Saturday, December 28
Shadow

Agriculture Tips

Agricultural tips, news and updated information

ছাদে করলা চাষ করবেন যেভাবে

ছাদে করলা চাষ করবেন যেভাবে

Agriculture Tips, Cover Story
করলা আমাদের দেশের অতি পরিচিত একটি গ্রীষ্মকালীন সবজি। এখন সারা বছরই করলা চাষ হয়। আসুন জেনে নেই কীভাবে ছাদে করলা চাষ করবেন- মাটি তৈরি: করলা প্রায় সব মাটিতেই চাষ করা যায়। তবে জৈব পদার্থসমৃদ্ধ দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে চাষ করলে ফলন ভালো হয়। ছাদে করলা চাষ করার জন্য প্রথমে দুই ভাগ দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি, ১ ভাগ গোবর, ২০-৩০ গ্রাম টিএসপি সার, ২০-৩০ গ্রাম পটাশ একত্রে মিশিয়ে ড্রামে ভরে পানিতে ভিজিয়ে সপ্তাহখানেক রেখে দিতে হয়। তারপর মাটি কিছুটা ওলটপালট করে বা ঝরঝরে করে আবার চার-পাঁচ দিন এভাবেই রেখে দিতে হবে। বীজ বপন: করলার বীজ বপনের একদিন অথবা ২৪ ঘণ্টা আগে ড্রাম বা টবের মাটি পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বীজ বপন করার পর মাটি হাত দিয়ে সমতল করে চেপে দিতে হবে। সেচ: ছাদে করলা চাষ করতে হলে বীজ বপন করার পর এতে নিয়মিত পানি দিতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, টবে বা গাছের গোড়ায় যেন কোন...
কবুতর পালনের আধুনিক কলাকৌশল

কবুতর পালনের আধুনিক কলাকৌশল

Agriculture Tips
গৃহপালিত বা পোষা পাখিদের মধ্যে কবুতর অন্যতম। সুপ্রাচীনকাল থেকে সুস্বাদু মাংস, সংবাদ প্রেরণ ও শখের জন্য কবুতর পালন করা হচ্ছে। তাই আমরা আজকে আলোচনা করবো কবুতর পালনের আধুনিক কলাকৌশল নিয়ে। কবুতর পালনের গুরুত্ব: কবুতর অত্যন্ত নিরীহ ও শান্ত প্রাণী এবং সহজে পোষ মানে। আমাদের দেশের জলবায়ু ও বিস্তীর্ণ শস্যক্ষেত কবুতর পালনের উপযোগী। কবুতর পালনের গুরুত্ব ক্রমান্বয়ে তুলে ধরা হলো- এক জোড়া কবুতর ১২ মাসে ১৩ জোড়া পর্যন্ত বাচ্চা দেয় কবুতরের মাংস সুস্বাদু ও বলকারক বলে সদ্য রোগমুক্ত ও প্রসব পরবর্তী ব্যক্তির জন্য উপকারী কোন মহৎ কাজের শুরুতে ‘শান্তির প্রতিক’ কবুতর ছেড়ে দেয়া হয় প্রজনন, শরীরবৃত্তিয় ও অন্যান্য অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণা কর্মে কবুতর ব্যবহার করা হয় স্বল্পখরচ উৎকৃষ্ট মানের মাংস ও আয়ের উৎসরূপে কবুতর পালন লাভজনক উদ্যোগ; কবুতর পালন কার্যক্রম ক্রমেই জনপ্রিয়তা লাভ করছে বেকার যুবক এবং দুস্থ মহিলাদের ...
বরগুনায় ২২ কেজি ওজনের ভোল মাছ কততে বিক্রি হলো শুনলে চমকে যাবেন

বরগুনায় ২২ কেজি ওজনের ভোল মাছ কততে বিক্রি হলো শুনলে চমকে যাবেন

Agriculture Tips, Cover Story
বরগুনার পাথরঘাটায় বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে একটি ভোল মাছ ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে পাথরঘাটার মৎস্য আড়তদার ছগির হোসেনের আড়ত থেকে স্থানীয় পাইকার ইউসুফ মিয়া মাছটি কেনেন। মাছটির ওজন ছিল ২২ কেজি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য আড়তদার সমিতির সদস্য সগির হোসেন বলেন, ‘সুন্দরবন এলাকার জেলে সুকুমার বহাদ্দার আজ সকালে আমাদের আড়তে ভোল মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। এ সময় তিনি মাছটির দাম হাঁকেন সাড়ে চার লাখ টাকা। পরে ইউসুফ মিয়া ২২ কেজির ভোল মাছটি ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নেন। সে হিসাবে প্রতি কেজি মাছের দাম পড়েছে ১১ হাজার ২৫০ টাকা।’ ইউসুফ মিয়া বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে এই মাছের ব্যাপক চাহিদা আছে। এ জন্য তিনি এত দাম দিয়ে মাছটি কিনেছেন। এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘ভোল মাছ সচরাচর পাও...
পেঁপে চাষ পদ্ধতি

পেঁপে চাষ পদ্ধতি

Agriculture Tips
ফল এবং সবজি হিসাবে পেঁপে একটি অতিবলাভজনক অর্থকরী ফসল তাই আজকে আমরা আলোচনা করবো সঠিক নিয়মে পেঁপে চাষ পদ্ধতি নিয়ে। সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং কৃষি উদ্যোক্তাদের মাঝে শেয়ার করে দিন। পেঁপে একটি অতিপরিচিত সুসাধু ফল। পেঁপে গাছ লম্বা বো‍টাঁযুক্ত ছত্রাকার পাতা বেশ বড় হয় এবং সর্পিল আকারে কান্ডের উপরি অংশে সজ্জিত থাকে। পেঁপে গাছ লম্বায় প্রায় তিন থেকে সাত ফুট হয়। প্রায় কমবেশি সারা বছরেই ফুল ও ফল হয়। পেঁপের কাচাঁ ফল দেখতে সবুজ, পাকা ফল হলুদ বা পীত বর্ণের। পেঁপে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ফল । কাঁচা পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে পেপেইন নামক হজমকারী দ্রব্য থাকে। যা অজীর্ণ, কৃমি সংক্রমণ, আলসার, ত্বকে ঘা, কিডনি ও ক্যান্সার নিরাময়ে কাজ করে। এটি পথ্য হিসেবে ও ব্যবহার হয়। কাঁচা পাকা দু ভাবেই পেঁপে খাওয়া যায়, তরে কাঁচা অবস্থায় সব্জি এবং পাকলে ফল। পেঁপে চাষে করনীয়: জলবায়ু অনুসারে আমাদের গ্রীষ্মকালের ফসলগুলোর মধ্...
ট্যাংকে ঝিনুক থেকে মুক্তা চাষ করে আয় মাসে তিন লক্ষ টাকা

ট্যাংকে ঝিনুক থেকে মুক্তা চাষ করে আয় মাসে তিন লক্ষ টাকা

Agriculture Tips, আজকের সেরা
যদি মুক্ত চাও তবে সমুদ্রে যাও। সত্যিই কি সমুদ্রে মুক্ত মেলে? কদাচ মিলতেও পারে। তবে আপনার বাড়ির উঠোনেই যদি বালতি বালতি মুক্তা তৈরি হয় তাহলে কেমন হবে বলুন তো? ‘মুক্ত’ বা ‘পার্লস’ ক্ষুদ্রাকার উজ্জ্বল এই মোহনীয় বস্তুটির দেখা সাধারণত সমুদ্রের অয়েস্টারেই মেলে। তবে মানুষের সেই আদিম ভাবনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন কেরলের একজন কৃষক। নিজের বাড়িতে পুকুর তৈরি করে তার স্বচ্ছ জলে উৎপাদন করছেন বালতি বালতি মুক্ত। শুধু তাই নয়, তাঁর উৎপাদিত মুক্ত বিদেশে রফতানি করে উপার্জনও করছেন লক্ষাধিক টাকা। শুনতে অবাক লাগলেও এমন অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন কেরলের কাসারগেদ অঞ্চলের বাসিন্দা কে.জে.মাথাচান। আমরা সকলেই জানি, ঝিনুক থেকেই মুক্ত তৈরি হয়। আর এই ঝিনুক হল ‘মলাস্কা’ পর্বের অন্তর্গত এক ধরনের প্রাণী। এছাড়াও এদের দুটি খোলস থাকার কারনে ঝিনুককে বাইভাল্ভ শ্রেণীর অন্তর্গত বলেও গণ্য করা হয়। তবে মুক্ত উৎপাদনকারী ঝিনুককে ‘পার্...
সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের ক্যালেন্ডার

