Saturday, December 21
Shadow

Stories

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মনোদৈহিক গল্প : গন্ধবয়ান

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মনোদৈহিক গল্প : গন্ধবয়ান

Cover Story, Stories
‘আস্তা পাগল না হইলে কেউ এমুন করেনি! হালায় নেংটা হইয়া মাটিতে গড়ান দিতাসে। গ্যাদগ্যাদা প্যাঁকের মইদ্দে সে কি হাসন। আমি তো ডরে ডরে চাইয়া দেখি, ভুতে ধরলো নিহি! না তো! কাছে গিয়া দেখি আমারে দেইখা পুরাই শরমিন্দা। কইলাম, কিরে দলু তোর লুঙ্গি কোনহানে তুই কোনহানে। দলু কতা কয় না। কয় না তো কয়ই না। শ্যাষে আমি চইলা যাওনের ভান নিলাম। করই গাছের চিপাত্থন দেহি দলু প্যাঁকের মইদ্দে লুঙ্গি বিচরাইতেসে। মনে হইল যাইন, হবায় ক্ষেতের মইদ্যে কোনো মাইয়া লোকের লগে আকাম কইরা অহন পলাইবার লাগসে।’ ফুলতলা গ্রামের মানুষজন মাঝে সাঝে একটু বিভ্রান্তিতে পড়ে গেলেও এমনিতে তাদের সাধারণ দিনলিপিতে বিস্ময়ের স্থান বেশ সংকীর্ণ। জীবনের প্রতি চাওয়া ও চাওয়া পূরণের সঙ্গে তারা তাদের বিস্ময়বোধটাকে ব্যস্তানুপাতে মানিয়ে নিয়েছিল কয়েক পুরুষ আগে থেকেই। এর মধ্যে নতুন করে আবার অনিশ্চিত সময়কালের জন্য একটা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিল দলু। দবিরউদ্দিন বা মফিজ ...
দুটি কৌতুক

দুটি কৌতুক

Stories
মাঠে একদিন তিন বালক কলাবাগান মাঠে বসে গুজগুজ করছে। দুজন স্কুলড্রেস পরা, বইয়ের বস্তা নিয়ে। অন্যজন হাফপ্যান্ট আর গেঞ্জি। জিজ্ঞেস করলাম, এখানে কী? একজন বলল, স্কুল থেকে পালাইছি। মিথ্যা কথা বলতে পারি না। বললাম, অন্যজন। সে বলল, ও-ও পলাইছে। যেটা সত্য সেটা বললে তো সমস্যা নেই। হাফপ্যান্টেরে জিগাইলাম, তোমার কী অবস্থা। সে দাঁত বের করে বলল, আমি অগোমতো না। আমি স্কুলেই যাই নাই।     ই-মেইল আইডি একটা ব্যাংকের কল সেন্টারে কল করে কিছুক্ষণ আজাইরা প্যাঁচাল শোনার পর কয়েক মিনিট ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে থাকলাম। অবশেষে আমার কল একজন প্রতিনিধির কাছে ট্রান্সফার করা হলো। সমস্যাটা ছিল ক্রেডিট কার্ডের স্টেটমেন্ট ই-মেইলে আসে না। বেশ কিছু ইনফরমেশন শেয়ার করার পর যেটা বুঝতে পারলাম, আমার ই-মেইলের একটা অক্ষর তাদের ডাটা বেইসে ভুল অ্যান্ট্রি দেওয়া আছে। কিন্তু আমার স্পষ্ট মনে আছে, আমি সঠিকট...
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মনোদৈহিক গল্প : দর্শক

