class="archive tag tag-story tag-25 wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

Tag: story

শুরু থেকে শেষ, শেষ থেকে শুরু

শুরু থেকে শেষ, শেষ থেকে শুরু

Stories
এক লোক পাথর কাটার কাজ করতো। লোকটা জীবনে তার অবস্থান নিয়ে খুবই অসন্তুষ্ট থাকতো সবসময়। একদিন সে এক ধনী ব্যবসায়ীর বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। বাড়ির জানালা দিয়ে সে দেখছিলো ব্যাবসায়ীর শান-শওকত। খুব ঈর্ষান্বিত হয়ে সে চিন্তা করতে লাগলো, 'আহা আমি যদি বণিকের মতো হতে পারতাম!' কি আশ্চর্যের ব্যাপার, লোকটা হঠাৎ বিরাট বণিক হয়ে উঠলো। তার কল্পনার চেয়ে বেশি বিলাসিতা এবং ক্ষমতা উপভোগ করতে লাগলো। একদিন সে দেখলো রাজ্যের প্রধান বিচারক রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছেন। সে দেখলো, বিচারক একটা চেয়ারে বসে আছেন এবং তাকে একদল সৈন্য বয়ে নিয়ে চলছে। রাস্তার পাশের দোকানিদের সৈন্যরা দেদারসে পেটাচ্ছে। জনতা বিচারকের সামনে মাথা নত করছে। বণিকের মনে মনে ভাবতে লাগলো, আহা বিচারক কত শক্তিশালী! আমি যদি একজন বিচারক হতে পারতাম!" তারপরে সে এক বিচারক হয়ে উঠলো, তার সৈন্যরা তাকে সেডান চেয়ারে সর্বত্র বহ...
হরর থ্রিলার গল্প: সিআইপিএ

হরর থ্রিলার গল্প: সিআইপিএ

Stories
ধ্রুব নীলের গল্প রেনু খুন হওয়ার দেড় মাসের মাথায় খুনিকে ধরেছে রশিদ। খুনি এখন তার সামনে ভারী কাঠের চেয়ারে হাত-পা বাঁধা বন্দি। ‘তুমি আমার একচল্লিশ নম্বর সাবজেক্টের... স্বামী। চিনতে পেরেছি আগেই।’ খুনি বলল। রশিদের স্ত্রী রেনুকে ভয়াবহ যন্ত্রণা দিয়ে সে-ই মেরেছে। ফ্ল্যাট বাসার ভেতরের একটা রুম। ভেতরে ঝলমলে আলো। দুই লেয়ারের ভারী পর্দায় ঢাকা চারপাশ। রুমটা সাউন্ডপ্রুফ করতেই লাখ তিনেক খরচ করেছে রশিদ। অ্যাকুস্টিক প্লাস্টারবোর্ডের সঙ্গে ফোমও বসিয়েছে। তবে খুনি লোকটা একবারও চেঁচামেচি করেনি। খুনির নাম জানা নেই। নাম নিয়ে রশিদের আগ্রহ নেই। পত্রিকার দেওয়া নামটা হলো ‘সলটেড কিলার’। ভিকটিমকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করতো। তারপর লবণ বা এ জাতীয় কিছু মেখে দিত। মরার আগ পর্যন্ত চলতো অমানুষিক নির্যাতন। দুয়েকটা ডেডবডিতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও ভিনেগারের ট্রেস পাওয়া গিয়েছিল। যন্ত্রণা দেওয...
রোমান্টিক গল্প : ইমার জন্য অপেক্ষা

