
সায়েন্স ফিকশন গল্প : বিরিন্তা
ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফিকশন গল্প --
বাংলা সন ১৪০১। পাঁচই ফাল্গুন। তৈয়ব আখন্দ বিব্রতকর অবস্থায় উঠোনে বসে আছে। হুরাসাগর নদীতে কী করে মরতে মরতে দশ কেজি সাইজের বোয়াল মাছ ধরেছে সেই গল্প শুনছিল হারু মাঝির কাছ থেকে। মাঝি চলে গেল। রেখে গেল নিরবতা।
তৈয়ব গেল মেয়ের পড়ার টেবিলের দিকে। পুরো বাড়িতে বাপ-মেয়ে ছাড়া আর কেউ নেই। মেয়েটাও শব্দ করে পড়ে না। সন্ধ্যা হতেই ঝপ করে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নীরবতা নেমে আসে শোলাকুড়ি গ্রামের পুরনো বনেদি ধাঁচের টিনশেডের বাড়িটায়।
বাড়িটা তৈয়বের নয়। বাড়ির মালিক তার স্ত্রী আফরিন নাহার। ঝগড়া যতবার হতো, সে-ই চলে যেত রাগ করে। পাশের নরিল্লা গ্রামে বড় ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠত।
‘বিচিত্র ব্যাপার। তোর মা আমাকে বের করে দিলেই পারে। দুনিয়ার সব অঙ্ক ডাইলভাত, সংসারের অঙ্ক মিলাইতে গেলে চক্কর লাগে। এখন তারে আবার তার বাড়িতে ডাইকা আনা লাগবে।’
‘বাবা, মিষ্টি কু...