Monday, December 23
Shadow

ফ্রিজ খুলেই ঢকঢক করে ঠান্ডা পানি গলায় ঢালেন? জানেন কী বিপদ?

হা ক্লান্ত হয়ে বাড়ি এসেই ফ্রিজ খুলে ঠান্ডা জলের বোতলে চুমুক দেওয়া। এ আমাদের রোজের স্বভাব। আসলে সারা দিনের পরিশ্রম, ট্রেনে-বাসে ঝুলে ঘেমেনেয়ে বাড়ি ফেরার পর শরীর স্বভাবতই আরাম চায়। আর তাই গলা ভেজাতে আমরা ঠান্ডা জলের বোতল হাতে তুলে নিই।

যদিও সরাসরি ঠান্ডা জল খেতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে, শুধু ঠান্ডা রঙিন পানীয়ই নয়, ঠান্ডা জলেও রয়ছে মারণরোগের হাতছানি। কিন্তু আমরা কি রোজের ক্লান্তি সরিয়ে সেই উপদেশ মেনে চলতে পারি?

জানেন কি ঠান্ডা জলে গলা ভেজালে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে? এমনিতেই ঠান্ডা জল যে শ্লেষ্মা বা সর্দি-কাশির সমস্যাকে দ্রুত ডেকে আনে, তা আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু এই সমস্যা ছাড়াও এর আরও কিছু ভয়াবহ ক্ষতির দিক আছে, যা জানলে আর কখনওই ঠান্ডা জলের প্রতি আসক্ত হবেন না। দেখে নিন সে সব কী কী।
  • অতিরিক্ত ঠান্ডা জলে রক্তনালী সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ফলে রক্ত সঞ্চালনে বাধা আসে।
  • শরীরচর্চা বা শারীরিক কোনও পরিশ্রমের পর শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এই সময় বাইরের ঠান্ডা জল লিভারে যাওয়ামাত্র তাপমাত্রার তারতম্য ঘটে। ফলে হজমের সমস্যাও দেখা যায়।
  • ঠান্ডা জল খাওয়ার অভ্যাস শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মার আস্তরণ তৈরি করে দেয়। তা থেকে সহজেই ট্রাকিয়ায় সংক্রমণ হতে পারে।
  • অতিরিক্ত ঠান্ডা জল হঠাৎ পালস রেট কমিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত করতে পারে। স্নায়ুতন্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভেগাস স্নায়ু। যা  হার্ট , লাং ও পৌষ্টিকনালীর কাজকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে। অতিরিক্ত ঠান্ডার প্রভাবে তা উদ্দীপিত হয়ে হৃদগতিকে কমিয়ে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!