শিশুদের কিডনির সমস্যা থেকে বাঁচাতে কি খাওয়াবেন
দেশে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে, যে সব শিশুকে ভর্তি করাতে হয় হাসপাতালের শিশু বিভাগে, তাদের দুই থেকে চার শতাংশ নানা ধরনের কিডনির সমস্যার শিকার। কিডনির সমস্যায় ভোগা শিশুদের শতকরা নব্বই জনই আক্রান্ত হয় নেফ্রাইটিস রোগে।
শিশুদের শতকরা নব্বই জনই আক্রান্ত হয় নেফ্রাইটিস রোগে
কিডনির কাজকর্ম সাময়িক ভাবে বিপরযস্ত হয়ে পড়লে শিশুদের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে বা খুব কমে যেতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এরকম সমস্যা হল ‘অ্যাকিউট রেনাল ফেলিওর’। এরকম সমস্যা সাময়িক, নির্দিষ্ট চিকিৎসায় বেশির ভাগ সময় সমস্যা কেটে যায়, কিডনি আবার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতায় ফিরে আসে।
নেফ্রাইটিস বা অন্য নানা সমস্যায় কিডনির ক্ষতি একটানা চলতে থাকলে কিডনির কাজকর্ম ক্ষমতা দিন দিন কমে আসতে থাকে।কিডনি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার কর্মক্ষমতা চিরকালের মতো কমে গিয়ে বাচ্চা আক্রান্ত হতে পারে মারাত্মক সমস্যা‘ ক্রনিক রেনাল ফেলিওর’-এ।
সাময়িক এরকম সমস্যা চিকিৎসায় কিছুটা লাভ হলেও প্রান্তিক পরযায়ের এরকম কিডনির রোগের একমাত্র ফলপ্রসূ চিকিৎসা হল ক্ষতিগ্রস্ত কিডনি বদলে নতুন কিডনির প্রতিস্থাপন বা ‘রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্ট’।
বিশেষজ্ঞরা এরকম অবস্থায় শিশুকে যে খাবার দিতে পরামর্শ দেন-
১। ‘ক্রনিক রেনাল ফেলিওর’ নিয়ে ভর্তি হওয়া শিশুকে পানি নিয়ন্ত্রণের বদলে একটু বেশি পানি খেতে দেন বিশেষজ্ঞরা।
২। শিশুকে প্রোটিন দেওয়া যেতে পারে দিনে কেজি প্রতি ১.৫ গ্রামের মতো। প্রোটিনের মধ্যে ডিম, মাছ, মাংস আর দুধ দেওয়া যায় বেশি।
৩। এড়িয়ে চলুন বেশি ফসফেট রয়েছে এমন দুধ। বেশি পটাসিয়াম রয়েছে এমন খাবার থেকেও শিশুকে বিরত রাখুন।
৪।কিডনির ক্রনিক সমস্যায় আক্রান্ত যে কোনও বয়সের মানুষের পক্ষে বেশি পটাসিয়াম ও সোডিয়ামযুক্ত খাবারদাবার এড়িয়ে চলা জরুরি।
৫। খাবারদাবার নিয়োন্ত্রণের পাশাপাশি শিশুর চিকিৎসা চলবে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনযায়ী।