class="post-template-default single single-post postid-18072 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

শিশুর কৃমি হলে করনীয়

শিশুর কৃমি

 

শিশুর পেটে কৃমি সমস্যা চিরন্তন। শিশুর কৃমি রোগ হলে শিশুরা খেতে চায় না, পেট ফেপে থাকে এবং খাবার সময় বমি করতে চায়। শিশুর কৃমি হলে করনীয় কি জানেন? শিশুর কৃমির ঔষধ এবং বাচ্চাদের পেটে কৃমি হলে করনীয় কি তা জানিয়েছেন হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর সহযোগী অধ্যাপক,ডা. সজল আশফাক। তাহলে জেনে নিন শিশুর কৃমি দূর করার উপায় কি।

শিশুর কৃমির লক্ষণ

  • শিশুর পেটব্যথা হবে
  • শিশুরা খেতে চাইবে না
  • শিশুর পেট ফাঁপা থাকবে
  • বাচ্চাদের কৃমির লক্ষন হল খাবার সময় বা অন্য সময় বমি বমি ভাব করবে

শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

  • শিশুর কৃমির চিকিৎসা করার আগে পেটে কৃমি হয়েছে নিশ্চিত হওয়া দরকার। প্রয়োজনে শিশুর পায়খানা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
  • শিশুর কৃমির চিকিৎসায় মেবেন অথবা আরমক্স সিরাপ ১ চামচ করে সকাল এবং রাতে ৩ দিন খাওয়ানো যবে।
  • ২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের আলবেন (২০০এমজি) ট্যাবলেট ১টা খাওয়ালেই হবে।
  • বাচ্চাদের যে কোনো ঔষধ খাওয়াতে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াবেন।

শিশুর কৃমির সমস্যা প্রতিরোধে যা করবেন

  • সবসময় বাচ্চাদের হাত-পায়ের নখ কেটে ছোট রাখুন।
  • শিশুদের টয়লেটে স্যান্ডেল ব্যবহার করার অভ্যাস তৈরি করুন।
  • শিশুদের খাওয়ার আগে এবং টয়লেট বের হবার পরে সাবান বা হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধোবার অভ্যাস তৈরি করুন।
  • প্রতিদিন রান্না করার আগে সকল তরকারী ও শাক সবজি  ভাল করে ধুয়ে নিন। এবং রান্নার আগে আপনার হাত ও ভাল করে ধুয়ে নিন।
  • মাংস রান্না করলে ভাল করে সেদ্ধ করে নিয়ে শিশুদের খেতে দিবেন।

শিশুর কৃমি হলে কিছু খাবারদাবার ও নিয়মকানুন মেনে চলুন।

১। ডাল, ভাত, মাছ, ডিম, শাকসবজি, খিচুড়ি, রুটি, দুধ,ফল-বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে সবই, যথেষ্ট পরিমাণে। এরকম স্বাভাবিক খাবারদাবারেই কৃমিমুক্ত বাচ্চার অপুষ্টির সমস্যা কমাবে।

২। হুকওয়ার্ম জনিত অ্যানিমিয়া থাকলে অবশ্য খাবারদাবারে প্রাণীজ প্রোটিন মাছ, ডিম, বা মাংস দেওয়া দরকার একটু বেশি। অবশ্য কৃমি থেকে বাচ্চাকে মুক্ত করার পর।

৩। ওষুধ খাইয়ে কৃমির সমস্যা দূর করার সঙ্গে সঙ্গে নজর দিন বাচ্চার নূন্যতম স্বাস্থ বিধিগুলোর দিকে। বাচ্চাকে প্রত্যেকবার খাবার খাওয়াবার আগে ভালো করে হাত ধেইয়ে দিন। ওর হাতপায়ের নখ কেটে দিন সপ্তাহে অন্তত একবার।

৪। কাঁচা সবাজ বা ফল ভাল করে না ধুয়ে ভুলেও বাচ্চাকে খাওয়াবেন না। ওকে খালি পায়ে হাটতে দেবেন না রাস্তায়, মাঠেঘাটে, বিশেষ করে বর্ষাকালে।

৫। বন্ধ করতে হবে যেখানে সেখানে চুলকে ওই হাত মুখে দেবার অভ্যাস, অপরিচ্ছন্ন থাকার বা স্নান না করার অভ্যাস।

 

https://www.youtube.com/watch?v=AoO_iZhlnGs&t=4s

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!