class="post-template-default single single-post postid-16335 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

কবুতর পালন : কবুতরের কিছু রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ

কবুতর পালন

যারা কবুতর পালন করেন তারা অনেকে কবুতরের রোগ সম্পর্কে জানেন না। তাই কবুতরের কিছু রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা নিচে দেওয়া হল:

রোগের নাম: পাসটিউরেলা মালটোসিডা।

লক্ষণ: ডাইরিয়া, জ্বর বা কোনো লক্ষণ ছাড়াই কবুতর ২৪-৪৮ ঘন্টা মধ্যে মারা যায়।

চিকিৎসা: কবুতরের এ অবস্থা দেখা দিলে এন্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি টেস্ট করে সঠিক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে এবং সেই সঙ্গে ভিটামিনস ও মিনারেলস খাওয়াতে হবে।

প্রতিরোধ: কবুতরকে নিয়মিত টিকা প্রদান করতে হবে।

রোগের নাম: সালমেনেলোসিস/ প্যারাটইফোসিস।

 কারণ: সালমোনেলা টাইফিমিউরিয়াম।

লক্ষণ: পাখির দুর্গন্ধযুক্ত ডায়রিয়া ও শ্লেষ্মাযুক্ত আঠালো, ফেনা দেখা দেয়। দেহ ক্রমাগত শুকিয়ে যায়। পক্ষাঘাত দেখা দেয় এবং পাখি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।

চিকিৎসা: এন্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি টেস্ট করে সঠিক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে এবং ভিটামিনস ও মিনারেলস খাওয়াতে হবে।

প্রতিরোধ:

১। টিকা প্রদান করতে হবে।

২। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।

রোগের নাম: ডিফথেরো স্মল পক্স (বসন্ত রোগ)।

কারণ: বোরেলিয়া কলাম্বরি ভাইরাস।

লক্ষণ: কবুতরের পালক পড়ে যায় চোখ, ঠোঁটের চারপাশে এবং পায়ে ক্ষত বা পক্স দেখা যায়।

চিকিৎসা: অ্যান্টিবায়োটিক, এমাইনো এসিড, ভিটামিন এ এবং সি, ইমিউনো স্টিমুলেটর, টপিক্যাল আইওডিন।

প্রতিরোধ: জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।

রোগের নাম:  পরজীবী রোগ

কারণ:  ট্রাইকোমোনা, এসকারিস, আইমেরিয়া, ক্যাপিলারিয়া।

লক্ষণ: পাখি দুর্বল হয়ে শুকিয়ে যায় এবং খাদ্য গ্রহণে অনীহা দেখা দেয়। ডাইরিয়া (মলে রক্ত থাকে, ককসিডিয়া), পুষ্টিহীনতা ও শেষ পরণতি মৃত্যু ঘটে।

চিকিৎসা: ভিটামিন ও মিনারেল প্রিমিক্স, কৃমিনাশক, এমাইনো এসিড।

প্রতিরোধ: রোগ প্রতিরোধে জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!