class="post-template-default single single-post postid-10981 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

মা ইলিশ রক্ষায় অন্য রকম উদ্যোগ

প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমের জেলেদের মধ্যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মৎস্য বিভাগের ইকোফিস প্রকল্পের আওতায় প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র (সিএনআরএস) এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। জেলার রামগতি, রায়পুর ও কমলনগরে সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার পৃথকভাবে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ২৩টি ইলিশ সংরক্ষণ দলের প্রায় এক হাজার জেলে পরিবার প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

সিএনআরএস এর লক্ষ্মীপুর জেলা সমন্বয়কারী স্বপন মোল্লা জানান, মৎস্য বিভাগের ইকোফিস প্রকল্পের আওতায় প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে (সিএনআরএস) লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের চারটি, রায়পুর উপজেলার চারটি ও কমলনগর ৬টি জেলে পল্লিতে দুই হাজারেরও বেশি জেলে পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। এ কাজের অংশ হিসেবে জেলে পরিবারের নারী ও পুরুষদের নিয়ে ৬৬টি দল গঠন করে মেঘনা নদীর ইলিশ অভয়াশ্রমে মৎস্য আইন পালন, জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া জেলেদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ ও উপার্জনমুখী নানা প্রকল্প পরিচালনা করা হচ্ছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্যাহ বলেন, ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচিতে জেলেদের অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মেঘনা নদীর ইলিশ অভয়াশ্রমে মা ইলিশ রক্ষার কার্যক্রম সফল হয়েছে। প্রজনন মৌসুমে (৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত) জেলেরা মাছ ধরা থেকে বিরত থেকেছেন। এতে করে এ বছর ইলিশের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা করেন। লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে এ বছর ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন।

ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করছেন রামগতির জেলেরা। রামগতির চরবালুয়া গ্রামের জেলে নুরনবী মাঝি, সোনালি গ্রামের জেলে নুর ইসলাম মাঝি, সুজন গ্রামের জেলে গৃহিণী বিবি মরিয়ম ও বিবি রহিমা বলেন, অভাব-অনটন ও অসচেতনতার কারণে আগে এ অঞ্চলের জেলেরা অবাধে জাটকা ও মা ইলিশ ধরতো। সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে এখন জেলেরা সচেতন হয়েছে এবং নিষিদ্ধ সময়ে তাঁরা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকছে। এতে করে নদীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে এবং ওই মাছ ধরে জেলেরাও উপকৃত হচ্ছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্যাহ, রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল হক, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন, রায়পুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন, কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুল কুদ্দুস, লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের সদস্য মোশারফ হোসেন, ওয়ার্ল্ড ফিস সেন্টারের গবেষণা সহকারী আমিনুল ইসলাম, সিএনআরএস এর লক্ষ্মীপুর জেলা সমন্বয়কারী স্বপন মোল্লা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!