Monday, December 23
Shadow

Tag: ধ্রুব নীল

ধ্রুব নীলের আধিভৌতিক হরর রক্তবন্দি

ধ্রুব নীলের আধিভৌতিক হরর রক্তবন্দি

Stories
“চোখে চোখ পড়তেই খরগোশটা চোখ নামিয়ে ফেলল। অবিকল মানুষের মতো! কেমন যেন হতাশা! না ঠিক হতাশা নয়। বরং কিছু লুকাতে চাওয়ার ইচ্ছা। সঙ্গে চাপা ক্ষোভ। যেন আমার চোখে চোখ পড়লেই সে খরগোশ থেকে মুরগির বাচ্চা হয়ে যাবে। অবশ্য তার পায়ের সঙ্গে বাঁধা চেনটা আমার নজর এড়াল না। জাদুকর খরগোশটাকে দিয়ে কোনো জাদু দেখাচ্ছিল না। সম্ভবত শেষে একটা কিছু দেখাবে। আমার মনের খচখচানি গেল না। আমার এই মনের খচখচানিটা একটা ফোবিয়ার মতো। দূর না করা পর্যন্ত বাড়তেই থাকবে। খচখচানি দূর করতে গিয়ে এর আগেও অনেক বিপদে পড়েছি।” এমন আরও গল্প পেতে আজই পড়ে ফেলুন ধ্রুব নীলের 'রক্তবন্দি', কিনুন এই লিংকে।...
হরর থ্রিলার গল্প: সিআইপিএ

হরর থ্রিলার গল্প: সিআইপিএ

Stories
ধ্রুব নীলের গল্প রেনু খুন হওয়ার দেড় মাসের মাথায় খুনিকে ধরেছে রশিদ। খুনি এখন তার সামনে ভারী কাঠের চেয়ারে হাত-পা বাঁধা বন্দি। ‘তুমি আমার একচল্লিশ নম্বর সাবজেক্টের... স্বামী। চিনতে পেরেছি আগেই।’ খুনি বলল। রশিদের স্ত্রী রেনুকে ভয়াবহ যন্ত্রণা দিয়ে সে-ই মেরেছে। ফ্ল্যাট বাসার ভেতরের একটা রুম। ভেতরে ঝলমলে আলো। দুই লেয়ারের ভারী পর্দায় ঢাকা চারপাশ। রুমটা সাউন্ডপ্রুফ করতেই লাখ তিনেক খরচ করেছে রশিদ। অ্যাকুস্টিক প্লাস্টারবোর্ডের সঙ্গে ফোমও বসিয়েছে। তবে খুনি লোকটা একবারও চেঁচামেচি করেনি। খুনির নাম জানা নেই। নাম নিয়ে রশিদের আগ্রহ নেই। পত্রিকার দেওয়া নামটা হলো ‘সলটেড কিলার’। ভিকটিমকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করতো। তারপর লবণ বা এ জাতীয় কিছু মেখে দিত। মরার আগ পর্যন্ত চলতো অমানুষিক নির্যাতন। দুয়েকটা ডেডবডিতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও ভিনেগারের ট্রেস পাওয়া গিয়েছিল। যন্ত্রণা দেওয়...
হরর গল্প : নিস্তার

হরর গল্প : নিস্তার

Stories
লেখক: ধ্রুব নীল ।। ধরন : হরর গল্প । বাংলা আধিভৌতিক হরর গল্পটি চাইলে অডিও বই আকারে শুনতে পারবেন নিচের ভিডিওতে ক্লিক করে। https://youtu.be/M2Z9TIitXb0 অডিও গল্প: হরর : নিস্তার ঝড়ের ঝাপটায় তোশক চুপসে গেছে। রাজ্জাক জানালা বন্ধ করছে না। তার মনেও ঝড়। বাইরের ঝড়ের সঙ্গে মনের ঝড়ের কাটাকুটি খেলা হচ্ছে।দুই বছর নীলিমার প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছে রাজ্জাক। এখনো চিঠিটা দেওয়া হয়নি। দিলেই তুলকালাম বেঁধে যাবে। কলেজের বণিক স্যারের মেয়ের সঙ্গে প্রেম বাড়িতে মেনে নেবে না। রাজ্জাকের বাবা রাধানগর মসজিদ কমিটিতে আছেন। ঘটনা ঘটলে ইজ্জতের বেড়াছেড়া লেগে যাবে। [হরর গল্প : নিস্তার] নীলিমা বললে রাজ্জাক এক শার্টে ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়বে। সমস্যা হলো নীলিমা সেটা বলবে না। সে রাজ্জাককে বিশেষ পাত্তা দেয় না। রাজ্জাক প্রতিদিনই হ্যাংলার মতো গার্লস কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। তবে কাল থেকে দাঁড়াদাড়...
আমাদের টু ডু লিস্ট

