টিনএজার টিপস : মনমাতাল সাঁঝসকাল...পারফিউমের গন্ধে! - Mati News
Sunday, December 14

টিনএজার টিপস : মনমাতাল সাঁঝসকাল…পারফিউমের গন্ধে!

পারফিউমেরতোমাদের এইটাই আজ বলব, যে কীভাবে অনেকক্ষণ তোমার দেহে রয়ে যাবে সুগন্ধি।

মনটা হয়তো একটু খারাপ। যদি পারফিউম ভালবাসো, তবে… ওয়েট! পারফিউম লাগিয়ে ফেলো। মন খারাপ থাকলে পারফিউমের মন মাতানো গন্ধ এক ঝটকাতেই তোমাকে ফিরিয়ে আনতে পারে তরতাজা মুডে।  এখন হেমন্ত। সামনেই শীত। মানে বিকেলটা তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যাওয়া। সন্ধে নামে শহরজুড়ে। ঠিক এইসময় যদি তোমাকে কোনওভাবে মন খারাপের ভূতটা চেপে ধরে, পছন্দের জুঁই কিংবা বাহারি গন্ধের নকশায় মুড়ে ফেলো তোমার শরীরকে। পারফিউম মাখতে যারা ভালবাসো, তাদের অভিযোগ একটাই। পারফিউমের বেমালুম গায়েব হয়ে যাওয়া। সত্যিই তো দামি শৌখিন কাচের শিশির ওই সুগন্ধি তো ব্যাগে এখান-সেখান নিয়ে যাওয়া ভা-রি মুশকিল হয়ে থাকে। তাহলে সমস্যাটার সমাধান?… এত্তো ভণিতা করে তোমাদের এইটাই আজ বলব, যে কীভাবে অনেকক্ষণ তোমার দেহে রয়ে যাবে সেই সুগন্ধি। প্রথমেই দেখে নাও, পারফিউমকে লং-লাস্টিং করতে গেলে কোথায় কোথায় পারফিউম মাখতে হয়—

গলা, কানের পিছন, বুক, কনুইয়ের ভিতরদিক, কবজির ভিতরদিক। কেননা, এগুলিতে পাওয়া যায় পালস পয়েন্ট, যা সুগন্ধিকে সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয়।

গলা—  মানবদেহের অন্যান্য অংশের তুলনায় গলা একটু উষ্ণ।  গলার দু’পাশে পালস পয়েন্ট থাকায় দু’পাশেই পারফিউম স্প্রে করো।

 

কানের পিছন— নিয়ম অনুযায়ী তৈলাক্ত ত্বকে পারফিউমের গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয়৷ কানের পিছনের ত্বক তৈলাক্ত হওয়ায় কানের পিছনে পারফিউম স্প্রে করে নিতে পারো৷

বুক—  পারফিউম দ্রুত উবে যাওয়ার কারণ তাতে খোলা বাতাসের সংস্পর্শ। বুকে স্প্রে করলে পোশাকের আড়ালে পারফিউমের গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে৷ বুক থেকে ইঞ্চিদশেক দূর থেকে স্প্রে করো৷

 

কনুইয়ের ভিতরদিক ও কবজির ভিতরদিক—  এই দুই অংশে ত্বকের ঠিক নিচেই শরীরের মূল শিরা রয়েছে। ফলে শরীরের এই অংশদুটির উত্তাপও শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে বেশি। তাই এই জায়গায় গন্ধ বেশিক্ষণ থাকবে।

 

চুলে সরাসরি পারফিউম স্প্রে না করে, হেয়ার ব্রাশে লাগিয়ে নাও। তারপর সেটা চুলে লাগালে সুগন্ধি ছড়াবে।

আরও কতগুলো নিয়ম মেনে চলো— পারফিউম রাখো শুকনো জায়গায়, পারফিউম মাখার আগে মেখে নাও ময়েশ্চারাইজ়ার, পোশাকের ওপর পারফিউম স্প্রে করো না, আর পারফিউম স্প্রে করে সেটাকে ঘোষে দিয়ো না। ব্যস, পারফিউম থাকবে বহুক্ষণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *