class="post-template-default single single-post postid-2051 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

ঘন ঘন অ্যাসিডিটি ? সুস্থ থাকুন এ সব ঘরোয়া উপায়ে

অ্যাসিডিটিঝোলে-ঝালে থাকার সঙ্গে আরও একটা জিনিসে বাঙালি সব সময় উপস্থিত! অম্বল। কিছু খেলেই অম্বলের জুজু তাড়া করে আমজনতাকে। পেটের গ্যাসট্রিক গ্রন্থির মাধ্যমে অত্যধিক পরিমাণে অ্যাসিড উৎপন্ন হলে শরীরে নানা ভাবে তা সমস্যার সৃষ্টি করে। সাবধানতা অবলম্বন না করলে ছোটখাটো অম্লতা থেকে গ্যাসট্রিক আলসার পর্যন্ত হতে পারে। আবার কোনও কোনও বড় অসুখের উপসর্গও কিন্তু অত্যধিক অম্লতা। কাজেই অ্যাসিডিটিকে অবহেলা করা খুব বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

বুক, পেট, গলার মধ্যে জ্বালাদায়ী অস্বস্তি, চোঁয়া ঢেঁকুর, বমি ভাব, ভরা পেট, স্বাদকোরক বিস্বাদ হয়ে থাকা ইত্যাদি অ্যাসিডিটি বা অম্লতার মূল লক্ষণ। মূলত, অসময়ে খাওয়া, মশলাযুক্ত খাবার, অনিয়ন্ত্রিত চা-কফি, ধূমপান ও মদ্যপান, পেটের নানা ব্যাধি, ব্যথা কমার ওষুধ সেবন নানা কারণেই এই অ্যাসিড হানা হতে পারে শরীরে।

 অ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে নিশ্চয় চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন, তবে কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে রাখলেও এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় সহজে।
  • ​প্রতি দিন সকালে এক গ্লাস উষ্ণ জলে গোটা একটা পাতিলেবু নিংড়ে দিন। এই পানীয় গরম গরম খান। লেবু শরীরের টক্সিন দূর করে শরীরকে অম্লমুক্ত রাখে। এ দিকে গরম জলে মেশানোর কারণে লেবুর অম্লতাও শরীরে প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।
  • অনেকেই পুদিনা পাতা খেতে ভালবাসেন। ভারী খাওয়াদাওয়া হলে কয়েকটি পুদিনা পাতা চিবিয়ে জল খেয়ে নিন।
  • এলাচ ফুটিয়ে সেই জল পান করতে পারেন। এলাচ প্রাকৃতিক ভাবেই অম্ল বিরোধী।
  • একটি পাত্রে আদা কুচি, মৌরি ও কাঁচা আমলকি মেশান। খাওয়াদাওয়ার পর অল্প পরিমাণে নিয়ে চিবিয়ে খান এই মিশ্রণ।
  • অনেকেই খওয়াদাওয়ার পর জোয়ান বা মৌরি মুখে রাখতে পছন্দ করেন। কেউ বা পান খান। জোয়ান বা মৌরি অম্লতা দূর করতে কার্যকর, কিন্তু খুব বেশি পরিমাণে খেলে কিন্তু শরীরের ক্ষতি। তাই এই দু’টি-ই খান অল্প পরিমাণে। তবে পান না খাওয়াই ভাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!