
অরিত্রীকে ফাঁসে ফেলল যারা, তাদের বলছি…
স্কুল কর্তৃপক্ষ অরিত্রীর হাতে একটা ফাঁস তুলে দিয়েছিল। ফাঁসটা ছিঁড়ে মেয়েটি আর বের হতে পারেনি। বাসায় গিয়ে তাতে মাথা ঢুকিয়ে ঝুলে পড়েছে। ফাঁস নেওয়ার দড়িটা সবাই দেখে, যে দুঃখ-যন্ত্রণায় আটকে পড়ে অরিত্রী হাঁসফাঁস করল, সেই প্রাণঘাতী ফাঁসটাও দেখতে পারতে হবে। বাবা-মা যেমন চোখের সামনে সন্তানের লাঞ্ছনা সইতে পারেন না, সন্তানের জন্যও তেমনই কঠিন বাবা-মায়ের অপমান ভুলে যাওয়া। অরিত্রীর হাতে সেই অপমানের ফাঁসটা তুলে দেওয়া হয়েছিল। কোমলমতি শিশুদের কঠোরমতি প্রশাসনের হাতে ছেড়ে রাখা আর না। যিনি বা যাঁরা শিক্ষা দেবেন, তাঁদের তো আগে মানুষ থাকার শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। যে শিক্ষক বা প্রিন্সিপালের মধ্যে মানবিকতা নেই, যিনি শিশুর ভুল-ত্রুটিকে দারোগার চোখ দিয়ে দেখার বাতিকে আক্রান্ত, তাঁর কাছে ছেলেমেয়েদের শিখতে পাঠানো আর আখমাড়াইকলে আখ ঢোকানো সমান কথা। দ্য এডুকেটর শুড বি এডুকেটেড ফার্স্ট। কথাটা লাখো-হাজারবার বলা হলেও টনকহা...