Sunday, March 16

Op-ed

opinion of prominent intellectuals and experts of Bangladesh on several political, economical issues and trends.

কাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে মাঠে নেমেছেন, ড. কামাল ?

কাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে মাঠে নেমেছেন, ড. কামাল ?

Cover Story, Op-ed
প্রভাষ আমিন: সংলাপের জন্য আওয়ামী লীগের সভানেত্রীকে চিঠি পাঠানোর ১৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত পেয়ে গেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। আমার ধারণা এত দ্রুত জবাব পাবেন, এমনটা হয়তো ড. কামালও ভাবেননি। বৃহস্পতিবারের সংলাপে পাল্টে যেতে পারে রাজনীতির হিসাব-নিকাশ। তবে সংলাপের পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দিকেও নজর দিতে হবে। ঐক্যফ্রন্ট ১১ দফা লক্ষ্যে পৌঁছতে ৭ দফা দাবি দিয়েছে। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের অনেকগুলো বিষয় এখনও পরিষ্কার নয়। সরকার যদি ৭ দফা দাবি না মানে তাহলে তারা নির্বাচনে যাবেন কিনা, গেলে কীভাবে যাবেন, আসন ভাগাভাগি কী হবে, ঐক্যফ্রন্ট জিতলে তাদের সরকারের ধরন কী হবে, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন? এমন অনেকগুলো প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। এসব প্রশ্ন ঐক্যফ্রন্ট বা বিএনপি এড়িয়ে যায়। এতসব প্রশ্ন কার্পেটের নিচে রেখে তারা দ্রুত এগিয়ে যেতে চাইছেন। তাদের মধ্যে তাড়াহুড়োর ভাব। যেন ক্ষমতায় আসা সময়ের ব্যাপারমা...
ভেবেছিলাম, লোকটি নিশ্চয়ই মুসলিম সন্ত্রাসী : তসলিমা নাসরিনের স্ট্যাটাস থেকে

ভেবেছিলাম, লোকটি নিশ্চয়ই মুসলিম সন্ত্রাসী : তসলিমা নাসরিনের স্ট্যাটাস থেকে

Op-ed
আজ পিটসবুর্গের এক সিনেগগে ১১ জন প্রার্থনারত ইহুদিকে মেরে ফেলেছে এক লোক। ভেবেছিলাম, লোকটি নিশ্চয়ই মুসলিম সন্ত্রাসী, নিশ্চয়ই ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার শোধ নিচ্ছে। পরে দেখলাম রবার্ট বাওয়ার্স নামে এক খ্রিস্টান লোক গুলি করেছে ইহুদিদের। মুসলিমরা ইহুদিদের ঘৃণা করে, ইহুদিরা মুসলিমদের ঘৃণা করে-- এরকমই আমরা জানি। বেশির ভাগ মানুষ ভুলেই গেছে যে হিটলারের পদাংক অনুসরণ করার লোক এখনও অনেক আছে। নাৎসির বাচ্চাগুলো এখনও প্রচণ্ড ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে প্রতিরাতে ঘুমোতে যায়। ধর্ম যতদিন থাকবে, ততদিন ঘৃণা থাকবে, খুনোখুনি থাকবে। ধর্মকে সংশোধন করা যায় না, মানুষকে যায়। মানুষ শুদ্ধ হলে মানুষই পারবে অপরাধ শূন্যে নামাতে। কাউকে আর নরকের ভয় দেখাবার দরকার হবে না। http://matinews.com/2018/10/29/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%a7%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%9f%e0%a7%81-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%ae%...
ক্রাইম পেট্রোল -এর প্রভাবে হত্যাকাণ্ডের ধরন বদলে গেছে