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মনোদৈহিক গল্প : দর্শক

Cover Story, Stories
ঘণ্টাখানেক হলো বিছানায় বসে আছে বীনা। অস্বস্তি লাগলেও কাউকে ডাকতে পারছে না। লোকটারও দেখা নেই। বসতে বলে চলে গেছে। টেবিলে একটা মদের বোতল রাখা। তাতে অবশ্য মদ না, পানি। পাশে কোনো গ্লাস নেই। যাওয়ার সময় লোকটা বলে গেছে, চাইলে খেতে পারো। বীনার প্রচণ্ড তৃষ্ণা পেয়েছে। কিন্তু মদের বোতল থেকে পানি গিলতে ভয় পাচ্ছে। যদি কিছু মেশানো থাকে। দেখতে যত ভদ্র, তত রিস্ক বেশি। তা ছাড়া বীনা কিছু মানুষের কথা জানে। পতিতাদের ধরে নিয়ে খুন করে। লোকটার কথাবার্তা কেমন যেন। সুবিধার মনে হয়নি। অসুবিধার মনে হওয়ারও বিশেষ কারণ নেই। সাধাসিধা দেখতে। চশমা-পাঞ্জাবি পরা। ভদ্রলোক বলে চালিয়ে দেওয়া যায়। বিশাল বড়লোক। বাড়িটাও বিশাল। বীনার একবার মনে হলো লোকটা তাকে বসতে বলে হয়তো তার কথা ভুলে গেছে। অন্যদিনের মতো মুখে কড়া মেকআপ নেই বীনার। ক্লায়েন্টের ইচ্ছা, তাই মেকআপ ছাড়াই এসেছে। রুমে একটা আয়না আছে। বীনা দেখল নিজেকে। আসল চেহারা দেখতে কেমন যে...
সমাজ, আমি পুরুষ বলছি

সমাজ, আমি পুরুষ বলছি

Health and Lifestyle, Stories
নিজের জীবন থেকেই আসি। মা-বাবা দুজনের সঙ্গেই আমার খুবই কাছের সম্পর্ক। ব্যক্তিগত জীবনেও, পেশাগত জীবনেও। কাছের সম্পর্ক বলেই হয়তো মা-বাবার সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি-মতবিরোধ, এসব বিষয়ে আমি বেশ অভ্যস্ত। তারপরও আমি দেখেছি যে বিশেষ করে পেশাগতভাবে কোথায় যেন আমার নিজের সম্পর্কেই একধরনের বৈষম্য আছে। বাবা একটা কথা বললে আমি যত জলদি এবং যত সহজে মেনে নিই, মা বললে কিন্তু অত সহজে আমি সেটা মেনে নিই না। একটা কারণ হতে পারে যে বহু বছর ধরে বাবাই আমাদের প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাই আমি বাবার কথা শোনার ব্যাপারে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এখন মা যদিও আমাদের প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে আছেন, ওনার নেতৃত্বের ধরনে আমি হয়তো এখনো অভ্যস্ত হতে পারিনি। তাই হয়তো আমার তাঁর কথাগুলো মেনে নিতে অথবা তাঁর আদেশ গ্রহণ করতে বেগ পেতে হয়। কিন্তু এটা কোনো ধরনেরই অজুহাত হতে পারে না। সামাজিকভাবে পুরুষ আধিপত্যের চাপ সত্ত্বেও নারীদের সমান জায়গা দেওয়ার ব্যাপার...
থ্রিলার গল্প : দেবদূত বক্সীর অপহরণ