আমাদের টু ডু লিস্ট

Cover Story
রাস্তায় ‘সন্দেহভাজন’ গাড়ি আটকে অবৈধ আয়ের টাকা লুকানোর পাঁয়তারা ঠেকানোর কাজ এখন যেভাবে শিক্ষার্থীরা চালাচ্ছে সেভাবে দুয়েকটা সাফল্য দেখা গেলেও বেশিরভাগ রাঘববোয়াল তাতে আটকা পড়বে না। তারা তো ছেঁড়া শার্ট আর লুঙ্গি পরে চটের ব্যাগে লোকাল বাসে উঠেও টাকার বস্তা এদিক-ওদিক নিয়ে যেতে পারবেন। মূলত এ কাজে নজর দেওয়ার দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দিষ্ট বিভাগের। তারা খুব সহজে সেক্টর ধরে ধরে কর্মকর্তাদের পরিবারিক ব্যাংক হিসাব তলব করবেন, তাদের গত এক বছরের বিদেশ সফরের হিসাব নেবেন। প্রশাসন এখন বলতে পারে, অবৈধ ও কালো টাকা এখন আর সাদা করা যাবে না, তবে এ ধরনের সম্পদ সরকারের তহবিলে হ্যান্ডওভার করার বিনিময়ে শাস্তি মওকুফের প্রস্তাব দেওয়া যেতে পারে। ঢাকার কোন কোন ট্রাফিক সার্জেন্ট বা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ৫ বছর চাকরি না করতেই ৮০ লাখ টাকার ফ্ল্যাট কিনেছেন সেটা বের করা খুব কঠিন নয়। দুচারজনকে জিজ্ঞা...
হরর গল্প: ডার্ক ম্যাটার

হরর গল্প: ডার্ক ম্যাটার

Stories
মাচায় শুয়ে আকাশ দেখতে গিয়ে নুরুল আফসারের মনে হয় তার মাথার ওপর যে বিস্তৃর্ণ আকাশ, তেমনি ওই আকাশের সাপেক্ষে সে-ও আছে অনেক উপরে। সে চাইলেই দূরের নক্ষত্রে যেতে পারছে না, নক্ষত্ররাও তার কাছে আসতে পারছে না। আকাশে মেঘ। মেঘ যখন ছিল না তখন লালচে কূপির মতো বহুকাল আগের কোনো এক তারায় আটকে ছিল নুরুলের দৃষ্টি। মেঘ জমতেই একটা অদৃশ্য চাদর প্রবল বেগে মোচড় খেয়ে ঘিরে ধরে নুরুলকে। অর্থাৎ নুরুল তার কল্পনার আলো-আঁধারি জগতে ঢুকে পড়তে চলেছে। কল্পনার বিষয়টা তার কাছে গ্রহ নক্ষত্রের মধ্যকার টানাটানির মতো। গভীরে কী ঘটে জানে না। তবে অস্বীকার করার জো নেই। নুরুল আফসার আপাত-অদৃশ্য সেই চাদরে ডুব দিয়ে নিজের বলয়ে ঢুকে পড়ে। নিজের এই জগতে নুরুল অন্য মানব। ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ে না। বৃষ্টি হয় তাল-লয় মেনে। ঘড়ির কাঁটা ঘোরে কল্পনাকারীর মর্জিমাফিক। বাইরে ঝড়ের বাতিক। শীতে কেঁপে ওঠে নুরুল। আজ মগজের কুঠ...
মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প : বুড়ো আঙুল

মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প : বুড়ো আঙুল

Kidz, Stories, Stories for Kids
(মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্পটি লিখেছেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা গল্পকার ধ্রুব নীল। এ গল্পে এক দারুণ মেধাবী কিশোরের গাণিতিক দক্ষতার কারণে কী করে একটি গ্রামের বাসিন্দারা পাকিস্তানি সেনাদের অত্যাচারের হাত থেকে বেঁচে গেল, সেটাই দেখানো হয়েছে। শিশু কিশোরদেরকে অঙ্কের একটা মজার খেলাও শেখা হবে এই গল্পে। এই গল্পে দূরত্ব মাপার কৌশলটি পুরোপুরি সঠিক ও প্রমাণিত।) ‘গেলরে! বলটা একেবারে মরণ কুয়োয়। তুলবো কী করে! খেলা ডিসমিস। ওই সবুজ, তুই ফেলেছিস, তুই তুলবি।’ শরিফুলের কথায় উসখুস করছে সবুজ। তার কিকেই ফুটবলটা সোজা গিয়ে পড়েছে গভীর এক পরিত্যক্ত কুয়ায়। নিচে পানি থাকলেও কেউ জানে কত গভীর ওই কুয়া। মায়াপুর হাইস্কুলে পড়া ওরা সবাই। কেউ এইটে তো কেউ টেনে। রতনও আছে দলে। সে হলো ‘দুধভাত পেলেয়ার’। টিংটিঙে সরু। জোরে বাতাস এলেও নাকি তার হাঁটতে কষ্ট হয়। পাওয়ারওয়ালা চশমা পরে। অবশ্য কেউ তার মাথায় গাট্টা মারে...
সায়েন্স ফিকশন গল্প : সময়পুর

সায়েন্স ফিকশন গল্প : সময়পুর

Kidz, Stories, Stories for Kids
লেখক : ধ্রুব নীল সময়পুর। এ নামে বাংলাদেশে কোনো গ্রাম নেই। মানে এখন আমাদের যে মানচিত্র তাতে এর অস্তিত্ব নেই। গ্রামের নামটা আমারই দেওয়া। কারণ, আমার মতে নামটা সময়পুরই হওয়া উচিত। যদিও ওই গ্রামের লোকজন নাম-ধাম নিয়ে ভাবে না। তাদের কাছে গ্রাম মানে গ্রাম। সময়পুর গ্রামে সময় যেতে চায় না। সবার হাতেই অফুরন্ত সময়। কাজ করতে করতে কোনো কৃষকের মনে হলো আজ নিড়ানি বাদ দিয়ে বসে থেকে শরতের ঘ্রাণওয়ালা বাতাস খাবে। তো সে সেটাই করে যাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এক সময় রাত হবে। শেয়াল ডাকবে। শেয়ালের ডাক শুনে শুনে কোনো শিশুকে তার মা গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়াবে। সেটাও অনেক সময় নিয়ে। তারপর নিশাচর পাখির গাছের গর্তে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে নেমে আসবে গভীর রাত। যে রাতটাও কাটতে চাইবে না অনেকক্ষণ। এখানে আসার পরই আমি গ্রাম কাকে বলে শিখেছি। গ্রাম হওয়ার মতো সবই আছে সময়পুরে। চিকন লতার মতো সজনে, খালের পাড়ে বেড়ে ওঠা কল...
Bangla Horror Story হরর গল্প : অন্ধ চাঁদের কালো আলো

Bangla Horror Story হরর গল্প : অন্ধ চাঁদের কালো আলো

Stories
ধ্রুব নীলের লেখা ভয়ানক এ আধিভৌতিক এ Bangla Horror Story হরর গল্প দুর্বলচিত্তের পাঠকদের জন্য নয়। গল্পটি লেখকের প্রকাশিতব্য ভয়াল সিরিজের পাণ্ডুলিপি থেকে নেওয়া। ভোরের আগে ব্রিটিশ আমলের গোডাউন। ঝাড়পোঁচ করার পরও স্যাঁতস্যাঁতে ভাবটা কাটেনি। শূন্য ঘরের মাঝে চার ফুট উঁচু বেঞ্চি। তাতে নিথর দেহটি রাখা। ঘরের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরানো হয়েছে। হারিকেন আর মোমবাতির ব্যবস্থা করা ছিল আগেই। ওগুলো জ¦লছে স্থির শিখায়। পুরো প্রক্রিয়াটার তারাও সাক্ষী হতে এসেছে যেন। বেঞ্চির একপাশে মনোয়ারা। অন্যপাশে বৃদ্ধ জিঁয়ৎ কুন্ডু। অশীতিপর বৃদ্ধ তার ধাতব বাক্সটা গোছালেন ধীরেসুস্থে। মেঝেতে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন কোনো একটা তরল। যে কারণে জমাট রক্ত ও অন্যান্য জৈবিক অংশগুলো থেকে বোঁটকা গন্ধ নাকে বাড়ি খেল না। মনোয়ারা তার হাতব্যাগ থেকে টাকাটা এগিয়ে দিল। বৃদ্ধ ইশারায় অপেক্ষা করতে বলল তাকে। ধাতব বাক্সটায় ছুরি, কা...
ভুতের গল্প Bhuter Golpo : বাঁশঝাড়ের নিঃশ্বাস

