class="post-template-default single single-post postid-22868 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে কী করবেন?

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কার নেই? অনেকেই ভোগেন। তবে কেন হয় এই সমস্যা এবং এর থেকে পরিত্রাণের উপায়ই বা কী জেনে নিন সেটা।

খাওয়ার আগে বা পরে অনেকেরই বুক জ্বালাপোড়া করে বা পেট ব্যথা করে। আবার অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে পেট ব্যথা করে অনেকে। অনেকের খাওয়ার পর পর বমি বমি লাগে বা পেটে শব্দ করে। এছাড়াও খাবারে ভেজাল এর কারণে ছোট-বড় সব বয়সেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দিতে পারে। এটি মূলত পরিপাকতন্ত্রের ব্যাঘাতজনিত একটি উপসর্গ। দেখে নেওয়া যাক এর কারণগুলো-

 

  • আমাদের দেশের মানুষ বেশি মসলাযুক্ত খাবার পছন্দ করেন। বেশি মসলাযুক্ত খাবার খেলে এ সমস্যা হয়।বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়।
  • নিয়ম মতো খাবার গ্রহণ না করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
  • অনেক তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার খেলে এই সমস্যা হয়।
  • ধূমপান করলে হজম শক্তি কমে যায়, ফলে দেখা দিতে পারে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা।
  • রাতের খাবার খেয়ে সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়লে।
  • অনেক সময় ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ করার ফলে হতে পারে এই সমস্যা।
  • সকালে খালি পেটে চা বা কফি অথবা অ্যাসিড জাতীয় ফল খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা।
  • ডায়াবেটিস রোগী যাদের হজম শক্তি কম, তারা ভারী খাবার গ্রহণ করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
  • আবার পরিমাণের তুলনায় কম পানি গ্রহণ করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • ঘুমের ব্যাঘাত হলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় এর ফলেও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
  • লিভার ফাংশনের কোনও রকম গোলযোগ দেখা দিলে গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।
  • এছাড়া মানসিক অশান্তি ও টেনশন থেকেও গ্যাস্ট্রিক দেখা দেয়।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এর প্রতিকার

১.নিয়মমাফিক জীবনযাপন করুন। প্রতিদিন নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময় হাঁটাচলা করুন ও ব্যায়াম করুন। এতে পেটে গ্যাস জমবে না।

২. দই অথবা টক দই বা গ্রহণ করুন। এতে আছে প্রোবায়োটিক উপাদান যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ও গ্যাস কমিয়ে রাখে।

৩.বিভিন্ন খাদ্য উপাদান যেমন শসা, আদা, লবঙ্গ ইত্যাদি খেলে পেটে গ্যাস তৈরি হয় না। পাশাপাশি এসব খাবার আপনার হজম শক্তিকেও মজবুত করবে।

৪. ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।  গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য এটা একটা বড় কারণ।

৫.নির্দিষ্ট সময় পর পর অল্প অল্প করে খাবার গ্রহণ করুন ও পানি পান করুন। খাবার সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করবেন না। দুপুর ও রাতের খাবার অন্তত এক ঘণ্টা পর পানি পান করুন।

৬. তেল, চর্বি ও মসলাযুক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন তবে গ্যাসের সমস্যা হবে না।

৭. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।

৮. নিজেকে প্রফুল্ল ও হাসিখুশি রাখুন। এতে শরীরে উপকারী হরমোনের নিঃসরণ ঘটবে। যা আপনার হজমশক্তিকেও বাড়াবে।

 

Peanuts health benefits : happy eating peanut

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!