থ্রিলার গল্প : দেবদূত বক্সীর অপহরণ

Stories
‘ব্লু হোয়েল’ বা ‘মোমো চ্যালেঞ্জ’-এর মতো মারাত্মক সাইবার গেম্স নয়, নিতান্তই একটা নিরীহ অ্যানড্রয়েড মোবাইল অ্যাপ যে শেষ পর্যন্ত আমার এরকম অবস্থা করে দেবে, স্বপ্নেও ভাবিনি। এই অ্যাপটা খুব একটা জনপ্রিয় না হলেও অনেকেই মজার ছলে ব্যবহার করে। অ্যাপটায় নিজের একটা ছবি আপলোড করতে হয়। তারপর অ্যাপ সেই ছবিটার উপর কারিকুরি প্রসেস করে বৃদ্ধ বয়সে সে কেমন দেখতে হব, দেখিয়ে দেয়। রাতে শুতে যাওয়ার আগে আমিও মজা করে আমার একটা ছবি আপলোড করেছিলাম। যথারীতি বৃদ্ধ বয়সে আমি কেমন দেখতে হব, অ্যাপ দেখিয়ে দিল। আধমাথা টাক, বাকি চুলগুলো সাদা হয়ে পাতলা। কপালে বলিরেখা। মুখের চামড়া কুঁচকে গিয়েছে। গালটা একটু তুবড়ে বসা। আমার রিমলেস চশমার জায়গায়, চোখে একটা ভারী মোটা কালো ফ্রেমের হাই পাওয়ারের চশমা। নিজের মনেই খুব হেসেছিলাম ছবিটা দেখে। অবশ্য ছবিটা যে আমারই খুঁটিয়ে দেখলে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল না। অ্যাপে একটা অপশন ছিল, ছবিটাকে ফে...
গল্প : যে ঝড় থামে না

গল্প : যে ঝড় থামে না

Stories
‘কেমন আঁকে বললি?’ ‘ফাটাফাটি!’ ‘ছবির জন্য এটা কোনো বিশেষণ হতে পারে না।’ ‘তা হলে দুর্দান্ত!’ ‘এটাও হলো না। ছবির জন্য অন্য বিশেষণ দরকার, বা দরকারই নেই।’ বিথির মেজাজ গরম। বান্ধবীকে বোঝাতে পারছে না যে তার ডিপার্টমেন্টের তৃতীয় বর্ষের ছেলেটা, যে কিনা কারো সঙ্গেই তেমন কথা বলে না, সে কেমন ছবি আঁকে। রেনু বিবিএ-তে। আঁকাআঁকিতে ঝোঁক আছে। ঝোঁকটা শেষপর্যন্ত আর জোঁক হয়ে চেপে বসেনি। চারুকলায় বন্ধু-বান্ধব আছে অনেকে। ‘তুই তার এত বড় ভক্ত কবে থেকে? ওর সঙ্গেও প্রেম করার খায়েশ?’ ‘অবশ্যই! সে বললে একবাক্যে রাজি। নাইমকে বলে দিব, ও ভাই! তোমায় টা টা। আমি মিন্টুর সঙ্গে চললাম।’ ‘পোর্ট্রটে আঁকে? ‘হুম, সবই করে। পোর্ট্রেট বললে কম হয়ে যাবে। ও একটা জিনিয়াস।’ ‘তার মানে ও বললে একবাক্যে কাপড় খুলে দাঁড়িয়ে যাবি?’ ‘অবশ্যই যাব! ও আমার একটা ন্যুড করে দিলে সেটা আমি নিজের হাতে নাইমকে গিফট করবো দেখিস!’ নাইম বিথির প্রেমি...
হামহামের শীতল স্পর্শে

হামহামের শীতল স্পর্শে

Cover Story, Stories
শ্রীমঙ্গলে পৌঁছার পর অল্প সময়ের ভেতর সিলেট থেকে অন্যরাও হাজির হলো। সবাই একসঙ্গে ভালো করে নাশতা সেরে বেরিয়ে পড়ি। আপাতত গন্তব্য বিষামণি। সেখানকার এক কটেজে আমাদের জন্য অপেক্ষায় ছিল ঢাকা, চট্টগ্রাম আর খুলনা থেকে আসা ৯ জনের একটি দল। সেখানে ছোট্ট করে পরিচয় সেরে চড়ে বসি আমাদের জন্য অপেক্ষায় থাকা ঢাউস সাইজের জিপে। সামনের আসনে আমার সঙ্গে রেজা ভাই। চা বাগানের ভেতর হয়ে আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে তারপর লাউয়াছড়া অরণ্য। জিপের চালক রূপকদা জানতে চাইলেন, নূরজাহান চা বাগান নাকি ভানুগাছ হয়ে যেতে চাই। চা বাগান হয়ে তুলনামূলক কম সময়ে হামহাম যাওয়া যাবে। পদ্মছড়া, মাধবপুর আর পাত্রখোলা চা বাগান পেছনে ফেলে জিপ এসে থামে কুরমা বাজারে। গ্রাম্য বাজারটিতে কয়েক মিনিটের বিরতির ফাঁকে কিছু শুকনো খাবার আর পানি ট্রাভেল ব্যাগে পুরে আবার রওনা হই। এগুলোই পরের ছয়-সাত ঘণ্টার একমাত্র সম্বল। কুরমা বাজার ছাড়ার পর চম্পারাই চা বাগানের কাছে এসে...
সত্যি হরর কাহিনী : মতি কাকুর ছায়াটা কি কোনো আত্মা ছিলো?

