Monday, December 23
Shadow

Tag: ধ্রুব নীল

সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস : মায়াদ্বীপ ২৩৯০

সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস : মায়াদ্বীপ ২৩৯০

Stories
সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস মায়াদ্বীপের গল্প ভবিষ্যতের। একটি দ্বীপ। বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে অনেক দূরে। তবে এর বাসিন্দারা বাঙালি ও গ্রামীণ জীবন যাপন করছে। দ্বীপের শাসনভার এক কোম্পানির হাতে। গ্রামবাসীর কাছে ওই কোম্পানিই হলো সরকার। তারাই সর্বেসর্বা। গ্রামবাসীর কাছে তাদের দ্বীপটাই আস্ত একটা দেশ। বাংলাদেশের অস্তিত্ব সম্পর্কেই তারা জানে না। অন্তু নামে এক সাহসী কিশোরের মনে প্রশ্ন জাগে। সে বেরিয়ে পড়ে দ্বীপ ছেড়ে। আবিষ্কার করে তাদের মতোই আরেকটা দ্বীপ।     পর্ব-১   উত্তর-পূবের সৈকতে বিধ্বস্ত অবস্থায় হারু মাঝিকে দেখতে পেয়ে গ্রামবাসী একটার পর একটা প্রশ্ন করেই যাচ্ছে। ‘তুমি কোথায় ছিলা?’ ‘তুমি কী খাইসো? তোমার হাতে পুটলিতে কী আছে?’ ‘তুমি এত শুকাইয়া গেলা কেন?’ ‘আহারে বেচারা না খাইয়া পেটে পিঠে এক হইয়া গ্যাছে।’ কেউ কেউ এসে একটা কলা কিংবা ডাব এগিয়ে ধরছে। হারু মাঝি কিছুই মুখে ...
গল্প : তৈয়ব আখন্দের মা

গল্প : তৈয়ব আখন্দের মা

Stories
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত বীমা কোম্পানির জন্য দিন রাত গ্রাহকের সন্ধান করলেও তৈয়ব আখন্দকে সহসা বীমার দালাল বলে মনে হয় না। পরিপাটি ফতুয়ার ওপর মাফলার জড়িয়ে আয়নায় নিজের গোলাকার মুখখানি দেখে তৈয়ব আখন্দের মনে নতুন ভাবনার উদয় হয়। তৈয়ব আখন্দ আসলে আয়নায় কোনোদিন নিজের চেহারা দেখেনি। হয় চুল দেখেছে না হয় শেভ করা গাল। আজ সেসবের কিছুই দেখলো না। কেবলই অভ্যাসবশত আয়না দেখা। ফোনটা বেজে উঠতেই সেটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে চল্লিশে পা দেওয়া তৈয়ব আখন্দ। মায়ের ফোন। যথারীতি ফোন রিসিভ করে তৈয়ব আখন্দ বলে ‘আম্মা।’ তৈয়ব আখন্দের চেহারার পরিবর্তন ও হুঁ হাঁ বলার ধরন দেখে আমরা জানতে পারি যে ওপাশ থেকে বৃদ্ধা বলছেন, ‘ও তৈয়ব, রওনা দিসস? বেলা থাকিতে আইয়া পড়। দেরি হইয়া গেলে মুসিবত।’ তৈয়ব আখন্দ ‘আইতাসি, সবুর কর।’ বলে ফোনটা রেখে আবার আয়নায় নিজের দিকে তাকাল। ভাবছে অতীতের কথা। অতীত যে কোনদিন অতীত হয়ে গেল, সেটাই ভাবার বিষয়। সময় জিনিস...
রম্য গল্প: হাবুডাস্টিং

