শিশুর জন্ডিস হলে যা করতে হবে
শিশুর জন্ডিস হলে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকা। ভাল না হওয়া পর্যন্ত হাঁটা-চলা না করা। এমন কি মলত্যাগের জন্য শিশুকে বাথরুমে কোলে করে নেয়া। আর প্রস্রাব বিছানাতেই কোন পাত্রে করিয়ে তা বাথরুমে ফেলে দেওয়া।
প্রচুর পরিমাণে ফুটানো ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার পাশাপাশি ডাব, আখের রস ও অন্যান্য তরল খাবার যেমন সুপ বেশি করে খাওয়া।
প্রতিদিন যাতে পায়খানা ভাল করে হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। এজন্য পাকা বেল, ইসুবগুলের ভূসি, পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক-সব্জি ও ফল খেতে হয়।
জণ্ডিস হলে খাবারে অরুচী থাকে বিধায় সকাল ও রাতের খাবারের আধা ঘণ্টা আগে ১টা করে ‘এভোমিন’ জাতীয় ওষুধ ৫-৭ দিন খেতে থাকা। এ সময় ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সিরাপ সকাল ও রাতের খাবার পর দেড় থেকে দু’চামচ করে খাওয়া যায়। এছাড়া জ্বর থাকলে ‘এমক্সিসিলিন’ জাতীয় ওষুধ পরিমাণমত তিন বেলা ৫–৭ দিন খাওয়া।
শিশুর জন্ডিস হলে যা করা যাবে না
জ্বর ও ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল’ জাতীয় ওষুধ খাওয়া। প্রকৃতপক্ষে জণ্ডিস হলে যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগে একজন মেডিসিনে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
স্বাভাবিক পুষ্টিকর খাবার বন্ধ করা। জণ্ডিসে চর্বি জাতীয় খাবার যেমন ঘি, মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি খেতে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়।