সত্যি হরর কাহিনী : মতি কাকুর ছায়াটা কি কোনো আত্মা ছিলো?

Stories
আমি ছোটবেলা থেকেই গ্রামে বড় হয়েছি। বিভিন্ন সময় গ্রামের মানুষকে ভূত, প্রেত, জিনে বা আত্মায় ধরার ঘটনা শুনেছি অনেক। তবে আমার সঙ্গেও যে ভূত-প্রেতের সাক্ষাৎ হয়নি, তা কিন্তু নয়। তাদের সঙ্গে বহুবারই আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। যাদের সঙ্গে কোনো দিন ভূত-প্রেতের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি তারা হয়তো ভাবছেন আপনার বন্ধু-বান্ধবের মতোই তারা সাক্ষাৎ করে- তাই তো? কিন্তু না, ভূত-প্রেত বেশিরভাগ মানুষের সঙ্গেই ভয়াবহ ঘটনা নিয়ে হাজির হয়। আবার অনেকের সঙ্গে ভূত-প্রেত বা আত্মারা বহুসময় থাকলেও মানুষের কোনো প্রকার ক্ষতি তারা করে না- এটা অবশ্য আমারই অভিমত, অন্যরা সঙ্গে একমত না হতেই পারেন। আজ থেকে প্রায় সাত-আট বছর আগের কথা। ওইদিন সকাল শিফটে অফিস শেষ করে দুইটার দিকে অফিস থেকে বের হলাম গ্রামের বাড়ি বরগুনায় যাওয়ার জন্য। তবে বরগুনার কোন গ্রামে আমার বাড়ি সেটা একটা বিশেষ কারণে আমি বলতে পারবো না। প্রায় চার মাস পরে বাড়ি যাচ্ছি মায়ের কা...
মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প -ফেরা: তন্ময় আলমগীর

মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প -ফেরা: তন্ময় আলমগীর

Cover Story, Stories
মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প -ফেরা: তন্ময় আলমগীর চারদিকে হই-চই পড়ে গেছে- বিজয় অতি সন্নিকটে চারদিকে হই-চই পড়ে গেছে- বিজয় অতি সন্নিকটে। জসিমরা বিভিন্ন এলাকা থেকে এমন গুঞ্জনই শুনছে কিছুদিন যাবত। রেডিওতেও  একই খবর- পাক-বাহিনী পিছু হাটতে শুরু করেছে। শহর-বন্দর ছাড়া বাকি সব ক্যাম্প সরিয়ে নিয়েছে পাক-বাহিনী। ক্রমাগত ফায়ার, বোমার শব্দ না শোনা যাওয়ায় স্বস্থি ফিরেছে সাধারন মানুষের মনে। জসিম যুদ্ধ করছে দু’নম্বর সেক্টর থেকে। অগণিত সফল অভিযানের নায়ক জসিম। কমান্ডার বলেছে- এ সপ্তাহে আর কোন অভিযান চালানোর আগেই দেশ স্বাধীন হয়ে যেতে পারে। কথাটা শুনে মনের অস্থিরতা খানিকটা প্রশমিত হল জসিমের। বন্ধু সোহেল তো আনন্দে লাফালাফি করতে লাগল। কতদিন পর বাড়ি ফিরবে স্বাধীন দেশের স্বাধীন পতাকা হাতে নিয়ে, এরচে মধুর দৃশ্য পৃথিবীতে আছে কী? সত্যিই দেশ স্বাধীন হয়ে গেল। দলে দলে বিজয়োল্লাস করে বাড়ি ফিরছে মুক্তিযোদ্ধারা। এ তো এমনি ...
ষোলই ডিসেম্বর : জনি হোসেন কাব্য