রম্য গল্প: হাবুডাস্টিং

Stories
রম্য গল্প: হাবুডাস্টিং লেখক: ধ্রুব নীল   ‘তৈয়ব, একটা সমস্যায় পড়েছি।’ দুলাভাইয়ের কথায় অবাক হলো তৈয়ব। লোকে টাকা ধার চাওয়ার সময় এভাবে মাথা নিচু করে হালকা গলায় কথাটা বলে। তৈয়ব বেকার। সে নিজে খায়-পরে বড় বোনের সংসারে। তার কাছে টাকাটুকা ধার চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে?   ‘ইদানিং ভুলে যাচ্ছি। আবার হালকা হালকা মনেও পড়ছে। কিন্তু...।’   মাথাভর্তি টাক হওয়ার কারণে কথাটা বলার সময় মাথা চুলকোতে পারলেন না ইফতেখার সাহেব। তিনি ভাবছেন, একান্ন-বায়ান্ন এমন কোনো বয়স না। এ বয়সে এমন বিকট সমস্যায় পড়ার মানে হয় না।   ‘খুবই কমন সমস্যা দুলাভাই। ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখেন। আমিও ভুলে যাচ্ছি। গতকাল একটা চাকরির এপ্লাই করার লাস্ট ডেট ছিল।’   ‘ওই ভোলা না। মানে, একেবারে ঠুস করে ভুলে যাওয়া। গত কয়েক দিন ধরে এ সমস্যা। মাথাটাও কেমন কেমন করে। পরে আবার মনে পড়ে, কিন্তু আমার মনে...
অতিপ্রাকৃত ছোটগল্প:  দৌড়

অতিপ্রাকৃত ছোটগল্প: দৌড়

Stories
ধ্রুব নীলের ছোটগল্প। অতিপ্রাকৃত গল্প। ১০০ শব্দের গল্প লোকটা দৌড়াচ্ছে। অনকেদনি হলো। সে নির্ঘাৎ ফরেস্ট গাম্প মুভিটা দেখেছে- এমনটা যারা ভেবেছিল তারাও দ্রুত ভুল শুধরে বলতে লাগলো, এমনটাই হওয়ার কথা। মানুষ তো দৌড়াবেই। সবই দৌড়ায়, যেমন দ্রব্যমূল্য- ‘আরে ভাই এর মধ্যে সয়াবিন তেল ঢোকাবেন না তো!’ এরপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন বৈষয়িক মানুষগুলো দুম করে ভুলে গেলো লোকটার কথা। আমার মাথা থেকে গেলো না। মাথার ভেতর কে যেন বললো, সময় নেই! সময় নেই! ঠিক করেছি, লোকটার সঙ্গে দৌড়াবো। তাই একদিন আমিও ছুটতে শুরু করি। লোকটার পাশে। লোকটা ফিরেও চাইল না। সে হয়তো ধরেই নিয়েছে, আমাকে সে ভুল দেখছে- দৃষ্টিভ্রম, দৌড়ানোর সাইড এফেক্ট? কিছুদিন পর, আবিষ্কার করলাম, আমিই দৌড়াচ্ছি। একা!...
সায়েন্স ফিকশন গল্প : এখন কিংবা…

সায়েন্স ফিকশন গল্প : এখন কিংবা…

Stories
ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফিকশন গল্প : তৈয়ব আখন্দ ভুলোমনা। নিজেও জানেন বিষয়টা। অফিসের অর্ধেকটা পথ এসে তার মনে পড়লো তিনি মহাগুরুত্বপূর্ণ একটা ফাইল মেসে ফেলে এসেছেন। রোজ হেঁটে অফিসে যান। কারণ তার ডায়াবেটিস। রোগটার সঙ্গে ভুলে যাওয়ার একটা সম্পর্ক আছে। প্রায়ই ডায়াবেটিসের কথা বলে পার পেয়ে যান। আজ সেই উপায় নেই। ফাইল না নিয়ে গেলে চাকরি থাকবে না। চাকরি গেলেও ফাইলটা অফিসে পৌঁছে দিতে হবে। তৈয়ব ভাবছেন অফিসে গিয়ে আবার বাসায় চলে আসবেন, নাকি চট করে রিকশা নিয়ে ফিরে যাবেন। ভাবতে ভাবতে রমনা পার্কের পাশের ফুটপাতে দাঁড়ালেন। পানওয়ালার কাছ থেকে পান নিয়ে চিবুতে শুরু করলেন। ‘কী মশাই গাছের পাতায় এনার্জি আছে? বেশ বেশ।’ আগন্তুককে দেখে পাগল কিসিমের মনে হলো না। চেহারাটা অদ্ভুত। একবার এক রকম লাগছে। কখনও চওড়া চিবুক, কখনও গোলগাল তেলতেলে, আবার কখনও পুরনো আমলের মাস্তানদের মতো লম্বা চুল-জুলপি। ডায়াবেটিসে চোখও নষ্ট হয় জান...
ধ্রুব নীলের অতিপ্রাকৃত সায়েন্স ফিকশন : যে কারণে ঘোর বর্ষা দেখতে নেই

