Monday, May 6
Shadow

Op-ed

opinion of prominent intellectuals and experts of Bangladesh on several political, economical issues and trends.

চিত্তরঞ্জন সাহার কলাম : ডিম ও ভিপি নুর

চিত্তরঞ্জন সাহার কলাম : ডিম ও ভিপি নুর

Cover Story, Op-ed
চিত্তরঞ্জন সাহার কলাম : ডিম ও ভিপি নুর ডিম, ডিম্ব, অণ্ড, আণ্ডা, এগ—যে নামেই ডাকি না কেন, ডিম ডিমই। খাদ্য হিসেবে ডিমের কোনও তুলনা নেই। ডিম গরিবের খাবার, মধ্যবিত্তের খাবার, এমনকি বড়লোকেরও খাবার। তবে মধ্যবিত্তের খাবার হিসেবে শীর্ষে। হোস্টেল-ছাত্রাবাসগুলোতেও ডিম ছাড়া একদিনও চলে না। ডিম দিয়ে কী হয়? এই প্রশ্নের চেয়ে ডিম দিয়ে কী হয় না- বলাটাই বেশি যুক্তিযুক্ত। ডিম ভাজি, ডিম চপ, ডিমের কোরমা, সিদ্ধ ডিম, ডিমের ভুনা, ডিমের অমলেট, ডিমের পাকোড়াসহ আধুনিক সময়ের এগ চ্যাট, এগ সালাদ কিংবা ডিমের মুত্তা এভিয়াল কত না রেসিপি। এ কারণে ডিম ডিমই। ডিম নিয়ে মজার তর্ক আছে- ডিম আগে, না মুরগি আগে? উত্তর দিতে হিমশিম খেয়েছেন অনেকেই। কিন্তু উত্তরটা সহজ- ডিম আগে। কারণ, আমাদের অনেকের সকালটা তো শুরু হয় ডিম দিয়েই! তবে ডিম খাওয়া নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি আছে। কখনও শোনা যায় ডিম খেলে কোনও অসুবিধা নেই। কখনও বলা হয় সপ্তাহে তিনটির ব...
মেয়েদের নিয়ে ভারতের সেনাপ্রধানের কথার জবাবে তসলিমা যা বললেন

মেয়েদের নিয়ে ভারতের সেনাপ্রধানের কথার জবাবে তসলিমা যা বললেন

Cover Story, Op-ed
প্রতিদিন ঘরে বাইরে যুদ্ধ করতে হয় মেয়েদের । যুদ্ধ না করে মেয়েরা বেঁচেই থাকতে পারে না। পরিবেশ যখন নারীবিরোধী, নিয়ন্ত্রক যখন প্রুুষতন্ত্র, তখন জন্ম থেকেই মেয়েরা যুদ্ধক্ষেত্রে। পুরুষ যতটা যুদ্ধ করে বেঁচে থাকে, তার চেয়ে দ্বিগুণ যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয় নারীদের। অথচ সবাইকে বিস্মিত করে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলে দিলেন, ‘এ দেশে যুদ্ধক্ষেত্রটা এখনো মেয়েদের জন্য নয়। যুদ্ধে নামার ক্ষেত্রে মাতৃত্বকালীন ছুটি থেকে শুরু করে নানা অসুবিধা রয়েছে মহিলাদের। শুধু তাই নয়, রণক্ষেত্রে মহিলাদের কম্যান্ডিং অফিসার হিসেবে মেনে নেওয়ার ব্যাপারে জওয়ানরাও ততটা প্রস্তুত নয়।’ জেনারেল বলতে চাইছেন, যুদ্ধক্ষেত্রটা শুধু পুরুষের জন্য, মেয়েদের জন্য নয়, মাতৃত্বকালীন ছুটি দরকার হয় মেয়েদের, সে কারণে রণক্ষেত্রে তাদের কম্যান্ডিং অফিসার না হওয়াটাই ঠিক। অসুখে বিসুখে মানুষের ছুটির দরকার হয়, এতে কোনও অসুবিধে নেই কা...

