৩-৫ বছর বয়সটাই বেশি চঞ্চলতার এবং এ সময়টাতে বাচ্চারাও থাকে বেপরোয়া প্রকৃতির। নির্দ্বিধায় অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে উটকো বিপদ ডেকে আনতে পারে যেকোনো সময়। এ বয়সী বাচ্চা দের তাই সবসময় চোখে চোখে রাখা চাই। হাজারো সতর্কতার মাঝে আজ রইল অল্প কয়েকটি টিপস। পরবর্তীতে আরো টিপসের জন্য চোখ রাখুন মাটিনিউজের লাইফস্টাইল বিভাগে। আপনার লেখা পাঠানো টিপস পাঠান এই ঠিকানায় news@matinews.com।
১। গোলাকার কোনো বস্তু, যা সহজে গলা দিয়ে নামতে পারে এমন যত খেলনা বা খেলনার অংশ আছে, সব ঝেঁটিযে বিদেয় করুন।
২। সেদ্ধ ডিম কখনো আস্তটা হাতে তুলে দেবেন না বাচ্চার হাতে । ভেঙে ভেঙে খাওয়াবেন। এ বয়সী বাচ্চাদের গলায় ডিম আটকে মৃত্যুর ঘটনা কিন্তু কম নয়।
৩। সিপি বা কাজি ফার্মের চিকেন বল খেতে দিলেও একই সতর্কতা বজায় রাখুন। বলটাকে ভেঙে তারপর ওর মুখে দিন। পুরোটা দিয়ে দিতে যাবেন না। গলায় আটকে গেল বাচ্চারা সেটা বোঝাতেও পারবে না। সময়মতো ব্যবস্থা না নিতে পারলে মহাবিপদ।
৪। বাসার ফ্লোরের কাছাকাছি বা হাতের নাগালে যেসব ইলেকট্রিক সকেট আছে সেগুলোর মুখ টেপ দিয়ে জুড়ে রাখুন। বাজারে অবশ্য আজকাল চাইল্ড প্রটেকশন সকেট ক্যাপও পাওয়া যায়। ব্যবহার শেষে সকেট মুড়ে রাখুন। থাকুন নিশ্চিন্তে।
৫। বাথরুম থেকে ভেজা পায়ে দৌড়ানোর একটা প্রবণতা আছে শিশুদের। কোনোভাবেই এটা করতে দেবেন না। বাথরুমের সাবান পানি পিচ্ছিল থাকে। পায়ের পাতায় সেটা লেগে থাকলে ফ্লোরে দৌড়াতে গেলে আছাড় খাবে নিশ্চিত।
৬। দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার বা স্মার্ট ফোন নিয়ে বসিয়ে রাখলে বাচ্চারা প্রস্রাব আটকে রাখে। যা থেকে আরো জটিল রোগ হতে পারে। নিজে মনে করে বাচ্চাকে বাথরুম সারিয়ে আনুন। আর একটু পর পর পানি খাওয়ান।