ধ্রুব নীলের অতিপ্রাকৃত সায়েন্স ফিকশন : যে কারণে ঘোর বর্ষা দেখতে নেই

Stories
  বর্ষা খুব বেশি হলে তাকে ঘোর বর্ষা বলে। এর কারণ, অধিক বর্ষায় এক ধরনের ঘোর লাগে। তবে সত্য কথাটা হলো এই ঘোর সবার লাগে না। আমার লাগার কথা ছিল কিনা জানি না, তবে ১৯৯০ সালের ওই ঘটনায় আমি একবার ভীষণ এক বর্ষা-ঘোরে পড়ে গিয়েছিলাম। মাসটা ছিল আষাঢ়। দুলার হাটে আমি আগে কখনো যাইনি। আমার এক বন্ধু আরিফের বাড়ি ওই গ্রামে। আরিফ আমাদের এলাকায় থাকতো তার বাবার চাকরির কারণে। ছুটি পেলে বাড়ি যেত। দুর্গম পাহাড়-পর্বত বা সমুদ্র নয়, অচেনা ছিমছাম গ্রামই আমাকে বেশি টানতো। তাই নতুন গ্রাম দেখার লোভে আরিফের সঙ্গে যেতে একবার রাজি হয়ে যাই। বাড়িতে ম্যানেজ করতে কষ্ট হলেও আমার জেদের কাছে হার মানে সবাই। যে সময়ের কথা বলছি, তখন মোবাইল-টেলিফোন ছিল না। ছিল শুধু ফিল্মের ক্যামেরা। আমি তখন কলেজে। আমার একটা ক্যামেরা ছিল। ওটা ছিল যাবতীয় অ্যাডভেঞ্চারের একমাত্র সঙ্গী। পকেটে অবশ্য একটা নোটবুক আর কলম রাখার বাতিকও ছিল। দুলার হাটের ...
ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফিকশন গল্প | একটি লম্বা সকাল

ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফিকশন গল্প | একটি লম্বা সকাল

Stories
বড় কোনো ডিগ্রির ভার নেই। তবে সাংবাদিক হিসেবে এলাকায় আমার খ্যাতি অনেক। সম্পাদক মশাই তো বলেন আমার রান্নার হাত বেশ। কথাটা প্রশংসা হিসেবেই নিই। আজকাল খবরে এক আধটু মশলা ভালো করে কষিয়ে না দিলে চলে না। প্রায়ই নানান অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ পাই। সব রক্ষা করা হয় না। তবে গতকাল চিঠিটা পাওয়ার পরপরই সিদ্ধান্ত নিই নিমন্ত্রণটা আমাকে রক্ষা করতেই হবে। কারণ চিঠিটা পাঠিয়েছেন স্বয়ং বিজ্ঞানী সিদ্ধার্থ। নামজাদা বিজ্ঞানী। নিভৃতে পড়ে থাকেন অলকেশ্বর রোডের বিদঘুটে বাড়িটায়। দেখে মনে হয় জেলখানা। কীসের বিজ্ঞানী তা কেউ জানে না। তবে বিদেশি পত্রপত্রিকায় তাকে নিয়ে নিয়মিত ছাপা হয়। ‘যাচ্ছি মালতী! বিকেলের আগে ফিরতে পারব কিনা জানি না।’ বউকে বলতে বলতে জুতো পায়ে গলাচ্ছিলাম। ‘নাস্তা করবে না?’ ‘সকালের নাস্তাটা তো তিনি অবশ্যই করাবেন। এত বড় বিজ্ঞানী। এত টাকার মালিক।’ জুতোর ফিতে বাঁধতে বাঁধতে হুলোকে বললাম ‘যা! আমার জন্য রাখা দুধটা ...
অতিপ্রাকৃতিক গল্প : খোলস | লেখক : ধ্রুব নীল