সুসপ্ত পাঠকের ফেসবুক স্ট্যাটাস : বাংলাদেশের গণতন্ত্র আমেরিকার চাইতেও শক্তিশালী

Op-ed, Stories
সুসপ্ত পাঠক '' ক্লিনটন যখন ক্ষমতায় তখন একজন সাধারণ মার্কিন তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার সময় তাঁকে মনিকা লিউনস্কির লেখা একটি বই উপহার দিয়েছিলেন, যে বইটি ক্লিনটন ও মনিকা লিউনস্কির যৌন কেলেংকারি নিয়ে লেখা। একজন রানিং প্রেসিডেন্ট, তার ওপর বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্টকে বিব্রত করে নিরাপদ ও স্বাভাবিক থাকাটা মার্কিন গণতন্ত্রেই সম্ভব…। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আমেরিকার চাইতেও শক্তিশালী। এখানে চরম মাত্রায় গণতন্ত্র বিরাজ করে। যেমন ধরুন খালেদা জিয়া মাত্র কয়েক কোটি টাকা নয়ছয় করেই এখন জেল খাটছেন। তিনি কয়েকবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিএনপির মত একটি দলের প্রধান, তবু আইন তাঁকে সমান চোখেই দেখেছে। এটিই গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতিফলন। আবার তারেক জিয়ার কথাই ধরুন, তাঁর মত একক ক্ষমতা বাংলাদেশে কেউ আগে কোনদিন ভোগ করেনি। তাঁর আঙ্গুলের নির্দেশে দেশের সকল সিদ্ধান্ত বদলে যেত। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা ক...
আহারে মা …আমাদের মা ..

আহারে মা …আমাদের মা ..

Op-ed, Stories
মায়েদের মুখে মুরগির রান কিংবা ব্রেস্ট পিস কখনোই মজার না, তাঁদের মুখে মজা লাগে মুরগির গলা, পা, পাখনা। মাছের মাঝামাঝি পিস কিংবা মাথা খাইলে নাকি তাঁদের মাতাল মাতাল লাগে, কাঁটাওয়ালা লেজ পিসটাই মায়ের জন্য পারফেক্ট। গরুর মাংসের তরকারির ঝোল আর এক টুকরা আলু দিয়েই পেট ভরে খেতে পারে আমাদের মায়েরা, কিন্তু এক টুকরো মাংস পাতে নিলেই তাঁদের খাবার বেশি হয়ে যায়। আলুর চপ, বেগুনি, পিঁয়াজু এসব ভাজতে গিয়ে যেই দু'এক পিস একটু বেশি ভাজা হয়ে যায় সেই পিসগুলো খাওয়ার জন্য মায়েরা বদ্ধ পরিকর, পারফেক্ট ভাজা পিসগুলো তাদের রুচিতে ঠিক যায় না। বাটি ভর্তি তরকারি তুলে রাখে নিজ হাতেই, কিন্তু সেখান থেকে এক চামচ ঝোল নিতে তাঁদের মন চায়না। তাঁরা, পাতিলের পোড়া অংশটুকুতে ভাত নিয়ে খেয়ে ফেলে। খাবারে এমন সব অদ্ভুত রুচি নিয়েই আমাদের মায়েরা পার করে দিচ্ছে বছরের পর বছর। আমি আগে বুঝতাম না, মায়েরা এমন করে কেন? আমি বুঝতাম না, মায়েরা দিব্য...
মুচিপাড়ায় কুকুরদের জীবনে কেয়ামত নেমে আসা সেই সকালের গল্প : লুৎফর রহমান রিটন

মুচিপাড়ায় কুকুরদের জীবনে কেয়ামত নেমে আসা সেই সকালের গল্প : লুৎফর রহমান রিটন

Cover Story, Op-ed, Stories
ওয়ারিতে আমাদের বাড়িটা ছিলো হেয়ার স্ট্রিটে। হেয়ার স্ট্রিটের ওটাই ছিলো শেষ বাড়ি। আমাদের বাড়ির সীমানা থেকেই উত্তর মৈশুন্ডি-বনগ্রামের শুরু। আমাদের বাড়িটার ডান ও বাঁ পাশে রবিদাস সম্প্রদায়ের লম্বা ঘন বসতি। এটাকে সবাই চিনতো মুচিপাড়া নামে। রবিদাস সম্প্রদায়ের পুরুষেরা অধিকাংশই জুতো সেলাই ও জুতো সারাইয়ের কাজ করতেন। মুচিপাড়ার বেশিরভাগ ঘরেরই ছিলো মাটির দেয়াল আর টিনের চাল। অল্প ক’টা বাড়ির দেয়াল ছিলো ইটের। অর্থাৎ খুবই গরিব ছিলো ওরা। আমাদের বাড়িটা যখন একতলা ছিলো তখন ছাদে দাঁড়ালে দুপাশে মুচিদের বস্তির টিনের টানা লম্বা ছাদ দেখতে পেতাম। ওদের ঘরগুলো একটার সঙ্গে একটা লাগোয়া ছিলো। আলাদা কোনো ছাদ এবং প্রাইভেসি ওদের একেবারেই ছিলো না। দিনরাত হইচই চিৎকার চ্যাঁচামেচি আর ভয়াবহ সব গালাগালের ডিপো ছিলো মুচিপাড়া। আমাদের বাড়ির একেবারে কাছেই ছিলো মুচিদের জন্যে নির্মিত কলপাড়। এখান থেকেই ওরা নিত্যদিনের...
তসলিমা নাসরিন : নারীর সঙ্গে পরাধীনতার সম্পর্ক প্রাকৃতিক নয়