ভুতের গল্প Bhuter Golpo : বাঁশঝাড়ের নিঃশ্বাস

Stories
ধ্রুব নীলের ভুতের গল্প Bhuter Golpo । দুর্বল চিত্তের পাঠক আশা করি এ গল্প পড়বেন না। নব্বই কি একানব্বই সালের কথা। কালীডাঙ্গা গ্রাম সন্ধ্যা পেরোতেই সুনসান। ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক, নিশিবকের ওড়াওড়ি, তেঁতুল গাছে ভূতের ভয়; সবই আছে এ গ্রামে। জয়নাল রাত করে বাড়ি ফেরে। সবসময় যে দোকানের কাজে রাত হয় তা নয়। ইচ্ছে করেও রাত করে। নিশুতি রাতে গ্রামের শ্মশান, গোরস্থান আর ঘন ঝাঁকড়া বাঁশঝাড় ঘেঁষা মাটির চিকন রাস্তায় সাইকেল চালানোর মধ্যে এক ধরনের শিহরণ টের পায়। রাতে এ পথে আরও অনেকে আসা-যাওয়া করে। সবাই তো আর শিহরণ বোঝে না। আশ্বিনের এক ঝিরঝির বৃষ্টির রাত। সাইকেলের সামনে কায়দা করে তিন ব্যাটারির টর্চলাইট লাগিয়েছিল জয়নাল। হেডলাইটের মতো দেখায়। শ্মশান পেরোতেই ওটা নিভে গেল। ঘুটঘুটে অন্ধকারে কড়া ব্রেক কষল জয়নাল। ভুতের গল্প ( Bhuter Golpo ) ‘পানি ঢুকল নাকি!’ টর্চটায় থাপ্পড় মারল। মেরেই বুঝল ভুল হয়েছে। একটা ব্যাট...
রহস্যজট : বাগেশ্রীর শেষ আলাপ : ধ্রুব নীল

রহস্যজট : বাগেশ্রীর শেষ আলাপ : ধ্রুব নীল

Stories
আজ রইল ধ্রুব নীলের লেখা রহস্যজট বাগেশ্রীর শেষ আলাপ । এটি মূলত একটি গল্প ধাঁধা। প্রথম সমাধান করার চেষ্টা করুন। উত্তর দেখার জন্য একদম শেষে দেওয়া লিংকে ক্লিক করুন। রহস্যজট : বাগেশ্রীর শেষ আলাপ : ধ্রুব নীল আকাশের চাঁদ আর জলের চাঁদকে যখন এক বলে ভ্রম হয়, তখন অনেক আপাত সত্য নিরেট অর্থহীন ঠেকে কারও কারও কাছে। সবার কাছে সে অনুভূতি এক মনে না হলেও একেবারেই যে আলাদা আলাদা তা কিন্তু নয়। এমন কূলহারা পূর্ণিমায় সত্য গোসাইয়ের বড় মেয়েটা যখন আশপাশের শত অচেনা শঙ্কাকে চুলোয় তুলে এবং রাতের নিরবতাকে আরও এক ধাপ গভীরে পৌঁছে দিয়ে হারমোনিয়াম বাজিয়ে ধীরলয়ে গাইতে শুরু করে বাগেশ্রীর আলাপ, তখন পাইনসাদের পুকুর পাড়ের আধমরা নারকেল গাছের কাণ্ডের ফোকরে বাসা বাঁধা রহস্য পাখিটা সে গানে কান দেয়। তার সঙ্গে আরও একজন কান পেতে শোনে রাতের কিশোরীর আকুলতা। সে পান চাবায় আর আলাপের তালে মাথা নাড়ায় কিছুটা। ক...
রক্তখেলা | পর্ব ১ | ধারাবাহিক থ্রিলার গল্প

