অ্যালোভেরা নিয়মিত ব্যবহারে সানবার্ন থাকে না। ত্বক সজীব, সতেজ ও ফরসা হয়। ঘরে বসে কী করে অ্যালোভেরা সেরাম তৈরি করবেন জানালেন বিন্দিয়া বিউটি স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ শারমীন কচি
উপকরণ
অ্যালোভেরা ডাঁট ১টি, লেবু ১টি, অর্গানিক মধু ২ টেবিল চামচ, ভিটামিন ‘ই’ অয়েল ১ চা চামচ।
যেভাবে বানাবেন
ছুরি দিয়ে পাতার অংশটুকু কেটে ভেতরের থকথকে জেল বের করে নিন।
এবার ব্লেন্ডার বা ফুড প্রসেসরে জেলগুলো দিয়ে ভালোমতো ব্লেন্ড করে নিন, একদম তরল না হওয়া পর্যন্ত।
ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে আলাদা পাত্রে রাখুন।
অন্য পাত্রে লেবুর রস বের করে নিন।
এবার পরিষ্কার পাত্রে ১ কাপ অ্যালো জুসের সঙ্গে ২ চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ মধু, ৪ ফোঁটা ভিটামিন ‘ই’ অয়েল মিশিয়ে নিন।
এই ফেসপ্যাকটি স্বাভাবিক ত্বকের জন্য। তৈলাক্ত ত্বক হলে মধুর পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে, আর শুষ্ক ত্বকে ১ চামচ লেবুর রস নিতে হবে। যাঁদের লেবুতে অ্যালার্জি আছে, তাঁরা লেবু ব্যবহার করবেন না।
কাচ বা চিনামাটির পাত্রে ঢেলে চার বা পাঁচ দিন সেরামটি সংরণ করতে পারবেন।
ব্যবহারবিধি
কিনজার বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর টোনিংয়ের শেষে এই সেরাম ব্যবহার করুন। তুলা বা হাত ব্যবহার করতে পারেন। পাত্রের ভেতরে হাত দেবেন না। চামচের সাহায্যে সেরামটি আগে বাটিতে ঢেলে নিন। মুখের ত্বকে লাগানোর ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। সংবেদনশীল ত্বক হলে ১৫ মিনিট রাখা ভালো। দিনে বা রাতে যেকোনো সময় ব্যবহার করতে পারেন।
জেনে রাখুন
অ্যালোভেরা সেরামটিতে যেহেতু কোনো প্রিজারভেটিভ নেই। তাই সর্বোচ্চ পাঁচ দিন পরপর পুনরায় বানিয়ে নেওয়া ভালো। রেফ্রিজারেটরে সংরণ করবেন। রং বা গন্ধ পরিবর্তিত হলে ফেলে দিয়ে নতুন করে বানিয়ে নেবেন।