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের ক্যালেন্ডার

Agriculture Tips
আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছটি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়। সে জন্য বলা যায় বছরের প্রতিটি দিনই কৃষির কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এখানে চাষিভাইদের উদ্দেশ্যে সংক্ষেপে বাংলা বারো কৃষি ভুবনে করণীয় কাজগুলোর দিক নির্দেশনা দেয়া হলো মাত্র। চাষি ভাইরা নিজস্ব চিন্তাধারা, চাহিদা ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে নিজের মত প্রতিদিনের কাজগুলোকে সাজিয়ে নিবেন ও বাস্তবে রূপ দেবেন। তাহলেই লাভবান হবেন এবং কৃষি ভুবন সমৃদ্ধ হবে। বৈশাখ (মধ্যএপ্রিল–মধ্যমে): লালশাক, গিমাকলমি, ডাঁটা, পাতাপেঁয়াজ, পাটশাক, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ বপন ও গ্রীষ্মকালীন টম্যাটোর চারা রোপণ। মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দুল, ঝ...
কোয়েল পাখি পালন: আয়-ব্যয় হিসাব

কোয়েল পাখি পালন: আয়-ব্যয় হিসাব

Agriculture Tips
কোয়েলের আদি জন্মস্থান জাপানে। সর্বপ্রথম জাপানী বিজ্ঞানীরা কোয়েলকে গৃহপালিত পাখি হিসেবে পোষ মানানোর উপায় উদ্ভাবন করেছেন। পরবর্তীতে জাপান সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কোয়েলকে একটি লাভজনক পোলট্টি উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কোয়েল পালন করার জন্য অতিরিক্ত বা বাহুল্য কোন খরচ হয় না। বাড়ির যেকোন কোণ বা আঙিনা অথবা বাড়ির ছাদ ইত্যাদি জায়গাতেও কোয়েল পালন করা যায়। এই কারণে, শহরে কী গ্রামে অনেক সব স্থানেই কোয়েল পালন সহজতর। গৃহপালিত পাখির মধ্যে অতি ক্ষুদ্র এই পাখির আয়তন খুব বেশি নয়। একটি মুরগি পালনের স্থানে মোটামুটিভাবে ১০টি কোয়েল পালন করা যায়।বিষেজ্ঞদের দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া কোয়েল পালনের জন্য সর্বাধিক উপযোগি। এই কারণে, বিভিন্ন হাস মুরগির খামারেও ইদানিং কোয়েল পালন ব্যাপকভাবে সাড়া জাগিয়েছে। দেশের পুষ্টি মিটিয়ে ইদানিং কোয়েলের মাংস বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে। কো...
ছাদে মুরগি পালন

ছাদে মুরগি পালন

Agriculture Tips
ছাদে সবজি ও ফল নিয়মিত চাষ হচ্ছে পাশাপাশি মাছ ও চাষ হচ্ছে কিন্তু আজকে আমরা আলোচনা করবো ছাদে মুরগি পালন করার পদ্ধতি নিয়ে। সবাই মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেল টি পড়ুন এবং শেয়ার করে দিন ছাদ বাগান প্রেমী বন্ধুদের। গ্রাম বা শহরে ছাদে বাগানের পাশাপাশি মুগরি পালন করা যায়। ছাদে পালনের জন্য মুরগি বা জাপানি কোয়েল পাখিই সবচেয়ে উপযোগী। তবে কবুতর বা তিতির চাষও করা যেতে পারে। ছাদে মুরগি পালন করতে হলে লেয়ার (ডিম উংপাদন জন্য) পালন করা ভাল। ছাদে পালন উপযোগি মুরগির জাত : আমাদের দেশে লেয়ার মুরগির বিভিন্ন জাত পাওয়া যায়। হাইব্রিড জাতের মুরগি ১৮ – ২০ সপ্তাহ ( সাড়ে চার মাস ) বয়সে ডিম দেওয়া শুরু করে এবং ৭২ – ৮৪ সপ্তাহ ( ১৮ মাস বা দেড় বছর ) পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে। জাত ভেদে প্রতিটি মুরগি বছরে ২৮০ – ৩৩০ টি পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে। ছাদে পালনের উপযোগি কিছু হাইব্রিড জাত হলো লোহম্যান ব্রাউন, হাই-লাইন ব্রাউন, ব্যাবোলনা টে...
বাড়ির ছাদে করে ফেলুন  শখের বাগান