রোমান্টিক গল্প : ইমার জন্য অপেক্ষা

Stories
টার্গেট মিস হলেই প্রবাল সেন ক্ষ্যাপা যুবক। চোখের মণিতে যেন ফণা ওঠে। টার্গেট থেকে চোখ না সরিয়েই আলগোছে সরিয়ে দেয় হোগলার জঙ্গল। তারপর ফের মনযোগ। নিশানা করার কাঁটা, বন্দুকের ট্রিগারের উপর সূক্ষ্ম গিরিখাত, আর প্রবাল সেনের চোখ; সব মিলে মিশে একাকার। প্রায় অসীম সময় নিয়ে দম ছাড়তে ছাড়তে এক পর্যায়ে ট্রিগারে চাপ। সাদা বকটা মুহূর্তে লাল। প্রবাল সেনের বয়স ধপ করে বেড়ে চল্লিশ। কল্পনায় নিজের মুখে আংশিক বলিরেখাও দেখেন। তবে বন্দুক হাতে জোবারপাড় গ্রামে ফেরার সময় একটা পর্যায়ে নিজেকে খানিকটা বুড়িয়ে ফেলেন প্রবাল সেন। সুপারি বাগানের যে দিকটায় বড় বড় দুটো তালগাছ আছে, সেখানে ঠিক ঐ বকটার মতো অপেক্ষায় থাকে ইমা। ইমার কাছে নিজের বয়সটা কোনো এক কারণে কখনই মূখ্য ছিল না। যুগ যুগ ধরেই যেন কিশোরি। তবে তার সামনে দাঁড়ানো মাত্রই প্রবাল সেন চল্লিশোর্ধ্ব।   - কি গো শিকারি, আজ খালি হাতে ফিরলে যে! বলেছি না ঘুঘু...
সায়েন্স ফিকশন গল্প : দ্য অ্যাওয়ার্ড

সায়েন্স ফিকশন গল্প : দ্য অ্যাওয়ার্ড

Stories
সায়েন্স ফিকশন গল্প : দ্য অ্যাওয়ার্ড আজকের দিনটা অবশ্যই অন্যরকম। এবং তা কেবল মার্টিনের জন্য। অস্ট্রিক এখনো ব্যাপারটা টের পায়নি। পেলে একগাদা বিশেষণ দিয়ে দিনটাই মাটি করে দিতো। অবশ্য তা অস্ট্রিক চাইলেও হবে না। দিনটা এতোটাই বিশেষ যে তা মাটি হওয়া সম্ভব নয়। মার্টিন নিজেকে স্বাভাবিক রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। তারপরও হাতে আঁকড়ে রাখা সেন্ট্রিনোটা বারবার কেঁপে উঠছে। ওই যন্ত্রটাই তাকে সুখবরটা দিয়েছিল। আসলে মার্টিনের হাতটাই কাঁপছে। সে আজ একটি বিশেষ পুরস্কার পেতে যাচ্ছে। ‘শুভ সকাল মার্টিন। সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা। আজ এক সেগেটা, তিনশ জুলন বর্ষ। আজ তুমি তিন হাজার পাঁচ-এ পা দিয়েছ। হ্যাপি বার্থ ডে।’ অস্ট্রিকের কোলে চেপে বসতেই মৃদু ঝাঁকি খেলো মার্টিন। অন্যদিনের চেয়ে বেশি। তবে গাড়িটার ফোটোনিক ক্যাবল মেরামতের প্রয়োজন আজ অনুভব করলো না। কেননা, আজকের পর থেকে অস্ট্রিককে তার প্রয়োজন হবে না। অস্ট্...
কষ্টের গল্প : লাইটার

কষ্টের গল্প : লাইটার

Stories
কথিত আছে, এই লাইটার দিয়ে নাকি কোন এক ইংরেজ লর্ড তাঁর চুরুট ধরিয়েছিলেন। আজ গুলিস্তানের মোড়ে পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত উক্ত লাইটারখানা দিয়ে রফিক মিয়া তার দিনের দ্বিতীয় বিড়িতে আগুন ধরায়। সরু চেইনের সাথে বাঁধা এই লাইটার সবসময় তার গলায় ঝুলতে দেখা যায়। অদ্ভুত এক লকেটের মত লাগে। দোকানী হা করে তাকিয়ে থাকে। ‘ ভাই, এই মাল কই পাইলেন? রফিক মিয়া ভ্রু কুঁচকে দোকানীর দিকে তাকায়। চোখে স্পষ্ট বিরক্তি। ‘ এইডারে মাল কইবানা! এইডা হইল তাবিজ! জন্মের সময় দাদাজান গলায় পরায়া দিছিলেন। ‘ তাবিজ থেইকা আগুন বাইর হয়! বড়ই তাইজ্জব! রফিক মিয়া আরো উৎসাহ পায়। ‘ তাইজ্জবের দেখছডা কি মিয়া! মাইঝরাতে নিশা উডলে এই তাবিজ ছারা উপায় থাহেনা। ‘ নিশার লগে তাবিজের কি সম্মক্ক?’ দোকানী কিছুটা বিনীত কন্ঠে জিজ্ঞেস করে। রফিক মিয়া জবাব না দিয়ে মৃদু মৃদু হাসে। এই লাইটার দিয়ে বিড়ি ধরালে বিড়িও চুরুটের মত মনে হয় তার কাছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে জো...
আধ্যাত্মিক গল্প : অস্তিত্ব