ক্রাইম পেট্রোল -এর প্রভাবে হত্যাকাণ্ডের ধরন বদলে গেছে

Cover Story, Op-ed
ভারতীয় ‘সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রোল’-এর প্রভাবে বাংলাদেশের হত্যাকাণ্ডের ধরন বদলে গেছে। হত্যাকা- দিন দিন বিভৎস হয়ে উঠেছে, এবং তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে-সেখানে গলাকাটা, হাত-পা কাটা, বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যাচ্ছে। তবে আগে কিন্তু এমনটা ছিলো না। ক্রাইম পেট্রোলের প্রভাবেই হত্যাকাণ্ডের ধরন বদলে গেছে, এবং হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রাইম পেট্রোলের এক পর্বে দেখলাম, পুড়িয়ে মারার ঘটনা দেখানো হচ্ছে, আবার অন্য একটা পর্বে দেখলাম, গলা কেটে বডি এক যায়গায় রাখা হয়েছে, আর মাথা রাখা হয়েছে অন্য এক যায়গায়। তারপর দেখা যায়, লাশ যাতে শনাক্ত করার উপায় না থাকে, সেজন্য মুখ থেতলে দেওয়া হয়। বাংলাদেশেও কিন্তু ঠিক অনুরুপভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটছে। বাসযাত্রী এক শিক্ষার্থীকে মেরে মুখ থেতলে, নদীতে ফেলে দেওয়া হলো। একজনকে হত্যা করে মাথা কেটে ব্রিজের পাশে রেখে দিয়েছে। হাত-পা কাটা লাশ পাওয়া যাচ্ছ...
তুষার আবদুল্লাহর কলাম ‘চরিত্রহীন’ টকশো

তুষার আবদুল্লাহর কলাম ‘চরিত্রহীন’ টকশো

Op-ed
সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন টকশো চরিত্র হারিয়েছে। এই মন্তব্যে কেউ জানতে চাইতে পারেন, টকশোর কি কখনও কোনও চরিত্র ছিল, কিংবা টকশোর চরিত্র কী উপায়ে গঠিত হয়? সাধারণভাবে যারা গণমাধ্যম বা টকশোর বিশ্লেষক, তারা নিশ্চয়ই একমত হবেন যে, অনেক টকশোর পেছনেই থাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা বা প্রপাগান্ডা। অর্থাৎ ‘মতলব’। কার প্রপাগান্ডা? কখনও সেটি স্বয়ং ওই গণমাধ্যমের থাকে, কখনও রাজনৈতিক দল, সরকার বা কোনও বিশেষ সংস্থা বা শিল্পগোষ্ঠীও ওই গণমাধ্যমকে দিয়ে নিজেদের ‘মতলব’ হাসিল করতে পারে। ব্যক্তি বিশেষের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের কাজেও টকশোকে ব্যবহার করা হয়। আমরা যত আন্তর্জাতিক তারকাখচিত গণমাধ্যমের কথাই উদাহরণ হিসেবে আনি না কেন, সেই টকশোগুলোর যতই গুণমুগ্ধ হই, আড়ালে প্রণোদিত উদ্দেশ্য এবং প্রচারণাই কাজ করে। বাংলাদেশে প্রচারিত টকশোকে এর বাইরে রাখা যাবে না। এখানে টকশোর ফলন ভালো। একেবারে বাম্পার।  সংগীতনির্ভর ও শিশুতোষ চ্যান...
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের কলাম : নির্বাচনের আগে-পরে

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের কলাম : নির্বাচনের আগে-পরে

Cover Story, Op-ed
আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় ঘটনা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ—যারা এই কথাটা বিশ্বাস করেন না কিংবা কথাটাকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না, তাদের এই লেখাটার বাকি অংশ পড়ার কোনও প্রয়োজন নেই। যারা এখনও পড়ছেন, তারাও নিশ্চয়ই একটু অবাক হচ্ছেন। শুধু মার্চ মাসে না হয়ে ডিসেম্বর মাসে গলা কাঁপিয়ে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলার কথা। আমি এই অবেলায় মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে আনছি কেন? বলা যেতে পারে, এটা আমার একটা দুর্বলতা (কিংবা কে জানে, হয়তো এটা আমার একটা শক্তি!) আমি কখনোই মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টা আমার মাথা থেকে সরাতে পারি না। মুক্তিযুদ্ধের সময়টুকু একেবারে নিজের চোখে দেখেছি বলে আমার ভেতরে (এবং আমার মতো অন্যদের ভেতরে) এমন একটা মৌলিক পরিবর্তন ঘটে গেছে, যেখান থেকে আমরা কখনোই আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবো না। সেই সময়টুকু ছিল একটা বিস্ময়কর সময়। মানুষ যে কত ভালো হতে পারে, কত নিঃস্বার্থ-আত্মত্যাগী হতে পারে, সেটা আমরা দেখেছি মুক্তিযুদ্ধের ...