ষোলই ডিসেম্বর : জনি হোসেন কাব্য

Cover Story, Stories
ষোলই ডিসেম্বর : জনি হোসেন কাব্য ষোলই ডিসেম্বর বিজয় দিবস একাত্তরে গোলাগুলি হানাহানির ঝড়, নির্বিচারে মরলো মানুষ মরলো নারী-নর। ছাড়তে হলো প্রাণের ভিটা পুড়লো বাড়ি-ঘর, ভেসে এলো অগ্নিমাখা শেখ মুজিবের স্বর।   ন'মাস ধরে তিরিশ লাখ প্রাণ হারানোর পর, আমরা পেলাম বিজয় দিবস ষোলোই ডিসেম্বর।

বিজয়ের উল্লাস : লেখক সাইয়েদা আক্তার (কবিরানী)

Cover Story, Stories
বিজয়ের উল্লাস :  লেখক  সাইয়েদা আক্তার (কবিরানী) বিজয়ের উল্লাস :  সাইয়েদা আক্তার (কবিরানী) ******************************************* বাঙালি জাতির বিজয় সীমাবদ্ধ করোনা পতাকায় এ বিজয় স্বতস্ফূর্তভাবেই যেন গণতন্ত্রের কথা কয় বাঙালির বিজয় রক্তের বিনিময়ে দুর্লভ এ অর্জন এ বিজয় অন্যায়কে রুখতে তুলে ব্যাঘ্ররূপী গর্জন বিজয় হোক গণতন্ত্রের সুষ্ঠু প্রতিষ্ঠার দীপ্ত আলো বিজয় মুছে দেবে জাতিগত বিভেদ সকল কালো বিজয় এসেছে মা বোনের সম্ভ্রম হারিয়ে একাত্তরে বিজয় এসেছে বাংলার সমস্ত সবুজ প্রকৃতি পুড়ে বিজয় এসেছে রক্তের নদীতে উত্তাল স্রোত বইয়ে বিজয় এসেছে বুদ্ধিজীবী,শ্রমিকের রক্তে ভিজিয়ে বিজয় এসেছে শানিত তপ্ত কণ্ঠে মুজিবের বাণীতে বিজয় এসেছে সাত-ই মার্চের ভাষণের ঝুলিতে আগামীর বিজয় হোক আমৃত্যু বাঙ্গালী জাতির বিজয়-এর পতাকা হাতে নবদ্বার খোলো হে বীর।...
রম্যরচনা : অ্যান্ড্রোমিডার মশা

রম্যরচনা : অ্যান্ড্রোমিডার মশা

Stories
শক্তিশালী স্পিকারে অস্বাভাবিক গুঞ্জনটা কানে আসতেই আনন্দ এবং ভয় একসঙ্গে ছেঁকে ধরলো জাতীয় গ্যালাক্সি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী উহুকে। মন্ত্রমুগ্ধের মতো কিছুক্ষণ গুঞ্জনটা শুনলেন। খানিক পরেই হন্তদন্ত হয়ে ছুটে গেলেন পাশের যোগাযোগ মডিউল রাখা রুমটায়। চেয়ারে বসে ঝিমুচ্ছিল চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আঁই-রোবট। দেখেই মেজাজ খিঁচড়ে গেল বিজ্ঞানী উহুর। 'সরকারি রোবটগুলো কোনও কাজের না' বলে কোনও রকম মেজাজ কন্ট্রোল করলেন। নিজেই যোগাযোগ মডিউল অন করে কল করলেন ঢাকা উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিমের চার সিটি করপোরেশনের প্রশাসককে। 'সম্মানিত প্রশাসকবৃন্দ। আমাদের ধারণা সত্যি প্রমাণ হয়েছে। ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের এই প্রথমবার সাক্ষাৎ ঘটতে যাচ্ছে।' 'যা কইবা খুইলা কও। মাইঝরাইতে আমার ভিনগ্রহের প্রাণীরে মেহমানদারির খায়েশ নাই। তাছাড়া মিডিয়ারে খবর না দিয়া আমগোরে ডাকলা ক্যান? এইখানে সিটি করপোরেশনের কুনু হাত নাইক্কা।' এ...