আধ্যাত্মিক গল্প : অস্তিত্ব

Stories
শ্রাবন্তী আয়নার সামনে দাঁড়াতে ভয় পায়। অতিপ্রাকৃত ভয়। নিজেকে কুৎসিত দেখবে এ ভয় তার নেই। তার রূপ বাহুল্যবর্জিত। অবশ্য দেখতে কেমন তা নিয়ে সে বিশেষভাবে কখনো ভাবেনি। তবু সে আয়না দেখে না। আয়নার সামনে দাঁড়ালেই এক অপার্থিব ভয় গ্রাস করে। শ্রাবন্তীর হাইপারটেনশনের সমস্যাও নেই। তবু নিজের প্রতিবিম্ব দেখলেই তার নিঃশ্বাস দ্রুততর হয়। কপাল ঘামে। বুক ধড়ফড় করে। গলার কাছটায় কী যেন আটকে থাকে। বুকের এক কোণে তীব্র ব্যাথাও টের পায়। মনে হয়, যেন একটু পরই মঞ্চে তার ডাক পড়বে তাৎক্ষণিক অভিনয়ের জন্য। আয়না দেখে শ্রাবন্তী প্রথম ভয় পেয়েছিল ক্লাশ ফাইভে পড়ার সময়। আয়নায় নিজের চেহারা না দেখে মৃত দাদীকে দেখেছিল সেদিন। এখন অবশ্য নিজেকেই দেখে। পারতপক্ষে আয়নার মুখোমুখি না দাঁড়ালেও মাঝে মাঝে বেসিনে মুখ ধোয়ার সময় নিজেকে দেখতে হয়। দেখা মাত্রই চমকে উঠে। মনের ভেতর কে যেন বলে, ‘আরে! এতো আমি! আমি..আমি..আমি..’। অনাকাঙ্ক্ষিত এক ...
গল্প : ড্রাইভার

গল্প : ড্রাইভার

Stories
গল্প : ড্রাইভার : লিখেছেন ধ্রুব নীল কারওয়ান বাজারের মুন্সি টি স্টলে চিনি কম চায়ে চুমুক দিতে দিতে হঠাৎ সলিম ড্রাইভারের মাথায় এলো ‘সে সলিম ড্রাইভার হইলো কেন?’ মানে সলিম ড্রাইভারই কেন গাবতলী রুটের সলিম ড্রাইভার হলো। রাস্তা দিয়ে একটু আগে যে বড়লোকের মেয়েটা দমাদম চলে গেল, সলিম মিয়া তো তার ভেতরেও থাকতে পারতো। যার শরীরের দিকে চোখ ড্যাবড্যাব করে চায়ের কাপ হাতে তাকিয়ে থাকত অন্য আরেক সলিম ড্রাইভার। কিন্তু তা হয় নাই। এ নিয়ে অবশ্য সলিম ড্রাইভারের আফসোস নাই। সে ভাবছে, ‘সে হইল সলিমের ড্রাইভার। ওই মাইয়াটা তো আর সলিম ড্রাইভার হওনের মজা বুঝতাসে না।’ ‘বাড়ি গেসিলা?’ মুন্সির প্রশ্নের উত্তরে কোণাকুনি মাথা ঝাঁকালো সলিম। যেন সে গেছে আবার যায়নি। এটা নিয়েও সলিমের চিন্তার শেষ নাই। একসঙ্গে দুটো জিনিস বিশ্বাস করারও মজা আছে। সে যে দুটো জিনিস বিশ্বাস করে তা হচ্ছে, ‘সলিম ড্রাইভার দুই কিসিমের আদমি। এক সলিম ড্রাই...
Looking for a Creative Story writer for kids?

Looking for a Creative Story writer for kids?

