একটি প্রেমের গল্প – অভিজিৎ দাস
তিনদিন হল শোভন বাড়ি থেকে বেরয়নি। নতুন যে কাজটা পেয়েছে, সেখান থেকে ছুটি নিয়েছে। বাড়ির লোক ভাবছে, হয়তো শরীরটা খারাপ। খোঁজখবর নেবে ভেবে অনিমেষ একদিন শোভনের বাড়িতে হাজির হল। সে শোভনের একেবারে বাচ্চাবেলার বন্ধু। একই সঙ্গে ওঠাবসা। ঘরে ঢুকে অনিমেষ শোভনকে জিজ্ঞেস করে, ‘‘কেমন আছিস? শুনলাম ঘর থেকে বেরনো বন্ধ করে দিয়েছিস?’’
শোভন উত্তর দেয়, ‘‘কী করব বল, অক্ষম পুরুষ। ভিতরে-ভিতরে জ্বলে-পুড়ে মরছি। এদিকে বন্ধুবান্ধব যার সঙ্গেই দেখা হয় সেই বলছে যে কুহেলির ব্যাপারটা আমি যেন সহানুভূতির সঙ্গে বিচার করি। ওর নাকি আর কিছু করার ছিল না। অর্থাৎ, ‘তুমি যে চাকরি পেয়েছ তাতে বউকে সমস্ত সুখ-সুবিধে দিতে পারবে না। কুহেলি তোমায় বিয়ে করবে কেন?’ কথাটা অস্বীকারও তো করতে পারি না।’’
অনিমেষ বলল, ‘‘তোর মাইনের টাকায় সংসার চালানো একেবারে অসম্ভব নয়, তবে কষ্ট আছে। তা, কুহেলির শেষ কথাটা কী?’’
শোভন বলল, ‘‘কুহেলি বলেছে এই চাকরিতে...