তসলিমা নাসরিন : নারীর সঙ্গে পরাধীনতার সম্পর্ক প্রাকৃতিক নয়

Cover Story, Op-ed
সুদর্শন সৌদি যুবরাজ মুহম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের পরাধীন মেয়েদের জন্য এক আশীর্বাদ, এরকমই ভেবেছিলাম। নারী-বিরোধী সমাজের পরিবর্তন তিনিই করবেন। আর কারও দ্বারা তো সম্ভব হলো না ধর্মের এবং পুরুষতন্ত্রের জাঁতাকলে না পিষে মেয়েদের মানুষের মর্যাদা দেওয়া। যখন গাড়ি চালানোর অধিকার দিলেন মেয়েদের, ভেবেছিলাম একটু একটু করে নারী-বিরোধী আইনগুলো তিনি বাতিল করবেন। শ্রদ্ধায় মাথা নত করেছিলাম। সৌদি আরবের মতো একটি কট্টর মৌলবাদী দেশে জম্মে  তিনি যে মনে প্রাণে আধুনিক হলেন, সমতা আর সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার কাজে বলে কয়েও হাত দিলেন, মুগ্ধ বিস্ময়ে তাই তাকে শুধু দেখে গেছি। ফেসবুকে, টুইটারে, কলামে তার প্রশংসা করেছি। তিনিই হয়তো রাজতন্ত্র বিদেয় করে গণতন্ত্র আনবেন, হয়তো তিনিই আনছেন নতুন সূর্যোদয়! তিনিই তো বলেছিলেন ‘ইসলাম বলেনি বোরখা পরা বাধ্যতামূলক, কেউ ইচ্ছা করলে পরবে, না করলে পরবে না’। বাহ, এমন বাক্য তো আগে কখনও রাজপ্রাস...
অরিত্রীকে ফাঁসে ফেলল যারা, তাদের বলছি…

অরিত্রীকে ফাঁসে ফেলল যারা, তাদের বলছি…

Cover Story, Op-ed
স্কুল কর্তৃপক্ষ অরিত্রীর হাতে একটা ফাঁস তুলে দিয়েছিল। ফাঁসটা ছিঁড়ে মেয়েটি আর বের হতে পারেনি। বাসায় গিয়ে তাতে মাথা ঢুকিয়ে ঝুলে পড়েছে। ফাঁস নেওয়ার দড়িটা সবাই দেখে, যে দুঃখ-যন্ত্রণায় আটকে পড়ে অরিত্রী হাঁসফাঁস করল, সেই প্রাণঘাতী ফাঁসটাও দেখতে পারতে হবে। বাবা-মা যেমন চোখের সামনে সন্তানের লাঞ্ছনা সইতে পারেন না, সন্তানের জন্যও তেমনই কঠিন বাবা-মায়ের অপমান ভুলে যাওয়া। অরিত্রীর হাতে সেই অপমানের ফাঁসটা তুলে দেওয়া হয়েছিল। কোমলমতি শিশুদের কঠোরমতি প্রশাসনের হাতে ছেড়ে রাখা আর না। যিনি বা যাঁরা শিক্ষা দেবেন, তাঁদের তো আগে মানুষ থাকার শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। যে শিক্ষক বা প্রিন্সিপালের মধ্যে মানবিকতা নেই, যিনি শিশুর ভুল-ত্রুটিকে দারোগার চোখ দিয়ে দেখার বাতিকে আক্রান্ত, তাঁর কাছে ছেলেমেয়েদের শিখতে পাঠানো আর আখমাড়াইকলে আখ ঢোকানো সমান কথা। দ্য এডুকেটর শুড বি এডুকেটেড ফার্স্ট। কথাটা লাখো-হাজারবার বলা হলেও টনকহা...
কাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে মাঠে নেমেছেন, ড. কামাল ?

কাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে মাঠে নেমেছেন, ড. কামাল ?

Cover Story, Op-ed
প্রভাষ আমিন: সংলাপের জন্য আওয়ামী লীগের সভানেত্রীকে চিঠি পাঠানোর ১৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত পেয়ে গেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। আমার ধারণা এত দ্রুত জবাব পাবেন, এমনটা হয়তো ড. কামালও ভাবেননি। বৃহস্পতিবারের সংলাপে পাল্টে যেতে পারে রাজনীতির হিসাব-নিকাশ। তবে সংলাপের পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দিকেও নজর দিতে হবে। ঐক্যফ্রন্ট ১১ দফা লক্ষ্যে পৌঁছতে ৭ দফা দাবি দিয়েছে। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের অনেকগুলো বিষয় এখনও পরিষ্কার নয়। সরকার যদি ৭ দফা দাবি না মানে তাহলে তারা নির্বাচনে যাবেন কিনা, গেলে কীভাবে যাবেন, আসন ভাগাভাগি কী হবে, ঐক্যফ্রন্ট জিতলে তাদের সরকারের ধরন কী হবে, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন? এমন অনেকগুলো প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। এসব প্রশ্ন ঐক্যফ্রন্ট বা বিএনপি এড়িয়ে যায়। এতসব প্রশ্ন কার্পেটের নিচে রেখে তারা দ্রুত এগিয়ে যেতে চাইছেন। তাদের মধ্যে তাড়াহুড়োর ভাব। যেন ক্ষমতায় আসা সময়ের ব্যাপারমা...
ভেবেছিলাম, লোকটি নিশ্চয়ই মুসলিম সন্ত্রাসী : তসলিমা নাসরিনের স্ট্যাটাস থেকে

ভেবেছিলাম, লোকটি নিশ্চয়ই মুসলিম সন্ত্রাসী : তসলিমা নাসরিনের স্ট্যাটাস থেকে

Op-ed
আজ পিটসবুর্গের এক সিনেগগে ১১ জন প্রার্থনারত ইহুদিকে মেরে ফেলেছে এক লোক। ভেবেছিলাম, লোকটি নিশ্চয়ই মুসলিম সন্ত্রাসী, নিশ্চয়ই ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার শোধ নিচ্ছে। পরে দেখলাম রবার্ট বাওয়ার্স নামে এক খ্রিস্টান লোক গুলি করেছে ইহুদিদের। মুসলিমরা ইহুদিদের ঘৃণা করে, ইহুদিরা মুসলিমদের ঘৃণা করে-- এরকমই আমরা জানি। বেশির ভাগ মানুষ ভুলেই গেছে যে হিটলারের পদাংক অনুসরণ করার লোক এখনও অনেক আছে। নাৎসির বাচ্চাগুলো এখনও প্রচণ্ড ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে প্রতিরাতে ঘুমোতে যায়। ধর্ম যতদিন থাকবে, ততদিন ঘৃণা থাকবে, খুনোখুনি থাকবে। ধর্মকে সংশোধন করা যায় না, মানুষকে যায়। মানুষ শুদ্ধ হলে মানুষই পারবে অপরাধ শূন্যে নামাতে। কাউকে আর নরকের ভয় দেখাবার দরকার হবে না। http://matinews.com/2018/10/29/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%a7%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%9f%e0%a7%81-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6...
ক্রাইম পেট্রোল -এর প্রভাবে হত্যাকাণ্ডের ধরন বদলে গেছে