Kidz, Stories for Kids
You have arrived just at the right place if you are Looking for a Creative Story writer for kids. We are providing original stories of different genres (horror, science fiction, fantasies, new original fairy tales, superhero story, etc) suitable for kids aged between 6-12 years. The stories will be unique, easy to read, and obviously will provide a good reading experience. There will be plenty of room for customization and necessary inclusion and gender issues can be focused on. We have experience writing for UNICEF and some other prominent organizations (references can be provided upon request). We are also experts in creating simple animated storytelling with some motion graphics. Currently, we are providing original writing/ghostwriting services to our clients in two languag...
রোমান্স গল্প : উপভোগ

রোমান্স গল্প : উপভোগ

Cover Story, Stories
রোমান্স গল্প : উপভোগ লিখেছেন মৌমতিা শকিদার লাবনী ১ সুপ্রভার মনে হলো তার উপমাগুলো বাক্সে পুরে তালা লাগিয়ে দেয়ার দিন এসে গেছে। এ যুগে নাকি এসব অচল। রুজুর ভাষায় এ নাকি সেকেলে গন্ধ ছড়ায়। রঞ্জিতকে রুজু ডাকে সুপ্রভা। এই রুজুই তার কবিতার সমঝদার। মাপ মতো প্রশংসা সমালোচনা দুটোই করে। তবে ইদানীং রুজু সবকিছুতে কেমন যেন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। কবিতা-গদ্য সবই এড়িয়ে চলছে। সুপ্রভা বিজ্ঞানের ছাত্রী। তার সবকিছুতেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্তি আসবেই। রঞ্জিতকে সে মাঝে মাঝে বোঝানোর চেষ্টা করে, কবিতায় কাল ব্যাপারটা অন্যরকম। সুপ্রভার কাছে কবিতার সংজ্ঞা হলো, কালকে আলগোছে একপাশে সরিয়ে পরিচ্ছন্ন কিছু অনুভূতি। রঞ্জিত আবার এসব শুনতে পছন্দ করে না। ভ্রূ কুঁচকে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে। আজও যেমনটি আছে। সুপ্রভা বলল, এই যে তুমি এখনকার ভিজুয়াল প্রডাকশানগুলোকে অতিমাত্রায় মেলোড্রামাটিক বলছ, এটা ভুল। রঞ্জিত রিকশাওয়ালার পি...
বাংলা গল্প : কবি ও মুক্তা

বাংলা গল্প : কবি ও মুক্তা

Cover Story, Stories
বাংলা গল্প : কবি ও মুক্তা লিখেছেন - নাবিলা সিদ্দিকা   বেদনার নীল রং..। আব্বে রাহো তোমার কবিতা। কী কইলা? বেদনার কালারডা জানি কী? নীল? নীলতো অইবোই! ঠ্যাঙ্গের নলিতে পটাশ পটাশ দুইখান বাড়ি দিলে নীল রঙা ছোপতো পড়বোই। নতুন কিছু কও। কবি রানা মজুমদার তাৎক্ষণিকভাবে নতুন কিছু বলতে পারে না। সে উঠতি কবি। এখনো আঙ্গুল টিপে মাত্রা গোনে। অক্ষরবৃত্তে যুগ্মধ্বণিতে সে প্রায়ই তালগোল পাকায়। মাত্রাবৃত্তকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চললেও চর্চায় তার ত্রুটি নেই। কবিতার জন্য চাই আইডিয়া। আইডিয়ার জন্য ভেরিয়েশন। সেই জন্যই দিন দশেক হলো পুরান ঢাকার একদল উঠতি বখাটের সঙ্গে রানার ওঠাবসা শুরু। আড়াই টাকার সিগারেটে টান দিতে কবির বেজায় কষ্ট। বখাটেরা এজন্য তাকে চার টাকার সিগারেট খাওয়ায়। কবিতার জন্য না, নিতান্ত ভদ্র ছেলে বলেই তারা পছন্দ করে। চা-সিগারেটের বিলটা তাই তারাই দেয়। বিল দেয়ার সময় রানা তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে। পেঁজা ...
ধ্রুব নীলের মজার ভূতের গল্প : থিংক লাইক ভূত