‘এমন দিনে জুয়া খেলছে ক্যাশিয়ার, জোকস নাকি!’

Stories
কৌতুক পড়ে নিজে হাসতে না চাইলেও আপনার ফেসুবক প্রতিবেশীকে হাসাতে এটি শেয়ার করুন। হাসলে শরীর ভাল থাকে। কৌতুক ১ একটি দোকানের সাইনবোর্ডে লেখা, ‘শুধু শুধু অন্যের দোকানে গিয়ে ঠকবেন কেন, এখানে আসুন।’   জোকস ২ সেক্রেটারিকে আর কাজে রাখতে চান না চালাক বস। তাই তিনি বললেন, আপনি এত ভাল কাজ করেন যে আমি ভাবতেও পারি না। আপনাকে ছাড়া কী করে অফিস চলবে! আগামী মঙ্গলবার থেকে চেষ্টা করেই দেখি, আপনাকে ছাড়া অফিস চলে কী না। হয়ে যাক পরীক্ষা।   ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত গৃহিনী : কী ব্যাপার তোমাকে না বললাম দুধ দিয়ে যাবে সকাল সাতটার মধ্যে। গোয়ালা: কী করুম আফা, কলে পানি সকাল আটটার আগে আসেই না।   চার নম্বর জোকস বস: কী ব্যাপার। আজ হিসাব মেলানোর শেষ দিন। অথচ ক্যাশিয়ার নেই। পিয়ন: স্যার উনি তো জুয়া খেলতে গিয়েছেন। ফিরতে নাকি দেরিও হতে পারে। বস: একি! আজ এত গুরুত্বপূর্ণ দিনে জুয়া খেলতে গেছ...
অতিপ্রাকৃতিক থ্রিলার গল্প : দ্বিতীয়

অতিপ্রাকৃতিক থ্রিলার গল্প : দ্বিতীয়

Stories
  মনিরুল ইসলামের সঙ্গে ডা. তৈয়ব আখন্দের প্রথম সাক্ষাৎ ‘আমি একজনকে খুন করেছি। কিন্তু...(বিরতি) আবার.. না মানে.. আমি আসলে খুন করি নাই। খুন করেছে আরেকজন।’ অস্পষ্ট এই কথাটা বলার আগে ৬৪ দীনবন্ধু রোডের একতলা বাড়ির একটি কক্ষে মনোবিজ্ঞানী ডা. তৈয়ব আখন্দ ও আটত্রিশ/চল্লিশ বছর বয়সী মনিরুলের মধ্যে যা আলাপ হয়েছিল- ‘ডাক্তার সাহেব, আমি আগে আমার নিজের সম্পর্কে বলি। আসলে নিজের সম্পর্কে বলার জন্যই আপনার কাছে আসা। আমি এমএ পাস করেছি গতবছর। এখনও চাকরি বাকরি হয়নি। তবে হবে। আমার মাথার মধ্যে সারাক্ষণ আরেকজন কথা বলে।’ এটুকু বলার পর যুবকের মনে হলো এভাবে নিজের সম্পর্কে বলা হচ্ছে না। আবার নতুন করে শুরু করা যায়। খেই ধরিয়ে দিলেন ডা. তৈয়ব আখন্দ। ‘আপনার নাম? পরিবারে কে কে আছেন? সমস্যার কথা না হয় একটু পরে শুনি।’ ‘আমার নাম মনিরুল ইসলাম মনির। বয়স ধরেন চল্লিশ। পরিবারে তেমন কেউ নাই। এক বড় ভাই আর ...

Please disable your adblocker or whitelist this site!