ক্রাইম পেট্রোল -এর প্রভাবে হত্যাকাণ্ডের ধরন বদলে গেছে

Cover Story, Op-ed
ভারতীয় ‘সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রোল’-এর প্রভাবে বাংলাদেশের হত্যাকাণ্ডের ধরন বদলে গেছে। হত্যাকা- দিন দিন বিভৎস হয়ে উঠেছে, এবং তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে-সেখানে গলাকাটা, হাত-পা কাটা, বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যাচ্ছে। তবে আগে কিন্তু এমনটা ছিলো না। ক্রাইম পেট্রোলের প্রভাবেই হত্যাকাণ্ডের ধরন বদলে গেছে, এবং হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রাইম পেট্রোলের এক পর্বে দেখলাম, পুড়িয়ে মারার ঘটনা দেখানো হচ্ছে, আবার অন্য একটা পর্বে দেখলাম, গলা কেটে বডি এক যায়গায় রাখা হয়েছে, আর মাথা রাখা হয়েছে অন্য এক যায়গায়। তারপর দেখা যায়, লাশ যাতে শনাক্ত করার উপায় না থাকে, সেজন্য মুখ থেতলে দেওয়া হয়। বাংলাদেশেও কিন্তু ঠিক অনুরুপভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটছে। বাসযাত্রী এক শিক্ষার্থীকে মেরে মুখ থেতলে, নদীতে ফেলে দেওয়া হলো। একজনকে হত্যা করে মাথা কেটে ব্রিজের পাশে রেখে দিয়েছে। হাত-পা কাটা লাশ পাওয়া যাচ্ছ...
তুষার আবদুল্লাহর কলাম ‘চরিত্রহীন’ টকশো

তুষার আবদুল্লাহর কলাম ‘চরিত্রহীন’ টকশো

Op-ed
সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন টকশো চরিত্র হারিয়েছে। এই মন্তব্যে কেউ জানতে চাইতে পারেন, টকশোর কি কখনও কোনও চরিত্র ছিল, কিংবা টকশোর চরিত্র কী উপায়ে গঠিত হয়? সাধারণভাবে যারা গণমাধ্যম বা টকশোর বিশ্লেষক, তারা নিশ্চয়ই একমত হবেন যে, অনেক টকশোর পেছনেই থাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা বা প্রপাগান্ডা। অর্থাৎ ‘মতলব’। কার প্রপাগান্ডা? কখনও সেটি স্বয়ং ওই গণমাধ্যমের থাকে, কখনও রাজনৈতিক দল, সরকার বা কোনও বিশেষ সংস্থা বা শিল্পগোষ্ঠীও ওই গণমাধ্যমকে দিয়ে নিজেদের ‘মতলব’ হাসিল করতে পারে। ব্যক্তি বিশেষের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের কাজেও টকশোকে ব্যবহার করা হয়। আমরা যত আন্তর্জাতিক তারকাখচিত গণমাধ্যমের কথাই উদাহরণ হিসেবে আনি না কেন, সেই টকশোগুলোর যতই গুণমুগ্ধ হই, আড়ালে প্রণোদিত উদ্দেশ্য এবং প্রচারণাই কাজ করে। বাংলাদেশে প্রচারিত টকশোকে এর বাইরে রাখা যাবে না। এখানে টকশোর ফলন ভালো। একেবারে বাম্পার।  সংগীতনির্ভর ও শিশুতোষ চ্যান...
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের কলাম : নির্বাচনের আগে-পরে

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের কলাম : নির্বাচনের আগে-পরে

Cover Story, Op-ed
আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় ঘটনা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ—যারা এই কথাটা বিশ্বাস করেন না কিংবা কথাটাকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না, তাদের এই লেখাটার বাকি অংশ পড়ার কোনও প্রয়োজন নেই। যারা এখনও পড়ছেন, তারাও নিশ্চয়ই একটু অবাক হচ্ছেন। শুধু মার্চ মাসে না হয়ে ডিসেম্বর মাসে গলা কাঁপিয়ে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলার কথা। আমি এই অবেলায় মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে আনছি কেন? বলা যেতে পারে, এটা আমার একটা দুর্বলতা (কিংবা কে জানে, হয়তো এটা আমার একটা শক্তি!) আমি কখনোই মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টা আমার মাথা থেকে সরাতে পারি না। মুক্তিযুদ্ধের সময়টুকু একেবারে নিজের চোখে দেখেছি বলে আমার ভেতরে (এবং আমার মতো অন্যদের ভেতরে) এমন একটা মৌলিক পরিবর্তন ঘটে গেছে, যেখান থেকে আমরা কখনোই আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবো না। সেই সময়টুকু ছিল একটা বিস্ময়কর সময়। মানুষ যে কত ভালো হতে পারে, কত নিঃস্বার্থ-আত্মত্যাগী হতে পারে, সেটা আমরা দেখেছি মুক্তিযুদ্ধের ...

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!