অতিপ্রাকৃতিক গল্প : খোলস | লেখক : ধ্রুব নীল

Stories
সকাল সকাল সাইকেলের প্যাডেল দাবিয়ে চলেছেন তৈয়ব আখন্দ। চকচকে টাক, পেছনে কয়েক গাছি চুল, গোলগাল মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি, সামান্য ভুড়ি; এমন একটা মানুষের নাম তৈয়ব আখন্দ হওয়াই তো স্বাভাবিক!   তৈয়ব আখন্দ সম্ভবত কোনো একটা ছোটখাট কোম্পানিতে চাকরি করেন। ছোটখাট পদে। বড় পদ হলে চকচকে স্যুট টাই পরতেন। তৈয়ব আখন্দের এসব নেই। আছে একটা পুরনো বাইসাইকেল।   অফিসে যাওয়ার সময় কোনো দিকে তাকান না তৈয়ব। এক সপ্তাহ হলো তাকাচ্ছেন। গুলিস্তানের এক কোনায় ফুটপাতের পাশে সুড়ঙ্গের মতো সরু একটা চায়ের দোকানের সামনে বসে থাকে লোকটা। সাধু সন্ন্যাসীর মতো। তৈয়ব আখন্দের মতোই মাথাভর্তি টাক। খানিকটা ভুড়িও আছে।   চিরকুমার তৈয়ব আখন্দ আয়না দেখেন না বহুদিন। দেখলে অবাক হতেন। সন্ন্যাসীর মতো লোকটা অবিকল তার মতো দেখতে। অবিকল মানে অবিকল। দাড়ি কমায় মিল। নিজের চেহারা কেমন সেটা ভুলে গেছেন বলেই লোকটার দিকে কেবল ভুরু...
আধিভৌতিক রহস্য থ্রিলার গল্প: পোর্ট্রেট

আধিভৌতিক রহস্য থ্রিলার গল্প: পোর্ট্রেট

Stories
ধ্রুব নীলের রহস্য গল্প ১ রাত সাড়ে দশটা। বছর দশেক হবে মেয়েটার বয়স। মায়াবি চোখ। কোঁকড়া চুল। চোখে ঘুম ঘুম ভাব। ঘুণে ধরা টেবিলের সামনে নড়বড়ে এক চেয়ারে বসে কারো জন্য অপেক্ষা করছে কারো জন্য। ছোট্ট ঘরটায় অল্প পাওয়ারের বাতির মিটিমিটি আলো তার ঘুমটা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে যেন। যে করেই হোক জেগে থাকতে হবে। অপেক্ষার পালা শেষ হলো আধঘণ্টা পর। দরজা খোলার শব্দ শুনেই বোঝা যায় চুপিসারে ঢুকেছে কেউ একজন। মেয়েটা সচকিত। ড্রয়ার খুলে পেনসিল আর খাতা নিয়ে টেবিলে রাখল ঝটপট। পেনসিলের ডগাটা পরখ করে নিল। একদম তৈরি ওটা। শার্পনার আর ইরেজারও হাতের নাগালে। মেয়েটার পেছনে এসে দাঁড়াল লুঙ্গি আর পুরনো সোয়েটার পরা মধ্যবয়সী লোকটা। যে কিনা একটু আগেই ঘরে ঢুকেছে। কোনো কথা না বলে হাতের মোবাইল ফোনটা রাখল মেয়েটার সামনে। স্ক্রিনে এক যুবকের ছবি। ঘাড় বাঁকিয়ে ছবির দিকে তাকাল মেয়েটা। তাকিয়েই রইল। চোখ আর ফেরাল না। খাতার ওপর চলতে শুরু করল প...
আসছে ধ্রুব নীলের রোমান্টিক থ্রিলার ‘ছায়া এসে পড়ে’

আসছে ধ্রুব নীলের রোমান্টিক থ্রিলার ‘ছায়া এসে পড়ে’

