যারা কবুতর পালন করেন তারা অনেকে কবুতরের রোগ সম্পর্কে জানেন না। তাই কবুতরের কিছু রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা নিচে দেওয়া হল:
রোগের নাম: পাসটিউরেলা মালটোসিডা।
লক্ষণ: ডাইরিয়া, জ্বর বা কোনো লক্ষণ ছাড়াই কবুতর ২৪-৪৮ ঘন্টা মধ্যে মারা যায়।
চিকিৎসা: কবুতরের এ অবস্থা দেখা দিলে এন্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি টেস্ট করে সঠিক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে এবং সেই সঙ্গে ভিটামিনস ও মিনারেলস খাওয়াতে হবে।
প্রতিরোধ: কবুতরকে নিয়মিত টিকা প্রদান করতে হবে।
রোগের নাম: সালমেনেলোসিস/ প্যারাটইফোসিস।
কারণ: সালমোনেলা টাইফিমিউরিয়াম।
লক্ষণ: পাখির দুর্গন্ধযুক্ত ডায়রিয়া ও শ্লেষ্মাযুক্ত আঠালো, ফেনা দেখা দেয়। দেহ ক্রমাগত শুকিয়ে যায়। পক্ষাঘাত দেখা দেয় এবং পাখি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
চিকিৎসা: এন্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি টেস্ট করে সঠিক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে এবং ভিটামিনস ও মিনারেলস খাওয়াতে হবে।
প্রতিরোধ:
১। টিকা প্রদান করতে হবে।
২। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
রোগের নাম: ডিফথেরো স্মল পক্স (বসন্ত রোগ)।
কারণ: বোরেলিয়া কলাম্বরি ভাইরাস।
লক্ষণ: কবুতরের পালক পড়ে যায় চোখ, ঠোঁটের চারপাশে এবং পায়ে ক্ষত বা পক্স দেখা যায়।
চিকিৎসা: অ্যান্টিবায়োটিক, এমাইনো এসিড, ভিটামিন এ এবং সি, ইমিউনো স্টিমুলেটর, টপিক্যাল আইওডিন।
প্রতিরোধ: জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
রোগের নাম: পরজীবী রোগ
কারণ: ট্রাইকোমোনা, এসকারিস, আইমেরিয়া, ক্যাপিলারিয়া।
লক্ষণ: পাখি দুর্বল হয়ে শুকিয়ে যায় এবং খাদ্য গ্রহণে অনীহা দেখা দেয়। ডাইরিয়া (মলে রক্ত থাকে, ককসিডিয়া), পুষ্টিহীনতা ও শেষ পরণতি মৃত্যু ঘটে।
চিকিৎসা: ভিটামিন ও মিনারেল প্রিমিক্স, কৃমিনাশক, এমাইনো এসিড।
প্রতিরোধ: রোগ প্রতিরোধে জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।