Friday, April 25

Tag: রম্য

বর্ণচোরা আরিফ

বর্ণচোরা আরিফ

Stories
মো আবুল কালাম: ভবিষ্যতে মহান হওয়ার সম্ভাব্য, সম্ভাবনাময় বর্ণচোরা 'আরিফ' সম্পর্কে আমার শালা হয়। তার বয়স বাড়েনা, তার মুখ মন্ডলের পশম সমূহ বিসর্জন দিয়ে ১৫ বছরের বালক বলে দিব্যি চালিয়ে দেয়া সম্ভব, যদিও তার বয়স ২৫! সে অনাহারে না থাকলেও তাকে মঙ্গাপিড়িত এলাকার ক্ষুধার্ত বলে চালিয়ে নিতে কারো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আকৃতি বা প্রকৃতি যেকোনভাবেই সে বয়স, পেশা, জন্ম বা পড়াশোনা সবকিছু লুকানোর সকল বৈশিষ্ট্যই তাহার বাহ্যিক আবয়বে বিদ্যমান। বর্ণচোরা শব্দটা তার জন্য আবিষ্কার হয়েছিল বললে শব্দটাকে যথার্থ মূল্যায়ন করা হবে বলে অন্তত আমার মনে হয়। এই চোরা (চোরা শব্দটি সম্পর্কের খাতিরে আমার জন্য প্রযোজ্য , আপনারা পড়ুন বর্ণচোরা) তার পরিবারের বড় সন্তান, মাস্টার্স ফাইনাল শেষ হতে মাস কয়েক অবশিষ্ট আছে। সে এখনো নিজের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত হতে পারেনি। তার পড়াশোনা ও আনুষাঙ্গিক খরচের জন্য মা-বাবা ...
রম্য সায়েন্স ফিকশন সমগ্র : অ্যান্ড্রোমিডার মশা

রম্য সায়েন্স ফিকশন সমগ্র : অ্যান্ড্রোমিডার মশা

Stories
সায়েন্স ফিকশন, সেটাও আবার রম্য! ধ্রুব নীল ছাড়া এমনটা কেউ বোধহয় আর ভাবেনি আগে। নিয়মিত এসব রম্য সায়েন্স ফিকশন ছাপা হয়েছিল কালের কণ্ঠ পত্রিকার ঘোড়ার ডিম ম্যাগাজিনে। আজ সেই ম্যাগাজিন নেই। তবে ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফিকশনগুলো ঠিকই আছে। একটু নিচে স্ক্রল করলেই পেয়ে যাবেন আস্ত বইটির পিডিএফ।   বইটি ভালো লাগলে লেখকের বিশেষ একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে আপনিও অংশ নিতে পারেন। এর জন্য ১০ কিংবা ২০ টাকা দিলেই হবে। আপনার এ টাকায় কেনা হবে ফলগাছের চারা। সেটা বিতরণ করা হবে বৃক্ষপ্রেমীদের কাছে। [লেখাটি ভালো লাগলে আমাদের লেখকদের জন্য নামমাত্র সম্মানি  পাঠাতে পারেন নগদ-এ নম্বর 01407-885500]   সায়েন্স ফিকশন লেখকদের মধ্যে বাংলাদেশে এখনও অদ্বিতীয় আসনে বসে আছেন মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। সায়েন্স ফিকশন শুধু ভবিষ্যৎ নিয়ে আজগুবি গল্প নয়। এর মধ্যে বিশুদ্ধ বিজ্ঞানও থাকতে হয় এবং সেই বিজ্ঞান-চিন্তার আরও অনেক ড...
ধ্রুব নীলের রম্য রচনা : সাপ ও ওঝা

ধ্রুব নীলের রম্য রচনা : সাপ ও ওঝা

Stories
ধ্রুব নীল এক দেশে ছিল এক সাপ। তার ছিল ভয়ংকর বিষদাঁত। কিন্তু আফসোসসসস্। ফ্ল্যাট-এপার্টমেন্টের যুগে কামড় দেয়া দায়। দাঁতজোড়া সারাদিন কুটকুট করে। ছোবল আর দেওয়া হয় না। কামড় দিয়েই বা লাভ কী। বিদেশি ইনজেকশন চলে এসেছে। মরার জো নেই। ভয়ানক বিষাক্ত হয়েও এমন অস্তিত্ব সংকট আগে কখনও টের পায় নাই বেচারা সাপ। সারাদিন মুখের মধ্যে একটা মাইনরিটি ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এদিকে কাউকে কামড়াতে না পারায় তার বিষগুলো সব জমা হলো মস্তিষ্কে। সেখানে তৈরি হলো এক বিষবুদ্ধি। আধুনিক ওষুধের কারণে ওঝাদের ব্যবসা মন্দা। ওঝারা খেয়ে না খেয়ে আছে। সাপ গেল সেই ওঝার বাড়িতে। ‘ওঝা ভাই। আমি গোবেচারা গোখরা। তোমার সঙ্গে একটা ডিপলোমেটিক আলাপ আছে। দরজা খোলো।’ চিপায় পড়া ওঝা সাত পাঁচ না ভেবে দরজা খুলে দিল। পিঁড়ি পেতে সাপকে বসতে দিল। এরপর দরজা লাগিয়ে শুরু করলো রুদ্ধদ্বার বৈঠক। ‘বল, তোমার অফারটা কী শুনি।’ ‘অফারটা সোজা। এখন তো আর সাপ...
ধ্রুব নীলের রম্য রচনা : বিজ্ঞানী মতিনের মহা আবিষ্কার