বাড়ির ছাদে করে ফেলুন শখের বাগান

Agriculture Tips, Cover Story
শহরে যে সারি সারি উঁচু দালানবাড়ি, সবুজের দেখা মেলে না সহজে। ছোট্ট ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে কিংবা বাড়ির ছাদে করতে পারেন শখের বাগান । গ্রামের মতো ঘন সবুজ বাগান হয়তো হবে না, তবে টুকিটাকি অনেক গাছই লাগাতে পারবেন। তাতে করে প্রাণের ক্ষুধা যেমন মিটবে, মিটবে পেটের ক্ষুধাও। বাড়ির ছাদে কিন্তু সবজি আর ফলের চাষ করা যায় সহজেই। ব্যালকনিতে যেমন জায়গার অভাব, পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের চলাচল না থাকা ইত্যাদি সমস্যা থাকে, ছাদে তা নয়। উপযুক্ত মাটি আর যত্ন পেলেই গাছ বেড়ে উঠবে তড়তড়িয়ে। এখন ভেজালের ভিড়ে খাঁটি জিনিস খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। সেক্ষেত্রে নিজের হাতে লাগানো গাছের ফল বা সবজি হলে সেই চিন্তা আর থাকবে না। প্রতিদিন ভেজালমুক্ত খাবারই পাতে তুলতে পারবেন। সাধারণ মাটিতে আর বাড়ির ছাদে গাছ লাগানো কিন্তু একই কথা নয়। ছাদে গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে নিতে হয় বাড়তি কিছু যত্ন। আপনি কী গাছ লাগাতে চাইছেন তার ওপর নির্ভর করছ...
সুইট কর্ন চাষ পদ্ধতি

সুইট কর্ন চাষ পদ্ধতি

Agriculture Tips
সুইট কর্ন আমাদের দেশেও এখন ব্যপক চাষ শুরু হয়েছে কিন্তু এর সঠিক চাষাবাদ এখনো অনেকেই জানে না তাই আজকে আমরা আলোচনা করবো সুইট কর্ন চাষ পদ্ধতি নিয়ে। সবাই মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেল টি পড়ুন এবং শেয়ার করে দিন কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে। বেবিকর্ন বা কচি ভুট্টা এক ধরনের উচ্চ ফলনশীল জাতের ভুট্টা শ্রেনীর ফসল। বাংলাদেশে বর্তমানে এই জাতের ফসল চাষাবাদ শুরু হয়েছে।এটি একাধারে একটি পুষ্টিকর ও লাভজনক ফসল। বলে রাখা ভাল যে, এই জাতের সুইট কর্ন কচি অবস্থায় সবজি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দেশে প্রতিদিন ৩-৪ টন বেবিকর্ন ব্যবহার হচ্ছে। চাইনিজ রেস্টুরেন্টে, পাঁচতারা হোটেলে, ফাষ্টফুড এমনকি অভিজাত বাসাবাড়িতে সুইট কর্ন এর ব্যবহার বেশি। বলাবাহুল্য, আমাদের উৎপাদিত ভুট্টা থেকে এই সুইট কর্ন চাষাবাদ ও বীজ সম্পূর্ণ আলাদা। বিশেষ করে থাইল্যান্ড থেকে এই বীজ সংগ্রহ করে চাষাবাদ করা হচ্ছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ব্যাপকভাবে সুইট কর্ন ...
পাহাড়ের বুকে মুখিকচু