ধ্রুব নীলের মজার ভূতের গল্প : থিংক লাইক ভূত

Cover Story, Kidz, Stories, Stories for Kids
এ নিয়ে কয়েকশবার হাতে চিমটি কাটা হয়ে গেল। তবু একবারও ব্যথা লাগেনি! তারমানে এ নিশ্চয়ই স্বপ্ন। খুব খারাপ স্বপ্ন। কিন্তু স্বপ্ন মানুষ এতোক্ষণ দেখে কী করে! দু’চার মিনিট হলে না হয় কথা ছিল, তাই বলে টানা তিনদিন! তবে কি ঐ তিনচোখা দানবটার কথাই সত্যি! সে কি তাহলে..! না এ কিছুতেই সম্ভব নয়। এ হতে পারে না! সে একটা পুরনো পোড়াবাড়িতে না খেয়ে না ঘুমিয়ে তিনদিন একটা চেয়ারে টানা বসে থাকবে, এটা বিশ্বাস করা যায় না কিছুতেই। ঐ তিনচোখা দানব বললেই হলো! ব্যাটা নিজে তো একটা ভূত, বলে কিনা সেও ভূত হয়ে গেছে! অসম্ভব। - এ সম্ভব ম্যাডাম। পৃথিবীতে অসম্ভব বলে কিছু নেই। দরজা নেই। তাই নক করার দরকার হলো না। বাইরে ফকফকা চাঁদের আলো। যিনি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে এ কথা বললেন তাকে বেশ ভয়ার্ত দেখাচ্ছে। তার হাতে একটা ব্রিফকেসের মতো ব্যাগ। দুবার কাশি দেয়ার মতো শব্দ করলেন। তবে তাতেও ঘরের ভেতরে যে বসে আছে তার কোনো সাড়া মিলল না। ...
তুমুল আলোড়ন তুলেছে ধ্রুব নীলের ‘রক্তদ্বীপ’

তুমুল আলোড়ন তুলেছে ধ্রুব নীলের ‘রক্তদ্বীপ’

Cover Story, Health and Lifestyle, Stories, Stories for Kids
এবারের বইমেলায় প্রকাশ হয়েছে ধ্রুব নীলের রক্তদ্বীপ । রোমাঞ্চ, অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গে সায়েন্স ফিকশনের ফ্লেভার আছে এ বইতে। পরতে পরতে বিপদের গন্ধ ও বুদ্ধি খাটিয়ে তা থেকে বাঁচতে হবে দুই রোমাঞ্চপাগল বন্ধুকে। এ বইয়ের মধ্যে একইসঙ্গে জুলভার্ন, ম্যাকগাইভার ও মাসুদ রানাকে খুঁজে পাচ্ছেন পাঠকরা। লেখকও জানালেন, বেশ সময় নিয়েই তাকে এ টেকনো-থ্রিলার উপন্যাস দাঁড় করাতে হয়েছে। এটি প্রকাশ করেছে প্রসিদ্ধ পাবলিশার্স। প্রচ্ছদ এঁকেছেন জনপ্রিয় শিল্পী ধ্রুব এষ। এর আগে ধ্রুব নীলের অতিপ্রাকৃত গল্পের সংকলন ‘রক্তবন্দি’ বের করেছিল প্রকাশনাটি। সেটাও বেশ সাড়া ফেলে পাঠকমহলে। ধ্রুব নীলের ‘রক্তদ্বীপ’ বাংলার জুলভার্ন-এর ছায়া খুঁজে পেয়েছেন পাঠক সজল সরকার। তিনি জানালেন, ‘পুরোটা এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মতো। ইদানীংকার বর্ণনা ও আর একই ধরনের মানবিক টানাপড়েনের উপন্যাস দেখে দেখে আমরা ক্লান্ত। রক্তদ্বীপ যেন একটু দম নেওয়ার ...
হরর-থ্রিলার গল্প পদ্মলতা

হরর-থ্রিলার গল্প পদ্মলতা

Cover Story, Stories
ধ্রুব নীল ভূতের প্রসঙ্গ উঠলেই নাঈমের দাদি খ্যাটখ্যাট করে ওঠেন। খ্যাটখ্যাটের একপর্যায়ে তিনি অশালীন গালিগালাজ শুরু করেন। গ্রামে এসব গালিগালাজ কমন ব্যাপার। নাঈমের সঙ্গে তার ভার্সিটির বান্ধবী উপমাও বেড়াতে এসেছে। উপমার সামনে দাদির অশ্লীল গালিগুলো হজম করতে হচ্ছে নাঈমকে। ‘যা যা। ভূত আমার ইয়ে করবে।’ তারপর ভূত আর কী কী করতে পারবে না সেটার একটা ফিরিস্তি দিলেন দাদি। ‘দাদি, উপমা এসেছে ঢাকা থেকে। ওর কথাই বলেছিলাম। ও এসেছে আমাদের বাড়ির ভূত দেখতে।’ দাদি একটা কিছু বলতে গিয়ে আটকে গেলেন। উপমা চোখ বড় বড় করে তার দিকে তাকিয়ে আছে। এমন গোটা গোটা চাহনির সামনে গালিটালি মুখ দিয়ে আসে না। হামানদিস্তায় পান ছেঁচতে লাগলেন দাদি। চোখে ছানি পড়ায় কোন দিকে তাকিয়ে আছেন বোঝা গেলো না। রাত এগারোটা। এখনকার গ্রামে এগারোটা অতো গভীর নয়। অবশ্য আজ সম্ভবত অমাবস্যা। ঘুটঘুটে অন্ধকার বলে যে একটা বিষয় আছে সেটা মনে হয় এই প্র...
অতিপ্রাকৃতিক সায়েন্স ফিকশন গল্প : পরীবিবির দোলনা