ধ্রুব নীলের রম্য রচনা : বিজ্ঞানী মতিনের মহা আবিষ্কার

Cover Story, New Jokes and Articles, Stories
ধ্রুব নীলের রম্য রচনা ১ বিজ্ঞানী মতিন ক্রয়োনপাধ্যায়ের হাত সচরাচর কাঁপে না। তবে বোতামটা চাপতে গিয়ে দেখলেন আঙুলের ডগায় রিখটার মাপনী বসানো উচিৎ ছিল। আবিষ্কারের উত্তেজনায় হাত কাঁপছে! দীর্ঘ দশ বছরের সাধনা আজ চালু হতে যাচ্ছে! বোতামে চাপ দিতেই চোখ পিট পিট করে তাকাল বয-১। বয মানে 'বাংলা যন্ত্রমানব'। পুরোপুরি বাংলা বলবে ও বুঝবে এ রোবট। ‘অভিবাদন গ্রহণ করুন মহান ক্রয়োনপাধ্যায়। বলুন আমি আপনার কী সেবায় আসতে পারি।’ রোবটের মুখে গায়কি ঢঙে বলা কথাগুলো শুনে বিজ্ঞানীর চোখে জল আসার উপক্রম। কোনোমতে পানি সামলে বললেন, ‘ওরে বযো, আমাকে এক গ্লাস পানি দে।’ ‘আপনার নির্দেশনা বুঝতে পারিনি জনাব। দয়া করে বাংলায় পুনরাবৃত্তি করুন।’ আবেগের কান্নাটা মাঝপথে আটকে হেঁচকি হয়ে গেল। বিজ্ঞানী বুঝতে পারলেন না ঘটনা কী। রোবটটা বুঝলো না কেন? আবার বললেন বিজ্ঞানী, ‘বযো-১ আমাকে এক গ্লাস পানি দাও। ঠাণ্ডা পানি।’ ‘আপনার নির্দেশনা ...
রম্য সায়েন্স ফিকশন : আকালুর একদিন :  ধ্রুব নীল

রম্য সায়েন্স ফিকশন : আকালুর একদিন : ধ্রুব নীল

Cover Story, Stories
রম্য সায়েন্স ফিকশন : আকালুর একদিন মধ্যবয়সী অবিবাহিত বিজ্ঞানী আকালু সবে তার সকালের নাশতায় কামড় দিয়েছেন, এমন সময় হন্তদন্ত হয়ে দৌড়ে এলেন তার একমাত্র সহকর্মী ড. নিনিনি। বয়সে আকালুর সমান। এখনও বিয়ে করেননি। মহাকাশযান চৈতালীতে আকালু একমাত্র পুরুষ আর নিনিনি একমাত্র নারী। জীবনের দীর্ঘ সময় দুজন একসঙ্গে মহাকাশযানেই কাটিয়েছেন। ছুটে এসে বাচ্চাদের মতো মাথা চাপড়ে নিনিনি যা বললেন তাতে খানিকটা বিরক্তই হলেন বিজ্ঞানী আকালু। ‘ড. আকালু! মহাবিপদে পড়েছি! আমাকে বাঁচাও! আমার ব্রেনবুক আবারও হ্যাক হয়েছে। কারা জানি উল্টাপাল্টা বার্তা পাঠাচ্ছে। উফফ...এ খাঁচা ভাঙব আমি কেমন করে! এ খাঁচা ভাঙব...উফফ কী সব গাইছি বলো তো? এটা নিশ্চয়ই হ্যাকারদের কাণ্ড! কী অদ্ভুত গান রে বাবা! এ খাঁচা ভাঙব...।’ ‘হ, বুঝসি। উল্টাসিধা চিন্তা করছিলা হয়তো, এ জন্য ভাইরাস ঢুকসে। হ্যাকারদের কাম। এই যে আমারে দেখো, ব্রেইনবুক-ট্রেইনবুক কোনো অ্যাকাউন্...