রক্তখেলা | পর্ব ১ | ধারাবাহিক থ্রিলার গল্প

Stories
ছয় জগতের ছয়জন মানুষ। আচমকা একদিন আটকা পড়েছেন একটি ঘরে। সেখানে বেজে চলেছে একটি রেকর্ডিং। বদ্ধ সেই ঘরে নেই কোনো খাবার। আছে শুধু ছয়টি পানির বোতল। ভেতরের ছয়জনকে খেলতে হবে একটি খেলা। যে খেলার ফল ঠিক করে দেবে ছয়জনের মধ্যে কারা শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকবে। গল্পটি লিখেছেন জনপ্রিয় গল্পকার ধ্রুব নীলএই লেখকের সমস্ত বই পাবেন এই লিংকে ধ্রুব নীলের রক্তখেলা ( রহস্য ও থ্রিলার গল্প ) পর্ব-১কাবাডি ‘আসুন আমরা একটা খেলা খেলি। খেলার নাম কাবাডি। নিয়মটা হলো…।’‘কে!’যে চেঁচিয়ে উঠল তার ঘুম ভেঙেছিল সবার আগে। টিমটিমে একটা টিউবলাইটের আলোয় চোখ সয়ে আসার পর কোটের ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে পুরোনো ঘরটার মলিন আসবাব ও ছুড়ে ফেলা জামাকাপড়ের মতো দলা পাকিয়ে থাকা বাকি দেহগুলোও তার নজরে আসে। শুনতে পায় রেডিওর অনুষ্ঠানে বিরতিতে বেজে ওঠা স্টিংগারের মতো মিউজিক। এরপর রেকর্ড করা কণ্ঠ- ‘আসুন আমরা একটা খেলা খেলি…।’‘কে কথা বলে! বেরিয়ে আসেন। এ...
ধ্রুব নীলের আধিভৌতিক হরর গল্প : তিনি

ধ্রুব নীলের আধিভৌতিক হরর গল্প : তিনি

Stories
আধিভৌতিক হরর গল্প : তিনি ধ্রুব নীল চুলায় ডাল ফুটে উঠতেই রাবেয়ার বুক কাঁপতে শুরু করে। বারবার মিলির দিকে তাকায়। মনের মধ্যে কু-প্রশ্ন ভর করে—এই ডাল যদি মিলির গায়ে ছিটকে পড়ে! মিলি রাবেয়ার একমাত্র মেয়ে। বয়স ছ-সাত হবে। মিলি চায় রাতের বেলায় মায়ের পাশে গুটিসুটি মেরে বসবে আর মাটির চুলায় লাকড়ি ঠেলবে। রাবেয়া সেটা হতে দেয় না। কড়া ইশারায় মিলিকে বুঝিয়ে দিল চুলার আসপাশ আসলে তার পিঠে লাকড়ি ভাঙা হবে। রাবেয়া নিজেও জানে তার এ ভয় অহেতুক। ফুটন্ত ডাল খামাকা মেয়ের গায়ে পড়বে কেন? ‘আম্মা, একটা হিয়াল।’ ‘কোনো দিক যাবি না কইলাম। চুপচাপ ঘরে বইসা থাক। কোন দিকে হিয়াল?’ ‘জানি না।’ ‘কই দেখছস? সামনে যাইস না কইলাম।’ ‘ঘরের পিছে। ডেউয়া গাছের তলায়।’ রাবেয়ার মনে হলো তার লাফিয়ে উঠে এগিয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু নড়তে পারল না। হাত-পা অবশ লাগছে। চোখ বন্ধ করে দোয়া-দুরুদ ...
অতিপ্রাকৃতিক সায়েন্স ফিকশন : স্থির অথবা সময়হীনতা

অতিপ্রাকৃতিক সায়েন্স ফিকশন : স্থির অথবা সময়হীনতা

Stories
ধ্রুব নীলের অতিপ্রাকৃতিক সায়েন্স ফিকশন গল্প --- আজ রোববার। বাসের সুদীর্ঘ লাইন থাকার কথা আজও। গতকাল পর্যন্ত রাজধানী ছিল একেবারে নদীর মতো। বাস চলেছে নৌকার মতো তরতরিয়ে। কিন্তু ধূলোবালি গিলে বাসস্টপ পর্যন্ত যাওয়ার আগে আমি বিস্মিত হইনি। এসেই অবাক হলাম। লাইন নেই! বাস ফাঁকা। ড্রাইভার বসে আছে শুধু। একেবারে একা! আমি তড়িঘড়ি করে এক লাফে বাসে চড়লাম। বাস ছেড়ে দিল! একা আমাকে নিয়েই! সিটে বসামাত্রই চলতে শুরু করল। যেন এইমুহূর্তে কেউ একজন আমাকে কিডন্যাপ করলো। হালকা পাতলা ড্রাইভার কিডন্যাপার নয়। বাস চালানোতেই তার যাবতীয় মনযোগ। আরো অবাক হলাম, যখন দেখি কোনো সিগনাল নেই। সিগনালের ট্রাফিক পুলিশ ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। কাকতাড়ুয়ার মতো। কোথাও কোনো শব্দ নেই। কোনো রিকশাওয়ালা তার সহকর্মীকে মুখ খিঁচে গাল দিল না। শোনা গেল না অসহিষ্ণু কোনো গাড়ি চালকের ক্রমাগত হর্ন কিংবা হর্নের আড়ালে চাপা পড়া মোবাইল ফোনে কোনো তরুণীর বিরামহী...
অতিপ্রাকৃতিক সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার গল্প : দ্বিত

