবস্থায় রিক্সা থেকে নামল, লাবণ্যের মুখটা আজ ফ্যাকাসে হয়ে আছে, চোখ তার যেন শত শতাব্দীর নীল অন্ধকার! সব সময় পরিপাটি ও গুছানো থাকা লাবণ্য আজ অগোছালো! বিষন্ন কেন? এই প্রশ্ন অমিতকে খুব বিচলিত করে তুলল! কি হয়েছে তোমার? লাবণ্য কোনো উত্তর না দিয়ে বলল চন্দ্রবিন্দু ক্যাফেতে চল, তোমার সাথে কথা আছে। হঠাৎ লাবণ্যের মাঝে এত পরিবর্তন অমিতের ভেতর ভয় সৃষ্টি করে! বসা মাত্রই জিজ্ঞেস করল তোমাকে এমন লাগছে কেন? লাবণ্যের চোখ অশ্রুতে টলমল করছে, কিছু একটা বলতে চেয়েও বলতে পারছে না: মৃদুস্বরে কাঁপা গলায় বলল তোমা...

Please disable your adblocker or whitelist this site!