পাহাড়ের বুকে মুখিকচু

Agriculture Tips
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে কচু চাষ হয়। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের পাহাড়গুলোয় সমতলের তুলনায় অব্যবহƒত ঢালু জমিতে বেশি কচু চাষ হয়। ফলন ভালো হওয়ায় বেশ আগ্রহী এসব স্থানের অনেক চাষি। আর কচুর বাজারদরও তুলনামূলক ভালো। তাই পাহাড়ের মাঝারি গড়নের পতিত টিলা ভূমিতে কচু চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখেন এসব অঞ্চলের চাষিরা। তাছাড়া প্রাচীনকাল থেকে কচু চাষের জন্য বিখ্যাত এ অঞ্চলগুলো। এ কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ এ কচু চাষাবাদের বিস্তৃতিও ঘটছে। পাহাড়ে চাষ করা এ সবজিটি ‘পাহাড়ি কচু’ নামে অধিক পরিচিত হলেও কৃষি বিভাগের কাছে এর নাম ‘মুখিকচু’। মুখিকচুর মান ভালো করার জন্য রোপণের আগে কৃষকরা জমিতে বেশ কয়েকবার চাষ দেন। চাষের পর মাটি সমান করে মুখিকচু রোপণের জন্য লাঙল দিয়ে সারি অনুযায়ী নালা টেনে নেন। এরপর নির্দিষ্ট দূরত্বে কচুর কন্দ ফেলে দুপাশের মাটি টেনে ঢেকে দেন। এপ্রিল থেকে মে মাস কচু রোপ...
সঠিক চাষাবাদে জলপাইয়ের অধিক ফলন

সঠিক চাষাবাদে জলপাইয়ের অধিক ফলন

Agriculture Tips
টক-জাতীয় ফল জলপাই। একে জয়তুনও বলা হয়। আদি বাসস্থান ছিল ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল। পরে এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এ ফলটি। আমাদের কাছে জলপাই মুখরোচক একটি ফল। কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থায় ফলটি খাওয়া যায়। আচার, চাটনি, জ্যাম, জেলি প্রভৃতি তৈরিতে ব্যবহার হয়। দেশের আবহাওয়া জলপাই চাষের উপযোগী। তাই এর চাষাবাদ সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন জাত জলপাইয়ের দুটি জাত রয়েছেÑএকটি আরবীয় জলপাই বা জয়তুন, যা আরব অঞ্চলে ভালো জন্মে। এ জাতটি তেল তৈরিতে বেশি ব্যবহার হয়। দ্বিতীয়টি ভারতীয় জাত, যা সাধারণত কাঁচা খাওয়া হয়। আচার ও চাটনি তৈরিতে ব্যবহার হয়। বাংলাদেশে ভারতীয় জাতটাই ভালো জন্মে। জমি নির্বাচন ও তৈরি জলপাই চাষের জন্য প্রথমে জমি নির্বাচন করতে হবে। বন্যার পানি দাঁড়ায় নাÑএমন উঁচু বা মাঝারি উঁচু জমি বাছাই করে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। এরপর ভালোভাবে চাষ দিতে হবে। জমি ছাড়াও...
সহজ পদ্ধতিতে অ্যালোভেরার চাষ