অতিপ্রাকৃতিক সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার গল্প : দ্বিত

Stories
অতিপ্রাকৃতিক সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার গল্প : দ্বিত : লেখক: ধ্রুব নীল আমি আবদুস সামাদের কানের কাছে ফিসফিস করে বললাম, মেটামরফসিস। আবদুস সামাদ প্রথমবার বুঝতে পারেনি। আমি আবার বললাম। আবদুস সামাদ বিব্রত হল। দ্বিতীয়বার শব্দটা ভেঙে ভেঙে বললাম। আবদুস সামাদ চোখ বুঁজে ফেলল। এক দুই তিন। দশ হাত পেছনে বিপরীত দিকে মুখ করে থাকা নুরুল আলম চিৎকার করে বলে উঠলো, মেটাফসফরাস! আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেল। ঝট করে পেছনে দুই পা পেছালে বোধহয় সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সহসা পা চলতে চাইল না। বিস্ময়ে এদিক ওদিক তাকালাম। দর্শকরা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। আমার বিস্ময়ে মজা পেয়েছে খুব। কয়েক সেকেন্ড কিংবা বড়জোর এক মিনিট, কথা বললাম না। বিস্ময়টাকে পরাজয়ের মতো লাগলো। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। জাদু এমন হতে পারে না! লোকটা প্রতারণা করছে না তো? সে তো খালি গায়ে দাঁড়িয়ে আছে! কানের আশপাশে কোনো গোপন মাইক্রোফোনও লুকানো নেই। কাঠি দিয়ে নিজের হ...
রোমান্টিক থ্রিলার গল্প : ছায়া এসে পড়ে : শেষ পর্ব

রোমান্টিক থ্রিলার গল্প : ছায়া এসে পড়ে : শেষ পর্ব

Stories
রোমান্টিক গল্প উপন্যাস: ছায়া এসে পড়ে শেষ পর্ব ১৬-২১ রোমান্টিক থ্রিলার ঘরানার বইটি মধ্যবয়সী পুরুষ তৈয়ব আখন্দকে ঘিরে। জীবন সংসারের প্রতি খানিকটা উন্নাসিক কিন্তু বুদ্ধিমান এ মানুষটা পালিয়ে বেড়াতে চায়। কিন্তু আচমকা টাঙন নদী ঘেঁষা গ্রাম পদ্মলতায় এসে সে আটকা পড়ে চাঁদের আলোয় ঝুলতে থাকা একটা লাশ আর লাবনীর জালে। তৈয়ব নিজেকে বের করে আনার চেষ্টা করে। চলতে থাকে জড়িয়ে পড়া ও ছাড়িয়ে আনার মাঝে এক সমঝোতা। রোমান্টিক প্রেমের গল্প ও একই সঙ্গে থ্রিলার স্বাদের উপন্যাস ছায়া এসে পড়ে । লেখক ধ্রুব নীল ছায়া এসে পড়ে পর্ব -১  এর লিংক ছায়া এসে পড়ে পর্ব -২  এর লিংক ছায়া এসে পড়ে পর্ব -৩  এর লিংক ছায়া এসে পড়ে পর্ব -৪  এর লিংক ছায়া এসে পড়ে পর্ব -৫  এর লিংক ছায়া এসে পড়ে পর্ব -৬  এর লিংক ছায়া এসে পড়ে পর্ব -৭  এর লিংক ছায়া এসে পড়ে পর্ব -৮ ও ৯  এর লিংক ছায়া এসে পড়ে পর্ব -১০  এর লিংক ছায়া এসে পড়ে পর্ব ১১-১২ ...

Please disable your adblocker or whitelist this site!