Cover Story, Stories
তৈয়ব আখন্দ এ গল্পের মূল চরিত্র। অথবা লাবনী, রেবেকা কিংবা এক পর্যায়ে লোকমান আলীর মৃত্যুটাই হয়ে ওঠে মূল চরিত্র। চরিত্রগুলো ধোঁয়াটে, তবে থ্রিলারের আমেজ পরিষ্কার। সঙ্গে মখমল চাঁদের আলোর সঙ্গে লাশের সমীকরণ এনে দেয় ভিন্ন মাত্রা। সেই সঙ্গে তৈয়ব আখন্দের নিজেকে ‍গুটিয়ে রাখার ব্যর্থ সব চেষ্টা। সবই এ রোমান্টিক থ্রিলার নভেলার উপজীব্য। লেখক ধ্রুব নীল বড়দের জন্য খুব কম লিখেছেন। তবে ‘ছায়া এসে পড়ে’ বইতে তার ভাষাশৈলী ও খাটনিটা চোখে পড়ার মতো। অহেতুক বর্ণনার বালাই নেই। পড়তে পড়তে মনে হবে এ বুঝি অন্ধকার গলি ঘুপচির কোনো এক আন্ডাররেটেড ওয়েব সিরিজ। ছোটখাট উপন্যাসটি দামে সস্তা। গায়ের দাম ১৫০ টাকা। তবে বিল্ড কোয়ালিটিতে এতটুকু ছাড় দেয়নি প্রসিদ্ধ পাবলিশার্স। বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ। বইটির প্রশংসা করেছেন তিনিও। ধ্রুব নীলের মতে, এ অদ্ভুত ও অস্থির সময়ে আমরা যদি সত্যিই নিজেদের প্রকৃতির সঙ্গে বিলিয়ে দিতে চ...
সায়েন্স ফিকশন গল্প টিম্ভুত

সায়েন্স ফিকশন গল্প টিম্ভুত

Stories
ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফিকশন গল্প টিম্ভুত   ১ ‘ওই যে দেখতাসো। সামনের দাঁত নাইওয়ালা লোকটা। খবরদার ওর সামনে যাইবা না!’ ‘টেকো মাথা? চা খাচ্ছেন যিনি কপাল কুঁচকে?’ ‘হ। ও কিন্তুক মানুষ না, ওইটা একটা ভূত। দিশাভূত।’ ‘দিশা ভূত কী জিনিস? দিয়া ভূত টাইপের?’ ‘ওই একই কথা। দিয়া ভূতের বাপ! যারে ধরে সে দিশহারা হয়। পুরা ভ্যাবলা হইয়া ঘুরতে থাকে। আমারে অবশ্য এহনও ধরে নাই।’ এসেছিলাম মটুয়া গ্রামে বেড়াতে। বিকেলটা ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম এদিক ওদিক। গ্রামটা বেশ মায়াময়। যেতে ইচ্ছে করে না। আমার স্কুল বন্ধুদের অনেকের বাড়ি এখানে। চাকরিজীবনে ঢোকার পর অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। তবে অনেক দিন পর ইদ্রিস কাকার দেখা পেলাম। তিনিই আমাকে সতর্ক করলেন লোকটার ব্যাপারে। আগাগোড়া যাকে মানুষই মনে হচ্ছে। তবে অদ্ভুত একটা ব্যাপার তো আছেই। চোখে ঠিকমতো ধরা পড়ছে না এখনও। স্মার্টফোনের স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে লোকটাকে ভাল করে দেখলাম। চোখে ক...
ধ্রুব নীলের গল্প : ক্লেপটোম্যানিয়া

ধ্রুব নীলের গল্প : ক্লেপটোম্যানিয়া

Stories
ধ্রুব নীলের গল্প : ক্লেপটোম্যানিয়া পিন্টু তালুকদারের মতে চুরি করা পৃথিবীর সবচয়ে সহজ কাজ। ধরা পড়ার অংশটুকু নিয়ে কখনই মাথা ঘামান না তিনি। মিন্টুকে সাহেব বলার কারণ তিনি সবসময় কেতাদুরস্থ চলাফেরা করেন। আংশিক টাক পড়া কাঁচাপাকা চুলে হাত বুলোতে বুলোতে কথাও বলেন বুদ্ধিদীপ্ত। তার সমস্যা একটাই। চুরি না করে থাকতে পারেন না তিনি। চুরি করাটা মিন্টু সাহেবের অভ্যাস। তিনি এটাকে বদভ্যাস বলতেও রাজি না। বদভ্যাস হলো ধূমপান, মদ্যপান এসব। চুরি করাটা শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য যেহেতু ক্ষতিকর নয়... যাক সে আলাপ। মিন্টু সাহেবের যথেষ্ট টাকাকড়ি আছে। সব কিন্তু চুরি করে পাওয়া নয়। তিনি চাকরি করেন। ঢাকায় ফ্ল্যাট না থাকলেও বেশ ভালো একটা বাসা ভাড়া করে থাকেন। তার স্ত্রী কলেজের প্রভাষক। ছেলে মোবাইলে গেমস খেলে। ছোট মেয়ে ইউটিউবে ভিডিও দেখে। বাইরে থেকে দেখে কে বলবে যে মিন্টু সাহেব মানুষের বাসায় চুরি করে বেড়ান। মিন্টু সাহেব কখন...
রহস্যজট : রহস্য গল্প ধাঁধা – অন্তর্ঘাত