সহজ পদ্ধতিতে অ্যালোভেরার চাষ

Agriculture Tips
অ্যালোভেরা নামটি এখন কমবেশি সবার কাছে বেশ পরিচিত। বিশেষ করে তরুণীদের কাছে এটি বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছে। কাঁটা ও জেলিযুক্ত এ উদ্ভিদটি প্রাচীনকাল থেকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে এলেও ইদানীং রূপচর্চায় গুরুত্ব পেয়েছে অধিক। কিন্তু দেশে এর চাষ অহরহ দেখা যায় না। অ্যালোভেরা নামটি পরিচিত হলেও এর চাষ সম্পর্কে চাষিরা তেমন অভিজ্ঞ নয় বলেই হয়তো চাষ হয় না। তবে চাষ একেবারেই যে হয় না তা নয়। হাতে গোনা কয়েকটি জেলায় এর চাষ দেখা যায়। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ, বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে অ্যালোভেরা চাষ করে জীবন বদলেছে স্থানীয় চাষিদের। চলুন এর চাষ সম্পর্কে কিছু জেনে নেই অ্যালোভেরার চাষ বেশ সহজ, খরচও তুলনামূলক কম। পাতা থেকে এর গাছ হয়। তাছাড়া খুব বেশি যত্নআত্তির প্রয়োজন হয় না। চিরসবুজ এ উদ্ভিদ উষ্ণ আবহাওয়া অঞ্চলে ঝোপ বা গুচ্ছ আকারে জন্মে এটি। এর পাতা তিন থেকে চার ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এ পাতার ভেতরে অবস্থিত ...
কচুরিপানা, খামারজাত ও কুইক কম্পোস্ট সার প্রস্তুত

কচুরিপানা, খামারজাত ও কুইক কম্পোস্ট সার প্রস্তুত

Agriculture Tips
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের মাটিকে চাষাবাদের উপযোগী করে তুলতে প্রয়োজন সার। চাষিরা মাটির প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দিতে নানা ধরনের সার তৈরি করে জমিতে ব্যবহার করেন। এতে যেমন ফসল ভালো হয়, তেমনি লাভবান হয় কৃষক। তাই তিন ধরনের সার সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন কচুরিপানা সার: খাল-বিল, পুকুর-নদী প্রভৃতি জলাশয়ে কচুরিপানা পাওয়া যায়। একেই অনেক কৃষক সার হিসেবে ব্যবহার করেন। বলা যায় কচুরিপানার বিশেষ কদর রয়েছে। ভালো ফলনের জন্য মাটিতে তিন ধরনের পুষ্টি প্রয়োজন: নাটট্রোজেন, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এ তিন উপাদন কচুরিপানায় বিদ্যমান। তাই চাষি মাটির গুণাগুণ বজায় রাখার জন্য সার হিসেবে এটি ব্যবহার করছে। কচুরিপানা, মাটি ও ছাই দিয়ে তারা এক ধরনের কমপোস্ট তৈরি করেন। দুই মাসের মধ্যে এ কমপোস্ট উচ্চমানের সারে পরিণত হয়। কচুরিপানা সার মাটির জন্য বেশ উপকারী। এ সার মাটিতে বিদ্যমান ক্ষুদ্র জীব বাঁচিয়ে রাখে। এসব জীব সাধারণত...
পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি

পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি

Agriculture Tips
কৃষি অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে পেঁয়াজ। পুষ্টিগুণেও অনন্য এ সবজিটি। আজ থাকছে এর নানা দিক নিয়ে পেঁয়াজ চাষাবাদের নিয়ম-কানুন পেঁয়াজের ভালো ফলন পেতে ভালো বীজের চারা, ভালো পরিচর্যা, উত্তম সার ও সেচ ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। সাধারণত উর্বর মাটিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়। সেচ ও নিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত জমিতে ভালো ফলন হয়। ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পেঁয়াজের জন্য সর্বাপেক্ষা উপযোগী। উচ্চ তাপমাত্রায় জন্মানো পেঁয়াজের ঝাঁঝ বেশি হয়। অধিক এঁটেলযুক্ত মাটিতে চাষ করা যায় না। দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি চাষের জন্য উত্তম। এ ফসল চাষের জন্য বারবার চাষ দিয়ে মাটি বেশ ঝুরঝুরে করে নেওয়া আবশ্যক। তাই রোপণের আগে জমি উত্তমরূপে চাষ ও মই দিতে হবে, যাতে মাটি ঝুরঝুরে হয়। মাটি গভীরভাবে চাষের জন্য পশুচালিত লাঙল হলে ভালো। বেড তৈরি করে চারা রোপণ করতে পারলে আগাছা পরিষ্কার, সেচ দেওয়া, সার ও ওষুধ প্রয়োগ করতে সুবিধা হয়। বর্তমানে কৃষ...

Please disable your adblocker or whitelist this site!