অতিপ্রাকৃতিক সায়েন্স ফিকশন গল্প : পরীবিবির দোলনা

Stories, Stories for Kids
ধ্রুব নীল ১ ঘটনার কিছুটা কানে আসার পর জারা গোঁ ধরে, দাদির বাড়ি যেতেই হবে। কনকনে পৌষের শীতে জমজমাট রহস্য পেয়েছে। পরীবিবির বাড়িতে কদিন ধরে ভূতের উপদ্রব। পরীবিবি হলেন জারার দাদি। বয়স সত্তরের মতো। নামের মতো বাড়িটাও রাজকীয়। জমিদারবাড়ির মতো খিলান, কুয়ো সবই আছে। পেছনে জঙ্গলের মতো। বাঁশঝাড়ের ফাঁকে একে অন্যের লেজ কামড়ে হেঁটে বেড়ায় শিয়ালের দল। বাড়িতে যারা থাকে তারা সরাসরি ভূত না দেখলেও ভৌতিক কাণ্ড ঘটতে দেখেছে। আর সেটাকে স্বাভাবিক বলে মেনেও নিয়েছে। ‘ভূত থাকবে না কেন? আমরা তো আছি, ভূত থাকলে দোষ কোথায়!’ জারার বাবার ভূত বাবদ আগ্রহ নেই। তিনি আমুদে লোক। জারা ইনিয়ে বিনিয়ে দাদির কাছ থেকে ভূতের গল্পের আদিঅন্ত আদায় করে নিচ্ছে। ‘দোলনাটা আনছিল আমার আব্বা। আব্বার নাম জমিরুদ্দিন বাদশা। ১৩৫০ সনের কথা মনে হয়। ঠিক মনে নাই।’ ‘কী বলো! এত আগে...।’ ‘ওটা বাংলা সাল জারা।’ শুধরে দিয়ে গেলেন জারার বাবা। তিনি নি...
রোমান্টিক হরর গল্প : দম্পতি

রোমান্টিক হরর গল্প : দম্পতি

Cover Story, Stories
\   ধ্রুব নীল ‘আমার মনে হয় তোর ভাবী মানুষ না।’ ‘অ্যাঁ!’ ঝেড়েকেশে সরাসরি কথাটা না বললেও হতো। কিন্তু সজল ভ‚মিকা করতে পারে না। কথা পেটে থাকলে চিনচিনে একটা ব্যথা করে তার। ‘তা হলে ভাবী কি অমানুষ? মানে তোর ওপর নিদারুণ...।’ ‘আরে না! রেনুর মতো মানুষ হয় নাকি! ইয়ে মানে, ও অনেক ভালো। কদিন আগে আমার সামান্য জ্বর হয়েছিল, তাতেই পানিটানি ঢেলে একাকার অবস্থা। হে হে হে।’ ‘অ্যাঁ!’ বার বার অ্যাঁ অ্যাঁ করা লোকটা হলো সজল সরকারের ভার্সিটি লাইফের বন্ধু ইন্দ্রজিত। ওর কাছেই মাঝে মাঝে পেটের কথা উগড়ে আসে সজল। আজও সন্ধ্যায় দুজনের আড্ডা চলছে শ্যামলী পার্কে। ‘তা হলে?’ ‘বলছিলাম ও মানুষ না। অন্য কিছু। মানে.. ওই যে অশরীরী...।’ ধন্ধে পড়ে গেল সজল। তার স্ত্রী রেনু বাতাসে উড়ে বেড়ায় না। শরীরটা একটু রোগাপাতলা। তবে শক্তি আছে বেশ। পাড়ায় মারকুটে হিসেবে ভালো খ্যাতিও আছে। একবার তো দুই ছিনতাইকারীকে জুডোর প্যাঁচে খ...

Please disable your adblocker or whitelist this site!