রহস্যজট : রহস্য গল্প ধাঁধা – অন্তর্ঘাত

Stories
  রহস্যজট : রহস্য গল্প ধাঁধা - অন্তর্ঘাত লিখেছেন: ধ্রুব নীল অন্যসব দিনের মতো সূর্যের অতটা তেজ নেই। তবু কপাল বেয়ে এক ফোঁটা ঘাম গিয়ে পড়ল ডিইএম-ফিফটি রাইফেলের হাতলে। ঝটপট দুবার পলক ফেলে চোখের ঘাম ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করল এজেন্ট মেহরীন। এক মিলি সেকেন্ডের জন্যও চোখ সরাতে চায় না ব্রিটিশ স্নাইপার রাইফেলটির ভিউ ফাইন্ডার থেকে। কারণ এক সেকেন্ডই যথেষ্ট ওদের জন্য। ‘এজেন্ট নাইন। এজেন্ট নাইন। টুয়েলভ ও’ক্লক। মুভমেন্ট অন নাইনথ ফ্লোর। ওভার।’ ‘ক্লিয়ার। ইটস এয়ার।’ বাতাসকেও বিশ্বাস করতে চাইছে না মেহরীন। মনে হচ্ছে, ওরা বাতাসে মিশে আছে। যেকোনো মুহূর্তে হামলে পড়বে মন্ত্রীর ওপর। ঠিক ৩টায় ভাষণ দেবেন মন্ত্রী। সঙ্গে আছেন কয়েকজন বিদেশি অতিথি। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের কাছে। সরকারও চায় গজিয়ে ওঠা বিষদাঁত গুঁড়িয়ে দিতে; কিন্তু গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরে গত দুই র...
তৈয়ব আখন্দ ঘড়িবিতান

তৈয়ব আখন্দ ঘড়িবিতান

Stories
অতিপ্রাকৃত বাংলা গল্প : তৈয়ব আখন্দ ঘড়িবিতান লিখেছেন ধ্রুব নীল   পাহাড়ি টিলার ওপর একচালা ঘর। ঘড়ির দোকান। চা-বিস্কুট বা মুদি দোকান হলে কথা ছিল। কিন্তু তৈয়ব আখন্দ ঘড়ির দোকানটা ছাড়েন না। বাপদাদার আমলের দোকান। পরিবারে বড় অশান্তি। আয়-রোজগার নেই। লোকে এখন ঘড়ি তেমন কেনে না। তৈয়ব আখন্দের স্ত্রী রাস্তার মোড়ে সবজি বিক্রি করে কিছু রোজগার করেন। ‘আব্বা, ঘড়িতে ফুঁ দাও ক্যান?’ ‘এমনি এমনি দিই। অভ্যাস। ঘড়ি ঠিক করার টাইমে একটু ফুঁ ফাঁ দিতে হয়।’ ‘আব্বা, সিন্দুকের ঘড়িটা কবে ধরতে দিবা?’ মিজানের তর সয় না। সে যা-ই বলুক, শেষে সেটা সিন্দুকের ঘড়িতে গিয়ে আটকে যায়। তৈয়ব জবাব দেন না। সিন্দুকের ঘড়ির ব্যাপারে তিনি বিশেষ কথা বলেন না। ছেলের অতি আগ্রহে তার কিছু যায়-আসে না। পোলাপানের আগ্রহ সবখানেই। তৈয়ব আবারও ফুঁ দেন। মিজান জানে, এটা হলো ফাইনাল ফুঁ। মানে ঘড়ি ঠিক হয়ে গেছে। ‘আইজকা তো স্কুলে যাস ন...

Please disable your adblocker or whitelist this site!